«গতকাল হঠাৎ করে কয়েকটা পুরনো ডিভিডি চোখে পরল। আমার বই রাখার ছোট্ট একটা সেলফ এ একসময় এরা যথেষ্ট ভালো জায়গা দখল করে রাখতো। পুরনো ডিভিডি তাও আবার অধিকাংশই বাংলা নাটকের, এগুলা না রেখে ফেলে দেয়াই ভালো। ডিভিডি ঘাটতে ঘাটতে হঠাৎ ই সামনে পদ্মা নদীর মাঝি মুভিটার ডিভিডি হাতে আসল। ভাবলাম একবার দেখে ফেলি। ইন্টারে পাঠ্য থাকার কারনে এই বইটা বেশ ভালোই পড়া হয়েছিল। দেখতে দেখতে কয়েক রকমের ভাবনা মাথার মধ্যে ঘুরছিল।
পদ্মা নদীর মাঝি বইটাতে হোসেন মিয়া চরিত্রটা একসময় অনেক ভাবাইত আমাকে। তখন ভাবতাম কি করতে একটা লোক শুধু শুধু এত টাকা খরচ করে একটা দ্বীপ তৈরি করে সেখানে মানুষকে পাঠাতে চায়।
সত্যি এটা ভাবার বিষয় ছিল সেই কিশোর থাকাকালীন সময়টাতে। আসলে পরে বুঝতে শিখি যে সাধারন মানুষকে নিজের অধীনে রাখতে একপ্রকার পাশবিক আনন্দ আছে। এখানে হোসেন মিয়া জীবনের সকল আয় সংগ্রহ করে শুধুমাত্র ময়নাদ্বীপে বিনিয়োগ শুধুমাত্র এই পাশবিক আনন্দ পাওয়ার জন্য। এই আনন্দটাকে পাশবিক বলার কারন হচ্ছে এখানে প্রত্যেকটা সাধারন মানুষের স্বাধিনতা হরনের জন্য। »হোসেন মিয়া তো নিজের টাকা বিনিয়োগ করে নিজে রাজ্যশাসক হতে চেয়েছিল, আর আমাদের দেশের রাজনীতিবিদেরা শুধুমাত্র একটা নির্বাচনের উছিলায় পাঁচবছর নির্দ্বিধায় শাসন করতে থাকে।
কেউ কেউ তো আবার বৈধ বা অবৈধভাবে হোক সেই ক্ষমতার সময়কাল আরো বাড়াতে চায়। এই শাসনকালের সময়টাতে ন্যায়বিচার বলতে কোন শব্দ থাকেনা, আর থাকেনা সুশাসন বলতে কোন একটা শব্দ। নিজেদের বিরুদ্ধে গেলে আইন নামক শব্দটাও হাওয়া হয়ে যায়।
মানিক সাহেব যথেষ্টই ভালো ধারনা দিয়েছিলেন সেই সময়ে থেকে এই বর্তমান সময়ের।