লুতফর রহমানের ছিল সুখের সংসার।স্ত্রী সায়েরা খাতুন,দুই মেয়ে ফাতেমা এবং আছিয়াকে নিয়ে তাঁর পরিবার।তিনি কাজ করেন আদালতে,পদ ছিল সেরেস্তারের।আদালতের বিভিন্ন হিসানিকাশ সংরক্ষণ করেন।দুটি সন্তানের বেশি নয়,একটি হলে ভালো হয় – পরিবার পরিকল্পনার এই নীতি আজকে থেকে ৯৩বছর আগে ছিল না।ছিল না বলেই ফাতেমা এবং আছিয়া একদিন অবাক হয়ে দেখলো তাদের মায়ের কোলে একটা ছোট্ট বাবু।ছোট্ট বাবুটাকে নিয়ে কাড়াকাড়ি পড়ে যায় দুই বোনের মধ্যে,কে আগে কোলে নিয়ে আদর করবে সেটা নিয়ে।অবাক বিশ্ময় নিয়ে দুই বোন তাকিয়ে থাকে তাদের ছোট ভাইটির দিকে।ঘটনা ১৯২০সালের ১৭ই মার্চের।সেদিন ফাতিমা-আছিয়া পেয়েছিল তাঁদের আদরের ছোট ভাইটিকে,আর বাংলাদেশ পেয়েছিল তার ইতিহাসের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ মানুষটিকে।
হ্যাপি বার্থডে বঙ্গবন্ধু! আমার জীবনে আফসোসের লিস্টের একটা হলো আপনার মুখ থেকে ‘তুই’ ডাক শুনতে না পাওয়া।আপনি এত্ত সুন্দর করে “তুই” বলে মানুষকে সম্বোধন করতেন,আমি জানি না ক্যান, আপনার আর সব সব গুনের থেকে আপনার মুখের “তুই” ডাকটাই আমার বেশি পরিমান ভালো লাগে। আরেকটা কথা,বিএনপিআলারা আপানকে সম্মান দেয় না,লীগআলাদের কেউ কেউ আবার নিজের সম্পদ মনে করে আপনাকে নিয়ে নষ্ট রাজনীতি করে,আমরা সব বুঝি।এইসব নিয়ে কষ্ট পাইয়েন না,কারণ আপনি তো ভালো করেই জানেন,এই দেশের সাধারণ মানুষ,রাজনীতি কম বুঝা মানুষগুলা আপনাকে ভালবাসে মন থেকে,সেই ভালোবাসা ১০০% খাঁটি এবং পবিত্র।
বঙ্গবন্ধুর মতো করে আর কে ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইলের এই ভূখণ্ড আর তার মানুষকে ভালবেসেছিল?
কেউ না।