চলতি ২০১৪-১৫ অর্থবছরের দ্বিতীয় মাসে (আগস্ট) দেশের মূল্য স্ফীতি ০.১৩ ভাগ কমেছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) রিপোর্টে একথা বলা হয়।
আগস্ট মাসে পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট খাদ্য মূল্য স্ফীতির সাধারণ হার ছিল ৬ দশমিক ৯১ ছিল। জুলাই মাসে এই হার ছিল ৭ দশমিক শূন্য ৪।
পরিকল্পনা মন্ত্রী এ এইচ এম মুস্তাফা কামাল বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে নিত্য খাদ্যপণ্যের স্থিতিশীল মূল্য এমাসে মূল্যস্ফীতি হ্রাসে সাহায্য করেছে। ওইসব পণ্য আমরা বিদেশ থেকে আমদানি করে থাকি।’তিনি নগরীর শের-ই-বাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে মিট দি প্রেস অনুষ্ঠানে মাসিক কনজ্যুমার প্রাইস ইনডেক্স (সিপিআই) প্রকাশকালে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
বর্তমান বন্যা পরিস্থিতিকে স্বাভাবিক বলে অভিহিত করে মন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, বন্যা দীর্ঘস্থায়ী না হলে আগামী মাসে মূল্য স্ফিতি বাড়বে না।
পরিকল্পনা বিভাগের সচিব ভুঁইয়া শফিকুল ইসলাম, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যবৃন্দ এবং বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক গোলাম মোস্তফা কামাল এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
তবে আগস্টে পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট খাদ্য ছাড়া অন্যান্য পণ্যের মূল্যস্ফীতির সাধারণ হার বেড়ে দাঁড়ায় ৫ দশমিক ৭৬ ভাগে। যা জুলাই মাসে ছিল ৫ দশমিক ৭১ ভাগ।
পল্লী এলাকায় আগস্টে মূল্যস্ফীতির সাধারণ হার ছিল ৬ দশমিক ৮৩ ভাগ। আর শহর এলাকায় ছিল ৭ দশমিক শূন্য ৮।
পল্লী এলাকায় খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ৬ দশমিক ৫৬ ভাগ। এটা আগস্টে মাসের চেয়ে কম। আগের মাসে ছিল ৭ দশমিক ৭৮ ভাগ।
অন্যদিকে আগস্টে পল্লী এলাকায় খাদ্য ছাড়া অন্যান্য পণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়ায় ৫ দশমিক ৪৬ ভাগে। জুলাই মাসে এটা ছিল ৫ দশমিক ৪৩ ভাগ।
শহর এলাকায় আগস্টে খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে দাঁড়ায় ৭ দশমিক ৮৯ ভাগে। জুলাই মাসের চেয়ে কম। জুলাই মাসে ছিল ৮ দশমিক ৩১ ভাগ।
শহর এলাকায় খাদ্য ছাড়া অন্যান্য পণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়ায় ৬ দশমিক ১৯ ভাগ। জুলাই মাসের চেয়ে বেশি। জুলাই মাসে ছিল ৬ দশমিক ১০ ভাগ।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




