ফেসবুক-ব্লগে কয়েক দিন পরপরই নতুন নতুন সব ডায়ালগ বের হয়।এই যেমন কয়েকবছর আগে ছিল “মুড়ি খান”, ভালো হউক খারাপ হউক,কিছু হইলেই সবাই বলতো মুড়ি খান।এইসব ডায়ালগ হচ্ছে সংক্রামক রোগের মতো, আক্রান্ত রোগী এই ডায়ালগ রোগে আক্রান্ত হইয়ে ভালো মন্দ সব কিছুর শেষে একটা কথাই বলবে,মুড়ি খান।এইরকম আরো অসংখ্য আছে, যেমন “মেশিন চলবে”, “মাইর হবে কিন্তু সাউন্ড হবে না”,আছে ব্লগ থেকে ধার করা গালিঃ ছাগু,ভাদা,পাদা কিংবা সিটিএন।তবে এইসবগুলা ডায়ালগ বা শব্দের জনক কারা কারা, আমরা জানি।কিন্তু “মাইরালা আমারে মাইরালা” এর জনক কে?কই থিকা এই ডায়ালগ আসছে? উত্তর একটা না,অনেকগুলা ভার্সনই আছে।
সরকারি ভার্সনঃ প্রধান বিরোধী দলের প্রায় সব নেতাদের জেলে নিয়ে আপ্যায়ন করতে পারেন সেইটা কিছু না,কিন্তু জামাতিদের ধরার কথা বললে আপনেরা খালি এই আইন ওই আইন বানানোর কথা বলেন,আপনাদের ব্যাপারটা কি ভাই,একটু ভাইঙ্গা বলেন তো।সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের জবাবে সরকারের দায়িত্বশীল মন্ত্রী বলেন, মাইরালা আমারে মাইরালা,সব বিরোধী দলের ষরযন্ত্র।
আর এভাবেই বাংলা অনলাইন জগত পেল নতুন একটি ডায়ালগ,এর পুরা ক্রেডিট তাই অবশ্যই লীগ সরকারের।
বিএনপি ভার্সনঃ স্বচ্ছ-নিরপেক্ষ-আন্তর্জাতিক-গণহত্যা, বাংলা ভাষায় এইসব শব্দের নতুন অর্থ দাঁড় করানোর দাবীদার একমাত্র তাঁরাই। সেইজন্য উক্ত ডায়ালগটিও তাঁদের আবিষ্কার,কোন সন্দেহ নাই।
জামাতি ভার্শনঃ চাঁদ গোল।গোলাকার চাঁদে সাইদিকে দেখার পর থেকে জামাতিদের এক অদ্ভুত অসুখ হইছে। যেখানেই গোল কিছু দেখে,ওইখানেই তারা দেখে সাইদিরে।সানি লিওনের বুকের পর থেকে তারা বাথরুমের কমোডে,ছাগলের ইয়েতে সাইদির ছবি দেখে বলতে থাকে মাইরালা আমারে মাইরালা।
গান যেমন রিমিক্স হয়,ডায়ালগও হয়।যেমনঃ মাইরালা আমারে চাক্কু দিয়া মাইরালা।যাই হউক,এইরকম চমৎকার সব ডায়ালগের প্রকৃত আবিষ্কারকর্তারা অনেক বেশি পরিমান জোশ।রাজনৈতিকদলগুলার মতো তারা কখনোই ক্রেডিট দাবি করে না।ভাব মাইরা বলে না,আমরা হেন করছি তেন করছি।পর্দার আড়ালে থেকে তারা যে আনন্দ আমাদের দেয় সেইটার কোন তুলনা নাই।
হে প্রিয় “মাইরালা আমারে মাইরালা” ডায়ালগের অজানা ভাইয়া/আপু, আপনাকে থ্যাংকস,আর কিছু বলার নাই।