আমরা ব্রিটিশদের সংস্পর্শে প্রায় দুইশত বছর কাটিয়েছি ।আধুনিক সভ্যতা ও জ্ঞানবিজ্ঞানের সাথে ভারতবর্ষের পরিচয় ব্রিটিশদের মাধ্যমেই।অথচ দুইশত বছর কাটালেও তাদের গুনগুলি আয়ত্ত করতে পারিনি,দোষগুলি ঠিকই আত্তসাত করেছি।ব্রিটিশ বেনিয়াদের কল্যানে অথবা অন্য কোনোভাবে আমাদের শিক্ষালাভের মূল উদ্দেশ্য দাঁড়িয়ে গেছে একটা ভাল চাকরি ।আমাদের বিভিন্ন সমস্যার মধ্যে বেকার সমস্যা একটি ।এখানে আবার শিক্ষিত বেকারের অংশটা ভারী ।দুঃখজনক হলেও সত্য শিক্ষাজীবনের শুরুতেই তাদের কল্পনা ও অনুভবে চাকুরিনির্ভর মানসিকতা গড়ে ওঠে ।এ সমস্যার ব্যবচ্ছেদ করলে কতগুলি গুরুত্বপূর্ন কারন উদ্ঘা্টিত হয় ।প্রথমত,কর্মমুখী ও প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষার অভাব।দ্বিতীয়ত,দেশীয় বিনিয়োগের অনুপস্তিতিতে যথাযথ প্রায়োগিক কর্মসংস্থানের শুন্যতা ।তৃতীয়ত, ক্ষুদ্রশিল্প ও ব্যাক্তি উদ্যোগে প্রচন্ড অনীহা।চতুর্থত, কর্মমুখী প্রশিক্ষন ও প্রচারের অপ্রতুলতা ।
কেস স্টাডি- সোহাগ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে একটি কলেজ থেকে স্নাতক সম্পন্ন করে চাকুরির সন্ধান শুরু করে ।কিন্ত চাকুরি নামের সোনার হরিনটি তার হাতে আর ধরা দেয় না । এদিকে পরিবারের চাপ বাড়তে থাকে । অবশেষে পরিচয় হয় এক দালালের সাথে ।অনেক কষ্টে পরিবারের জমান টাকায় সে মধ্যপ্রাচ্যে পাড়ি দেয়।পরের ইতিহাস অনেক দুঃখজনক।অবৈধ ভিসার কারনে সব হারিয়ে তাকে ফিরে আসতে হয়।
এরকম হাজারো কাহিনীর মধ্য দিয়ে আমাদের যুব সমাজের পথ চলা ।সংক্ষিপ্ত উপসংহারে এটা বলা যায় যে যুবসমাজকে এগিয়ে আসতে হবে নিজ উদ্যোগে, স্বকীয়তায় ।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




