তিনটি কারণে আমি “হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ” নামক দলটাকে সমর্থন করি নাঃ
১) আমি একজন মুসলমান এবং ধর্ম নিয়ে যে আমার সামান্য জ্ঞান আছে সেটা ব্যাবহার করেই বলতে পারি,সৃষ্টিকর্তা যে জিনিসটাকে নিজে হেফাজত করার কথা বলেছেন তাঁর একটি হচ্ছে কুরানশরীফ,ইসলামের সমস্ত বার্তার সামারি হচ্ছে এই পবিত্র গ্রন্থ।কাজেই ইসলামকে হেফাজত করবে আল্লাহই।কোন প্রকৃত মুসলমানের কাজ কিন্তু তাই ইসলামের প্রচার করা, সেটার হেফাজত করবে স্বয়ং আল্লাহ। কাজেই একদল মানুষ যদি বলে যে তারা ইসলামের হেফাজত করার জন্য মাঠে নেমেছে,আমি তাঁদের মেনে নিতে পারি না কারণ সেইটা তাঁদের কাজ না।
২) যুক্তির খাতিরে ধরে নিলাম “হেফাজতে ইসলাম” নাম দিয়ে তারা আসলে ইসলামের সেবা করার প্ল্যান করছে।তারা চায় এইদেশে ইসলামের প্রচার ঘটুক। সেটা যদি সত্য হয় তাহলে অবশ্যই তাদের উচিত ছিল তারা যাদের নাস্তিক বলতেছে,সেইসব নাস্তিক শাহবাগিদের ইসলামের দাওয়াত দেয়া,তাদের সাথে কথা বলে যুক্তি দিয়ে বুঝানো যে তারা যেন ঠিক পথে আসে।আল্লাহর নবী (সঃ) ও তাঁর সাহাবারা কিন্তু দিন এর পর দিন কাফেরদের সাথে ইসলামের কথা বলে যুক্তি দিয়েই অনেককে মুসলমান করেছে।
কিন্তু এই “ হেফাজতে ইসলাম” কি বলে?তারা বলে নাস্তিক শাহবাগিদের সাথে তারা কোন বৈঠকই করবে না।নাস্তিকদের সাথে কোন প্রকার আলোচনা তারা করবে না।ওকে ফাইন,আমারে একটা জিনিস বলেন,আপনি যদি নাস্তিকদের সাথে আলোচনা না করেন তাইলে ক্যামনে তাদেরকে আপনি ইসলামের বাণী পৌঁছাইবেন?আলোচনা না করে ঠিক কোন যুক্তিতে আপনারা ইসলামের হেফাজত করেলন আমারে বুঝান।
৩)আপনি খুব সহজে কাউকে আওয়ামি লীগের দালাল বলে গালি দিতে পারেন। খুব সহজে কাউকে ছাগু-জামাতি-ভাদা-পাদা এগুলা বলে ফেলতে পারেন।কোন ব্যাপার না,আপনার কথায় যুক্তি থাকতে পারে।কিন্তু কোন যুক্তিতেই আপনি কাউকে আস্তিক/নাস্তিক ট্যাগ দিতে পারেন না। আমি আল্লাহকে মানি নাকি মানি মানি না, সেইটার জবাব আমি তাঁরেই দিবো।আপনাদের কাছে আমার সেটা প্রমাণ করার কিছু নাই। কিন্তু যে বিচার আলাহ করবে, সেটার বিচার আপনারাই করে কাউকে নাস্তিক বলে অভিযুক্ত করতেছেন,এইটা কি এক ধরনের শিরক না?
যাই হুক,আমি অনেক কম বুঝি।উপরের তিনটা লজিকে ভুল থাকতে পারে।কেউ সেটা শুদ্ধ করে দিক।ভুল স্বীকার করে তখন আমি অবশ্যই বলবো “হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ” একটি চমৎকার দল।