পাশের দেশ নিয়ে কথা বলা উচিত ঠেকে না, আবার না বলেও পারা যায় না! পাশের দেশের সমাজিক অবস্থা, ব্যক্তি, সংসার, খানা খাদ্য সহ আমাদের সাতে চেহারা সুরত প্রায় সব মিলে, এই জন্য বলতেও হয়! বাংলাদেশের সামাজিক পারিবারিক জীবন দুই দেশে প্রায় একই! যাই হোক, বড় লেখায় না গিয়ে সংক্ষেপে আসি!
ব্যংগালুরের কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার ৩৪ বছরের এক যুবক মি অতুল সুভাস কয়েকদিন আগে আত্মহত্যা করেছেন। দুনিয়া ছেড়ে চলে যাবার আগে তিনি পুরা ঘটনা লিখে যান, সাথে ঘন্টার বেশি সময় নিয়ে একটা ভিডিও রেখে যান, যেখানে তিনি তার জীবনে ঘটে যাওয়া সব বর্ননা করে যান। আমি কয়েক ঘন্টা ধরে নানান খবরা শুনলাম পড়লাম। খুব মর্মান্তিক ঘটনা, স্ত্রীর দেয়া মানসিক কষ্টে, বিচারক ও আইনের নিষ্ঠুরতায় তার আর বাঁচা হয়ে উঠলো না এই সাধারন পরিবারের সন্তানের। কমেন্টে একটা ভিডিও দিচ্ছি দেখলেই পুরা ঘটনা বুঝতে পারবেন, তার বাবার মুখে সব বর্ননা আছে।
আমাদের এখনকার সামাজিক ঘটনা! বিয়ের পরে স্ত্রীর আর স্বামী ভাল লাগে না, এক সন্তান হবার পরে সে বিচ্ছেদ চায়, সেই কাবিনের মত অনেক টাকা দাবী করে, প্রায় ৫ কোটি নানা ফরমেটে, মাসে সন্তানের খরচ চায় ৮০ হাজার, সব আমাদের দেশীর প্রতারক নারীদের বিবাহের মত ঘটনা আর কি! পরে মামলা হয়, আইন তো সব আমাদের দেশের মত নারীদের পক্ষেই। সে বিচারকের সামনে বলে সে এই মানসিক যন্ত্রণা আর নিতে পারছে না, সে আত্নহত্যা করতে চায়, এটা শুনে এজলাসে দাঁড়িয়ে থাকা স্ত্রী বলে, 'আত্মহত্যা করে ফেল, কে তোমাকে বাঁধা দিচ্ছে'!
খবিস এই নারীর কথা শুনে অবিবেচক বিচারক শুয়োরটাও হাসে। কোথায় সে এই নারীকে এই কথা বলার জন্য ধিক্কার জানাবে, তা না, সেও মি অতুলকে নিয়ে ঠাট্টা করে। আহ বিচার ব্যবস্থা, মি অতুলের বাবা জানালেন, কোর্টের প্রতিটা টেবিলে টেবিলে ইট পাথরে ঘুষ চায়, ঘুষ ছাড়া বিচারের ডেইট পড়ে না, পাশের দেশের বিচারকেরা ঘুষ ছাড়া কোন বিচারের রায় দেন না! আহ, আইন। পুরুষের জন্য কিছুই নাই! আইনে উঞ্চুল খসলেই নারীকে স্বামীর বিচারে নিয়ে যেতে দেয়, প্রটেকশন দেয়, মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী বা টাকা নেয়া আজকাল পানি পানের মত ব্যাপার!
বিবেকবানেরা হয়ত এভাবেই আত্মহত্যা করে দুনিয়া থেকে চলে যায়। আমাদের সমাজেও এমন মি অতুল কম না, তবে মুসলিম বলে হয়ত মনের জোরে টাকাকড়ি হারিয়েও আমরা বেঁচে থাকি! আইনের ধারা এখন পরিবর্তন করা দরকার, আমাদের সমাজে কাবিনের টাকার পরিমান নির্ধারনেও এসেস্মেন্ট দরকার, বিচ্ছেন হলে এই টাকার না দিতে পারার চাপেও অনেকে পুরুষ শেষ, হারিয়ে যাচ্ছে কত মায়ের বাপের ভালবাসার সন্তান।
(আসলেই দুঃখজনক ঘটনা, যা আমাদের দেশের অনেক যুবকের সাথেও মিলে, একটা ভুল লোভী নারীর পাল্লায় জীবন শেষ হয়ে যায়, আমাদের দেশেও এমন আইন বিচারক আছে, যারা নারীর সুন্দর মুখে মজে ভুল বিচার করেই ফেলে!)