জাগো
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
মৌলিক অধিকার (যা সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত)- হরতাল, সভা-সমাবেশ, সঙ্গঠন করার অধিকার ইত্যাদি। রাষ্ট্র এই অধিকারগুলো কোন কারণে খর্ব করলে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ইচ্ছে করলেই মামলা করা সম্ভব কিন্তু মৌলিক চাহিদা (অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা, বিনোদন) রাষ্ট্র দিতে বাধ্য নয় কারণ এগুলো অধিকার হিসেবে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত নয়; মৌলিক চাহিদা পূরণ না হলে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে মামলা করা
যাবে না। '৭২ সালে সংবিধান রচিত হবার সময় মৌলিক চাহিদাকে অধিকারে রূপান্তর করা থেকে বিরত রাখা হয়; তৎকালীন সরকার যুদ্ধ বিদ্ধস্ত দেশ হিসেবে মৌলিক চাহিদাগুলোকে অধিকার হিসেবে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করেনি তবে তখন বলা হয়েছিল পরবর্তীতে দেশের অর্থনৈতিক পরিবর্তন সাধিত হলে সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে মৌলিক চাহিদাকে মৌলিক অধিকারে রূপান্তর করা হবে। অন্তর্ভুক্ত করার অঙ্গিকার করা হয়েছে ঠিকি দেশ এখনো বদলায়নি; ৪১ বছর পার হল এখনো বাংলাদেশ যুদ্ধ বিদ্ধস্ত দেশ। চমৎকার শুভঙ্করের ফাঁকি। ১৯৭২ থেকে ২০১২ পর্যন্ত এই সুদীর্ঘ সময়ে যখন যে ক্ষমতায় ছিল তখন সে ইচ্ছেমত দেশটাকে লুটেপুটে খেয়েছে এবং এখনো খাচ্ছে। এই খাওয়ার শেষ কোথায়? '৭১ এ যুদ্ধ দেখা অনেক সাধারণ মানুষের মুখে শুনতে পাই- ''আমরা পাকিস্তান আমলেই ভাল ছিলাম...''
কোটি কোটি স্বপ্ন নিয়ে দেশ স্বাধীন করে কেন এই কথা সাধারণ মানুষের মুখ থেকে বের হয়? কারণ দেশের মানুষের সাথে প্রতিনিয়ত প্রতারণা করা হচ্ছে। মানুষ প্রতারিত হচ্ছে সামরিক শাসক থেকে শুরু করে গণতান্ত্রিক শাসকসহ সকলের কাছেই। ক্ষমতা হাতে পেয়ে সবাই স্বৈরাচার হয়ে উঠে। গণতান্ত্রের নামে ধোঁকা দেয়া হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। চুরি-বাটপারি-দূর্নীতির লাইসেন্স প্রাপ্ত হচ্ছে মন্ত্রী-এমপিরা। দেশের হাজার হাজার সমস্যাকে জিইয়ে রেখে লাভবান হচ্ছে তারা। শেষ পর্যন্ত কি হবে এই দেশের? পার্শ্ববর্তী দেশ শক্তির জোরে আমাদের দেশকে শোসন করছে। সামনের দিনগুলো হয়ত আরো ভয়াবহ হতে চেলেছে! কিন্তু আমরা এই ২০১২'র সচেতন জনগণ আমাদের সচেতনতাকে আরো বেশি জাগ্রত করার মধ্য দিয়ে আমাদের দেশকে আসন্ন বিপদ থেকে রক্ষা করতে পারি। সমগ্র জাতিকে সচেতন করার জন্য পরিবার থেকে শুরু করে অনলাইন পর্যন্ত চেষ্টা করা সম্ভব। সামনের নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ; এক্ষেত্রে আমাদের অর্থাৎ তরুণ প্রজন্মের ভূমিকা অনস্বীকার্য। আমরা গতানুগতিক পালাবদলের সরকার আর চাই না। সৎ এবং যোগ্য প্রার্থী কে আমরা ভোট দিয়ে নির্বাচিত করব সেই সাথে যদি 'না' ভোট বহাল থাকে তবে 'না' ভোট কে হাতিয়ার হিসেবে বেছে নিতে পারব আমরা। এছাড়াও আমাদের আরো একটি করণীয় আছে তা হল- সাধারণ জনগণের মাঝে আমরা প্রতিনিয়ত ব্যক্তিগতভাবে কিংবা দলবদ্ধ হয়ে সচেতন করব যাতে করে তারা কোন দূর্নীতিবাজদেরকে ভোট না দেয়। সবাইকে বোঝাতে হবে- আমাদের ভাল আমাদের হাতে; আসুন সকলে সচেতন হই নিজের এবং পরবর্তী প্রজন্মের জন্য...
২টি মন্তব্য ১টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ঋণ মুক্তির দোয়া
একদিন রসুল সাল্লাল্লাহু আলইহি ওয়াসাল্লাম মসজিদে নববিতে প্রবেশ করে আনসারি একজন লোককে দেখতে পেলেন, যার নাম আবু উমামা। রসুল সাল্লাল্লাহু আলইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন, ‘আবু উমামা! ব্যাপার... ...বাকিটুকু পড়ুন
ফিরে এসো রাফসান দি ছোট ভাই
রাফসানের বাবার ঋণ খেলাপির পোস্ট আমিও শেয়ার করেছি । কথা হলো এমন শত ঋণ খেলাপির কথা আমরা জানি না । ভাইরাল হয় না । হয়েছে মূলতো রাফসানের কারণে । কারণ... ...বাকিটুকু পড়ুন
কুমীরের কাছে শিয়ালের আলু ও ধান চাষের গল্প।
ইহা নিউইয়র্কের ১জন মোটামুটি বড় বাংগালী ব্যবসায়ীর নিজমুখে বলা কাহিনী। আমি উনাকে ঘনিষ্টভাবে জানতাম; উনি ইমোশানেল হয়ে মাঝেমাঝে নিজকে নিয়ে ও নিজের পরিবারকে নিয়ে রূপকথা বলে... ...বাকিটুকু পড়ুন
সভ্য জাপানীদের তিমি শিকার!!
~ স্পার্ম হোয়েল
প্রথমে আমরা এই নীল গ্রহের অন্যতম বৃহৎ স্তন্যপায়ী প্রাণীটির এই ভিডিওটা একটু দেখে আসি;
হাম্পব্যাক হোয়েল'স
ধারনা করা হয় যে, বিগত শতাব্দীতে সারা পৃথিবীতে মানুষ প্রায় ৩ মিলিয়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন
প্রথমে আমরা এই নীল গ্রহের অন্যতম বৃহৎ স্তন্যপায়ী প্রাণীটির এই ভিডিওটা একটু দেখে আসি;
হাম্পব্যাক হোয়েল'স
ধারনা করা হয় যে, বিগত শতাব্দীতে সারা পৃথিবীতে মানুষ প্রায় ৩ মিলিয়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন
যে ভ্রমণটি ইতিহাস হয়ে আছে
ঘটনাটি বেশ পুরনো। কোরিয়া থেকে পড়াশুনা শেষ করে দেশে ফিরেছি খুব বেশী দিন হয়নি! আমি অবিবাহিত থেকে উজ্জীবিত (বিবাহিত) হয়েছি সবে, দেশে থিতু হবার চেষ্টা করছি। হঠাৎ মুঠোফোনটা বেশ কিছুক্ষণ... ...বাকিটুকু পড়ুন