(১) একটি সন্ধ্যা, কয়েকজন মেঘকন্যার নিখোঁজ সংবাদ
“মামা, মাল পাইছিস একটা”
“সেটাই। সেইরাম মাল”
ওদের কথা শুনে হাসে বুলেট। দৃষ্টি পাঠিয়ে দেয় আম গাছের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা নারিকেল গাছের মাথা ছাড়িয়ে সূর্যাস্তের লাল আর সোনালী আভা ছড়ানো মেঘে। গুচ্ছ গুচ্ছ হয়ে ওরা নিজেদের মধ্যে গোপন বৈঠক করছে, বুলেটের জায়গা নেই সেখানে। অথচ এই মেঘের মানে ছিল কাল।
“কদ্দুর বস, কিসটিস করছিস”
“ধুর ব্যাটা, কালই পটাইল”
খেলা করছে মেঘেরা নিজেদের মধ্যে- গোল্লাছুট, আতাপাতাও হতে পারে।
সূর্যের সোনালী-লাল আদর কমে আসে।
দেখা যায়না আর মেঘেদের।
“ঐখানে আর জায়গা হবে না মামা”, বলে বুলেট। সন্ধ্যা পেড়িয়ে রাত নেমে এসেছে এখন।
অন্ধকার রাজত্ব করছে অর্ধেক বিশ্ব।
২৪/০৭/২০১৫
রাত ৮টা ৩৩
(২) বুড়ি
বুড়িকে প্রতিদিন এককথাই বলি আমি যাওয়া-আসার পথে, যখনই দেখা হয়, তখনই- দেখা যে খুব বেশি হয়, তা না।
“বুড়ি, আগুন জ্বালাস নাই?”
বুড়ি বলে বরাবর, “তুই আয়, একসাথে আগুন পোহাবো”
আমার কোনদিন ওঁর সাথে বসে আগুন পোহাবার সময় হয়না। মাঝেমাঝে আড্ডা দিয়ে ফেরার সময় দেখি সন্ধ্যায়, ঈষৎ স্বচ্ছ কিংবা মৃদু ঘোলাটে অন্ধকারে- বুড়ি আগুন জ্বালিয়ে বসে আছে, মশা নাকি এতে আসে না!
হঠাত মরে গেল বুড়িটা গত সপ্তাহে।
আমি আড্ডা দিয়ে বাড়ি ফিরি হৈচৈ করে, আবার আড্ডা দিতে যাই এবং বাড়ি ফিরি।
রাত ৯টা ২০
১৫/০৭/২০১৫
(৩)ভালো মন্দ!
জ্বর থেকে উঠেই আমাদের দলে আবার ভিড়ল সোহেল। বেচারা সাতদিন জ্বরে ভুগে একেবারে শুকিয়ে গেছে- সুন্দর ভরাট মুখটা চামচিকার মতো দেখাচ্ছে অনেকটা।
দাম বাড়ায় আর তার চেয়ে বড় কারণ পকেট ফুটা হওয়ায় আমরা ডার্বি শুরু করেছি।
ও এসেই একটা বেন্সন ধরিয়ে বলল, “শালা, প্রায় দশদিন পর রে!”
আমাদের একজন অবাক হয়ে বললাম, “শালা, আমরা টাকার অভাবে ডার্বি খাচ্চি আর তুই শালা বেন্সনে’র পাওয়ার দেখাস!”
ও বলল, “আরে নারে পাগলা, জ্বর থেকে উঠলাম তো, সেইজন্যে একটু ভালোমন্দ খাচ্ছি!”
রাত ৯টা ১১
১৫/০৭/২০১৫
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১২:০২