somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ভালো থাকিস, খুব ভালো.....

১৪ ই মার্চ, ২০১১ রাত ৮:২৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আজ ঘুম থেকে উঠতে অমন দেরী হয়ে গেল, দৌড়-ঝাঁপ করে রেডী হয়ে বাসা থেকে বেরুলাম; ঢাকা শহরের রিকশাওয়ালাদের জানিস না তো ইদানীং কী হয়েছে- কোত্থাও যাবে না বেটারা। ওভারব্রীজটার নীচেই দেখি সেই ফুলওয়ালীটা, বালতিতে এক গাদা লাল আর হলুদ গোলাপ নিয়ে বসে আছে; হলুদ কুঁড়িটা দেখেই অফিসে যাওয়ার তাড়া ভুলে গেলাম। যেই কিনতে গেলাম টাকাটা বের করে, হঠাৎই মনে পড়ল, কার জন্যে কিনছি! তুই তো নেই কাছাকাছি কোথাও! মানিব্যাগটা জিন্সের পকেটে চালান করে ঘুরে দাঁড়ানোর সময় চোখের কোণা দিয়ে দেখলাম গোলাপ কলিটা বাড়িয়ে দেওয়া হাতে অবাক চোখে তাকিয়ে আছে ফুলওয়ালী!

তোর উজ্জ্বল মুখটা ভাসছিল চোখে- ফুল দেখলেই কী যে এক দ্যুতি ছড়িয়ে পড়ত তোর চোখে মুখে! দেখলেই কেনা চাইই, যেদিন কোন কারণে কিনতে চাইতি না আমার খুব ইচ্ছে করত তোকে ফুল কিনে দিতে কিন্তু সামনাসা্মনি কেন যেন কখনোই ফুল দেওয়া হয় নি। ফুল পেতে বা নিজের জন্যে কিনতে কখনোই ভালো লাগে না আমার, চোখের সামনে ঘরে ফুলদানীতে রাখা ফুলের শুকিয়ে যাওয়া দেখাটা খুব অপছন্দ। অথচ প্রতিদিন যখন ভোরের আলো গায়ে মাখতে আমি জগিং এ বেরুতাম; শাহবাগের সেই ফুলের দোকানগুলো দেখলেই তোর কথা মনে পড়ত! দারোয়ানকে কতদিন ম্যানেজ করেছি হলে তোর রুমের দরজায় ফুল রেখে আসে যেন- ঘুম ঘুম চোখে দরজা খুলেই গোলাপ কুঁড়ি দেখে বিস্মিত আর সাথে ঠোঁটের কোণে এক চিলতে হাসি লাগা তোর চেহারাটা কল্পনা করতে খুব ভালো লাগত যে আমার!

আচ্ছা, ওই আবীর চৌধুরী নামক ক্রিমিনালটা তোর সাথে প্রথম দেখা করতে আসার দিনে কি ফুল এনেছিল? মনে পড়ছে না, তুই অবশ্য আমাকে একদম ডিটেইলেই বলেছিলি তার সাথে তোর দেখা হওয়ার কথা , রাগ হজম করে আমি শুনতাম কেবল তখন তোর সুখী মুখটার দিকে তাকিয়ে থাকার জন্যে। কী করব বল! শা**র (স্যরি, তুই জানিস আমি গালি-গালাজ করতে পারি না, কম খ্যাপাস নি তুই আমায় এ নিয়ে!) কথা শুনলেই মেজাজটা এমন গরম হয়ে যায়, কখনোই জেলাসী থেকে নয়, তোর ভালোবাসা নিয়ে অমন ছিনিমিনি খে্লেছিল বলেই তাকে ঘৃণা করতাম। তোর মুখে তার নাম শুনলে আমার ব্রহ্মতালু জ্বলে উঠত এই ভেবে যে একটা কীটস্য কীটের জন্যে তুই তোর মনের দরজা কে জানে সারাজীবনের জন্যেই বন্ধ করে রাখছিস কি না!

ঐ কুত্তাটা (আবারো স্যরি!) যেদিন তোকে ফোন দিল দেশে ফিরে এসে - মনে পড়ে আমার পাশে রিকশায় বসে তুই কাঁপছিলি; অনেকটা আনন্দ আর খানিকটা ভয়! কিছুতেই আমার মাথায় আসত না অমন একটা ছেলের জন্যে অত ভালোবাসা তোর কোত্থেকে আসে! সেদিন আমাদের সারা সন্ধ্যা একসাথে বেড়ানোর কথা ছিল কোন একটা এসাই্নমেন্ট জমা দেওয়ার আ্নন্দে; তুই যখন করুণ মিনতিভরা চোখে আমার দিকে তাকালি আমি মানা করতে পারি নি- আমিও কি চাই নি এর একটা দফা-রফা হোক! আমি রাগ করি নি বা দুঃখও পাই নি বরং অনেক দিন পরে তোর হাসিমুখ দেখে আমার ভারী ভালো লাগছিল। বার বার বলছিলি আমাকে তার সাথে পরিচিত হতে; 'ও সত্যিই খুব কিউট! তুই একবার পরিচিত হয়ে দেখ! রাগ করিস না প্লিজ!' আর তাই আমিও গিয়েছিলাম বোকার মতো পরিচিত হতে, তোকে খুশী করার জন্যে আর দেখতে কী এমন চিজ সে যাকে তোর মতো একটা অসাধারণ মেয়ে এতখানি ভালবাসে।


----------------
(চলবে)
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই মার্চ, ২০১১ রাত ৮:৪০
৩০টি মন্তব্য ৩০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সৎ মানুষ দেশে নেই,ব্লগে আছে তো?

লিখেছেন শূন্য সারমর্ম, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৪৮








আশেপাশে সৎ মানুষ কেমন দেখা যায়? উনারা তো নাকি একা থাকে, সময় সুযোগে সৃষ্টিকর্তা নিজের কাছে তুলে নেয় যা আমাদের ডেফিনিশনে তাড়াতাড়ি চলে যাওয়া বলে। আপনি জীবনে যতগুলো বসন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×