পাকিস্তানী সেনাবাহিনীকে কষ্ট করে ঘরে ঘরে ঢুকে ধর্ষণ করতে হতো না। বরং শান্তি কমিটিই তাদের জন্য নিয়মিত মেয়ে সরবরাহের দায়িত্ব নিয়েছিলো। প্রমাণ হিসেবে একটা চিঠি তুলে দেওয়া যেতে পারে। ‘৭১এর ২৮ মে বরিশালের ঝালকাঠি শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান ছলিমুদ্দিন মিয়া এক চিঠি পাঠিয়েছিলেন কীর্তিপাশা ইউনিয়ন শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান আজহার মিয়াকে। শান্তি কমিটির আঞ্চলিক প্যাডে লেখা চিঠির কথাগুলো এরকম:
"ভাই সাহেব
সালামবাদ সমাচার, আপনার কীর্তিশালা কমিটিতে ইউনিট কমান্ডার হিসেবে আঃ রবের নাম শাহ আলম ছার পাশ করিয়া নিয়েছেন। অল্প কয়েকদিনের মধ্যে উত্তর দিকের শয়তান দমন করার জন্য যাইতে হইবে। আপনার এলাকার সব ইন্ডিয়ান দালালদের যত তাড়াতাড়ি পারেন ধরিয়া ক্যাম্পে পাঠাবেন। ওদের হেদায়েত করার পর উত্তর দিকের অপারেশন শুরু করা হইবে। এদিকে ইতিপূর্বে পাঠানো অস্ত্র যেন ইন্ডিয়ার দালালরা খুঁজে নিতে না পারে। বেগ সাহেবের জন্য ভালো মাল পাঠাবেন। রোজ অন্তত একটা অন্যদের জন্য মাল পারেন। খোদা আমাদের সহায় আছেন। আল্লাহ হাফেজ।"
এখানে “মাল” মানে কি বুঝাইছে সেটা নিশ্চয়ই বলে দিয়ার লাগবে না। জাস্ট চিন্তা করেন, “খোদা আমাদের সহায় আছেন। আল্লাহ হাফেজ।" ডায়ালগ দিয়া যারা আপানার মাবোনদেরকে রেপ করতে পাঠায় পাকিদের কাছে, তাদের এই অপরাধের সাথে আপনি পদ্মা সেতু-হল মার্ক টেনে এনে কাদের এজেণ্ডা পুরন করেতেছেন? এরাই কিন্তু আবার নারায়ে তাকবীর আল্লাহু আকবর বলতে বলতে মন্দির পুড়াইছে। নিজেদের স্বার্থ বাস্তবায়নের জন্য ব্যাবহার করতেছে সরাসরি আল্লহকে।
এইটা কি মোনাফেকি না?ইসলামের সাথে বেইমানী না?যেসব তরুণ শিবির করে,আমার জানতে ইচ্ছা করে তারা এইসব প্রশ্নের উত্তরে কি বলে।সত্যি সত্যি যদি কেউ ইসলাম মেনে চলে, জামাতশিবিরের প্রতি তার তীব্র ঘিন্না থাকা উচিত।
ছবি ও তথ্য কৃতজ্ঞতাঃ অমি রহমান পিয়াল ভাই।