টিভি দেখতেছিলাম।মুভি দেখাচ্ছিল কি একটা জানি।পিসিতে মুভি দেখা যায় কিন্তু টিভির বড় স্কিনে মারামারির দৃশ্য দেখার মজা অন্য লেভেলর। মারামারির দৃশ্য মানে নায়কের সাথে ভিলেনের ফাইটিং বুঝাইতেছি না,এই মারামারি মানে হচ্ছে মানব-মানবীর মধ্যকার মারামারি,নায়ক-নায়িকার আবেগের ব্যাপারস্যাপার।
যাই হউক,টিভির পর্দায় অলরেডি মেঘের গর্জন শুনা যাচ্ছে।একটু পরেই শুরু হবে ঝড়।কবির ভাষায়ঃদুটি ফুল আজিকে হবে একে অপরের।আমি গভীর আগ্রহের সাথে টিভির দিকে তাকায় আছি।এই বুঝি শুরু হইলো কালবৈশাখী।আমি সম্পূর্ণ রেডি হইলাম,চোখ এবং মন টিভির দিকে,হাত দিয়ে রিমোট-কন্ট্রোল ধরা টিভির দিকে,কান পাতা আছে রুমের দরজার দিকে।কেউ আসার শব্দ শুনা মাত্রই ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকে চলে যাবো।টিভিতে ঝড়তুফানের সিন দেখার জন্য এইসব হচ্ছে বেসিক নিয়মকানুন,সবাই জানে।তবে এইসব ক্ষেত্রে টাইমিং একটা গুরুত্তপূর্ণ ফ্যাক্ট।
আজকে এই টাইমিং মিস হইয়ে গেছে।ঝড়তুফানের মাঝামাঝি বাবা এসে হাজির।আমার কোন দোষ নাই,আমি এই লাইনে অভিজ্ঞ প্লেয়ার, আমার ভুল হওয়ার কথা না।তবে ফ্যাসিবাদি রিমোটের বাকশালি ব্যাটারী কাজ না করলে আমি কি করতাম?বাবা আমার দিকে বাকরুদ্ধ হইয়ে একটা লুক দিল,যেটার মানে হচ্ছেঃ এই বয়সেও এইসব দ্যাখো?পরিস্থিতি আরো ঘোলাটে হইতেছিল।খেলা দেখার জন্যও আম্মাও হাজির।পর্দায় অবশ্য ঝড় শেষ হইয়ে গেছে ততোক্ষণে।আমি রুম থেকে কোনরকমে বের হইয়ে গেলাম।এইদিকে আমার ভাবমূর্তি এহেন পতিত দশা দেখে প্রকৃতি আমাকে মিসকল দিলো,কলব্যাক না করা ছাড়া উপায় কি?টয়লেট-সং হিসাবে আমার ফেভারিট হচ্ছে ব্ল্যাকের গাওয়া “তুমি কি সাড়া দিবে” গানটি,সেটাই মিনমিন কইরে গাইতে গাইতে ওজন অর্ধেক করে বের হয়ে আসলাম।
হারানো ইমেজ পুনরূদ্ধার করতে হবে।খবর দেখি।আরটিভির খবর।এরাই একমাত্র চ্যানেল যারা যুবসমাজের প্রতি পূর্ণশ্রদ্ধা দেখাইয়া কোন খবরপাঠক রাখে নাই।অন্যান্য চ্যানেলও কবে তাদের ফলো করবে সেই অপেক্ষায় আছি।তবে খবরপাঠিকাদের হতে হবে স্বচ্ছ,নিরপেক্ষ ও আন্তর্জাতিক মানের,নাইলে খবর দেখুম না বইলা দিলাম।