কোথায় থামতে হবে এবং কোথায় আবার দৌড়াতে হবে, এটা জানা সকলের জীবনের জন্য জরুরী। আমি এবং আমরা অনেকে অনেক পড়াশুনা করেও তা বুঝি না বা বুঝতে চাই না! সব কিছুর শেষ আছে, সেই পরিণতিতে আমাদের যেতেই হবে, তবে কোথায় থামলে বা দৌড়ালে শেষ গন্তব্যে একটু পরে যাওয়া হবে সেটা জরুরী!
এই ধরেন শেখ হাসিনার শাসন দেখে আমি আমরা হুজুর কবিরাজ সহ অনেকেই বার বার বলেছি, আপনার অবস্থা কিন্তু ভাল না, আপনি থামেন নাইলে পালাতে হবে, ভাল সুশাসনের দিকে যান, তিনি কোন কথাই শুনেন নাই, জনগণ এটা বললে তিনি সেটা বলে দিয়েছেন মুখের উপর, জনগণ বলছে বেগুণের দাম কমান তিনি বলেছেন কুমড়ার বেগুনী বানান। তার কথায় আচরণে এটা পরিস্কার সবাই বুঝে গেলেও তিনি নিজে বুঝেন নাই, থেমে পিছে ফিরে দেখেন না! ফলাফল তো হাতে নাতে সবাই দেখেছি! তার বিদেশে বসে এখনকার আচরণও ভয়াবহ, এবং তার এই আচরণের জন্য হয়ত আরো বড় পরিনতি অপেক্ষা করছে!
এবার আসি বিএনপির আচরণে, ৫ আগষ্টের আগের দিনেও যদি নিরপেক্ষ ভোট হত তবে বিএনপি সারা দেশে ২৫০ আসন পেয়েই যেত, ল্যাংড়া লুলা দাঁড়া করালেও! আর এখন, আওয়ামী লীগ মাঠে না থাকলেও ১০০ আসন পাবে কিনা আমি নিশ্চিত নই, ভোট সুষ্টু হলে এলাকা ভিত্তিক স্বতন্ত্র প্রার্থীরাই বিজয়ী হবে যাবে। বিএনপির যেখানে থেমে নিজের নেতা কর্মীদের অবিচারের প্রতি দৃঢ় থাকতে পারত, সেখান থেকে বের হয়ে তারা এখনই আওয়ামী লীগের লেজুড় ধরে ক্ষমতায় যেতে চাইছে, এরা এখনো বুঝতে চাইছে না, লীগ প্রাণ ফিরে পেলে এদেরই বুকে উঠে বসবে আবার!
জামাত একটা মুনাফেক দল, এদের নিয়ে কথা না বলাই ভাল, অহেতুক এবং সময় নষ্ট! না ঘরকা না ঘটকা! এদের কোন অনুশোচনাই নেই, নিজ দলের নেতা ব্যাক্তিদের ফাঁসি হয়ে গেল, অথচ এদের শরীরে জোস, নানান প্রতিষ্ঠানের ইনভেষ্ট আবার তাদের ঘরে যাবে, আলীশান কারবার হবে! আমীরের চেহারায় কি তেল জমেছে!
হা হা হা! বাদ বাকী থাকে আমাদের মি পিনাকী দাদা ও মি ইলিয়াস ভাই বা এমন ভিডিও ব্লগার, এক্টিভিষ্ট বা সাংবাদিক! এদের আন্দোলনে বিজয়ী হবার পরেই থেমে যাওয়া উচিত ছিল, এরা সেই পর্যন্তই জাতীয় বীর! এর পরে সরকার গঠন হবার পরে জাতির জন্য নুতন রাস্তায় এদের নুতন আগমন দরকার ছিলো, অথচ কে কাকে খুঁচিয়ে রক্তাক্ত করবে, সেটা নিয়ে ব্যস্ত। স্বৈরাচার হাটানোয় ইতিহাস লিখলে এদের অবদান অনেক, কিন্তু এর পরে থামতে না জানার কারনে এরা এখন আবর্জনায় চলে যাচ্ছে!
এমনি আরো অনেক উদাহরণ দেয়া যায়, বর্তমান সরকার নিয়ে অনেক বলা যায়, যদিও এদের নিয়ে এখনো বলা উচিত নয়, তবে মনে হচ্ছে সেই মরন দিকের যাত্রায় তারাও যাচ্ছে! এক সময়ে লিখবো, তবে একটা কথা বার বার মনে হয়, এরা কাজের প্রায়রিটি লিষ্ট বুঝতে পারছে না, জনগণ/জনতা এখনো সাথে আছে, তবে মুখ ফেরাতেও কিন্তু সময় নিবে না!
শেষ, এতদুর পড়ার জন্য ধন্যবাদ, যারা অনলাইনের ওয়ালে লালের ভিতরে 'জয়বাংলা' লিখে আনন্দ অনুভব করছেন, আমার ধারনা, আপনারাও থামার বিষয়টা বুঝতে পারছেন না, সামান্য লজ্জা বা বিবেক কাজ করলে এখন অন্তত চুপ থাকা উচিত! জাতিকে এগিয়ে যেতে দিন, সুশাসনের চেষ্টা অন্তত যেন ভাঁটা না পড়ে, সেই কপালে ফিরে যেতে চাইছেন কেন? আপনাদের দেখেও মনে হয় চেষ্টায় আছে্ন কখন চুরি করবেন, কখন ধর্ষনে নামবেন।
(মাইন্ড না করে আবার ভেবে দেখুন, আপনার ভুমিকা কি!)
