উপক্রমণিকাঃ
স্বগতোক্তি লিখতে লিখতে ক্লান্ত হয় কলম। একটা অপেক্ষা আর কখনো শেষ হয় না।
তাই অনর্থক আচড় কাটাকাটিতে অভিমানী হয় সুগোল,মসৃণ অফসেট এর ত্বক।
অভিমান বুঝেও জিদ ধরি আমি । যা বুঝি না ,অথচ ভালোবাসি তাই লিখে যাই
সাদা বুকের উপর।
--------------------------------
ক্যালেন্ডারে ঝুলন্ত তারিখ গুলো
কায়মনোবাক্যে কি প্রার্থনা করে, কে জানে ?
ওরা কি শূন্য গ্লাসের মতো শুধু ভরে ওঠে ,
নাকি পুকুরের তরঙ্গের মতো
অনবরত বিলীন হয়ে যায় ।
ওদের নিয়তি কি ,বলতে পারো ? পাপ পূণ্য ?
কোন বেদনা ওদের ছোঁয় ,
কিসে ভাঙ্গে ওদের নির্লিপ্ততা -
ওরাও কি অন্যমনস্ক, এই কলমের মতো
সদা সচেতন কোনো এক ঘোরে ,জানতে পারে কি মানুষ কখনো-
কে জ়ানে ,হয়ত ওদের মধ্যেও আছে
মধ্যবিত্ততা ।
লাল তারিখ গুলো হতেও তো পারে ওদের মাঝে
বিপ্লবী ,জলপাইকে থমকে দেওয়া -
কিংবা
দীর্ঘশ্বাসের উপর দাঁড়ানো কর্পোরেট,
যার পিছে ছুটে মরে বাকিরা ।
তোমরা হয়ত জানই ,একটা ক্যালেন্ডার মানে
একটা ক্যালেন্ডার ,কোনো মায়াবী পর্দা নয়
কেউ কখনো বলে না
একটা শীর্ণ নদী অথবা নির্জন ট্রেন এর মতো
শূন্য ঘরে ,একলা একলা ঝুলে থাকা ক্যালেন্ডারও
কাঁদতে পারে ।
...............
...............
উপসংহারঃ
হঠাত বাতাসে ঘরের ক্যালেন্ডারের ছবিহীন রূঢ় পাতা গুলো দুলে ঊঠলে ,আমি অপ্রস্তুত হয়ে পড়ি ব্যঙ্গ হাসিতে,ঠাণ্ডা ঘরের নিস্তব্ধতায় আমার বোধোদয় ঘটে আমি ইদানিং দেখতে পাই না আমার আশেপাশের কোনোকিছুই । একেই কি বলে ঘোর লাগা !
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই আগস্ট, ২০০৮ রাত ১০:৫৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




