
এবছর ঈদের ঠিক দুইদিন আগের কথা,
প্রতিদিনের মতো ফেসবুক এ ছিলাম।হঠাৎ চোখের সামনে একটা ইভেন্ট পড়লো, পাইন্দু সাইতার এ ছন্নছাড়ার দল।মোট চারদিনের ট্যুর।খরচ প্রতিজন ৩৮০০ টাকা করে।দেখেই কেমন মনে লেগে গেল।ইভেন্ট এর হোস্টার ছিলো কবির হুমায়ুন ভাই(এডমিন ছন্নছাড়ার দল)।তার সাথে যোগাযোগ করতেই দাওয়াত দিলেন তার বাসায় চা খাওয়ার সাথে ট্যুরে যাবার ব্যাপারে কথা বলার।আমি ঢাকায় নতুন হওয়ার মোটামুটি তার বাসায় যেতে বেগ পেতে হলো।
গিয়ে পড়লাম এক গোলকধাধায়।কেননা,ভাই বললো এ ট্যুরটা অনেক শক্তট্যুর।অনেক হাটতে হবে,অনেক পরিশ্রম করতে হবে।আমি গোলকধাধা কাটিয়ে কনফার্ম করে আসলাম আর দিন গুনতো লাগলাম সপ্নের ট্যুরের জন্য।সপ্নের থেকেও বেশি একারনে যে,তার আগে আমার পাহাড় দেখা হয়নি।
এবার আসি একটু জায়গার বর্ননায়,
বাংলাদেশের পার্বত্য জেলার একটি বান্দরবন, আর বান্দরবন এর রোয়াংছড়ি উপজেলার একটি জায়গা তিনাপ সাইতার।রোয়াংছড়ি থেকে প্রায় ৬৩ কিলো ভিতরে এর অবস্থান(দূরত্বটা সম্পর্কে আমি সঠিক জানি না)।কিন্তু,যা ধকল গেছে ভাই মনে হইছে তিনদিনে ৩০০ কিলো হাটছি।
যাত্রার তারিখ ছিলো ঈদের দিন রাত ১০ ঘটিকায়।
তো টিমের গোছগাছের একটু বিষয় ছিলো তাই সেদিন বিকেল নাগাদ ই আমি পৌছে গেলাম এডমিন হুমায়ুন ভাইয়ের বাসায়।যদিও ছন্নছাড়ার দলে আমি একদম নতুন,তবুও সবাই কেমন একটু সময়েই আপন করে নিলো আমায়।
মোটামুটি টিমের গোছগাছ হয়ে গেলে হুমায়ুন ভাই,ভাবী(হুমায়ুন ভাইয়ের স্ত্রী),লাবীব,ছুমাইয়া আপু সহ আমি রওয়ানা হলাম ফকিরাপুল বাসস্টান এ উদ্দেশ্যে।সেখানে গিয়ে পরিচয় হলো অনেক গুলো নতুন মুখ এর সাথে।সবার সাথে যেন আরও অনেক আগে থেকে পরিচয়,ঠিক সেরকম মনে হলো।কিন্তু সবাই ই নতুন মুখ।একে একে লোকসংখ্যা বাড়তে লাগলো,আর ঘড়ির সময়ও ১০ নম্বর ঘন্টার কাটার দিকে এগিয়ে আসলো।কিন্ত,একটাই সমস্যা একজন ট্যুরমেট পথে জ্যামে আটকে গেল।তারজন্য সবাই অপেক্ষা করতে লাগলাম,যাক ১০.২০ এ সে এসে পৌছোলো।যাক অবশেষে যাত্রা শুরু হলো,
ছন্নছাড়ার দল এর ৩০ জনকে নিয়ে শ্যামলী বাস ছুটলো বান্দরবন এর দিকে.........(চলবে)
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:২৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





