বালকের বয়স বাড়িয়া গিয়াছে বলিয়া, তাহার মাতাপিতা তাহাকে বিবাহ করিতে বলিলেন। সে কহিল,- “ইন্সাল্লাহ”
অতঃপর পিতামাতা তাহাদের পহেজগার, সুশীল, ভদ্র এবং দাড়িমণ্ডিত পুত্রের জন্য পাত্রী ঢুনতে লাগিলেন। পাইয়াও গেলেন। তাহারা কহিলেন, “আলহামদুলিল্লাহ্”। নির্বাচিত বালিকা অতিশয় সুশীলা, সুন্দরী এবং সবচাইতে বৃহৎ বাত ইহা যে, বয়স হইবার পর, পরপুরুষ তো দূরকি বাত বালিকার আপন ভ্রাতা তাক চুলভি নেহি দেখা! সুবানাল্লাহ!
বালকও সুভানাল্লাহ বলিয়া বিবাহ করিয়া ফেলিল। তাহাদের দিন সুখেশান্তিতে কাঁটিতে লাগিল।
কিন্তু একদিন এক মারাত্মক ঘটনা ঘটিয়া গেল, এরুপ ঘটনা আল্লাহর দুনিয়ায় ঘটিতে পারে বলিয়া তাহার বিশ্বাস হইল না।
কাহিনীটা হইল, সেইদিন বেলা দ্বিপ্রহরে, জোহরের নামাজের পর, বালক ইউটিউবে ভিডিও দেখিতেছিল। অকস্মাৎ কিছু দুষ্টু ভিডিও আসিয়া পড়িল। সে বিসমিল্লাহ বলিয়া দেখিতে লাগিল। ভিডিও শেষ হইলে পর, ভিডিওস ইউ মে লাইক-এ সেইরকম আরও কিছু ভিডিও আসিতে লাগিল। সে লোভ সামলাইতে না পারিয়া একের পর এক দেখিতে লাগিল।
পরপর পাঁচছয়খান ভিডিও দেখিয়া যখন তাহার অবস্থা চরম, ঠিক তক্ষুনি মারাত্মক একখান ঘটনা ঘটিল। সে তাহার চক্ষুকে বিশ্বাস করিতে পারিল না। কিন্তু চর্ম চক্ষুকে সে আবার অবিশ্বাস করিতেও পারিল না।
সে দেখিল, তাহার সুশীলা, সুন্দরী, পরহেজগার স্ত্রী আরেকজন বালকের সহিত ভীষণ লতকালতকি লাগাইয়া দিয়াছে। হাসিতেছে, রাগ দেখিতেছে, দুষ্টু দুষ্টু কাজ করিতেছে। ভিডিওখানা ২০১৩ সালের, মানে দুইতিন বতসর আগের।
তাহার মনে হইল, সাথেসাথেই যে, এইরুপ ছেনাল বউ বাড়িতে রাখাও পাপ। সে এই বালিকাকে তালাক দেবেই।
সে বউকে তালাক দিল।
তালাক দিয়াই তাহার মনে হইল, তাহাকে এবার অনেক প্রশ্নের মুখে পড়িতে হইবে! তাহাই হইল। সব্বাই তাহার কাছে এই তালাকের কারণ জানিতে চাইল। তাহার বলিতে লাগিল, “কেন বালক এই কাম করিলে?”
কেহ কেহ জিজ্ঞেস করিল, “বালক, তোমার স্ত্রীর কি চরিত্রের দোষ ছিল?”
সে কোন উত্তর দিতে পারিল না।
সে বলিতে পারিল না যে, সে তাহাকে পর্ণভিডিওতে দেখিয়াছে। কারণ ইহাতে তাহার সুশীলত্ব খর্বিত হইয়া যায়।
অনেকে জিজ্ঞেস করিতে পারে, “তুই এতো পরহেজগার হইয়াও দুষ্টু ভিডিও দেখিয়াছিস?”
এই প্রশ্নের জবাব এরাইতে সে বলিল, “তাহার কোন দোষ আমি খুঁজে পাই নাই, সে খুব ভালো কিন্তু আমি তাহাকে তালাক দিয়াছি” :v :v :v
দুষ্টু বালক! :p :p :p
হেফাজতিরা বলিতেছে, “আমরা সানি লিওনকে চিনিও না, জানিও না- কিন্তু তাকে বাংলাদেশ আসতে দেবো না”
চরম বচন!