ব্লগে এখন চলছে অতিথিদের আনাগোনা। মন্তব্যকারীদের অধিকাংশবি অতিথি। বেশ ভালো লাগলো।
কিন্তু অতিথিরা যে তিথি নক্ষত্র না মেনেই চরে আসেন- তার জন্য গৃহকর্তৃকে যে ঝামেলায় পড়তে হয়। এই নন্দিত ঝামেলায় আমাকে প্রায়ই পড়তে হয়...
ব্যাচেলর। ছোট্ট একটি বাসা (ভালোবাসা নয়) নিয়ে থাকি। সকারল হোটেল মেরে যাই অফিসে। দুপুরে বরাতে (হোটেল বরাত) যা জোটে...। কিন্তু রাতের ব্যবস্থাওতা নিজেকেই করতে হয়। বুয়া একজন আছে। কিন্তু....
গত মাসাথিদ কাল ধরে বুয়া সাহেব দেশান্তরী। কিছু না বলেই লাপাত্তা। কোন হদিছ নেই। কি আর করা। পেট ওতা আর মানছে না। তাই রাতের রান্না নিজ হাতেই করতে হয়। তাছাড়া রান্নাটা আমি ভালোই করি। বুয়াও বেশ রাঁধে। কিন্তু আমার মতো না।
মাঝে মাঝে মেনুতে চলে আসে ব্রয়লার। রান্না দুত হয় বলে। কিন্তু এখানেও অতিথি বিড়ম্বনা। দুবন্ধু আর আমি রাঁধুনি ৩ জন মিলে দেড় কেজির ব্যবস্থা হলো। কিন্তু রান্না শেষ করতেই হয়তো আরো ৪জন এসে হাজির। কেউ রবাহুত। কেউ অনাহুত। কেউ বা অনুমানে ঢিল মারে। অবশ্য কোন দিন যে ১০০% অতিথি থাকে না তা নয়।
যাহোক, আমি রান্না সেরে ঢুকলাম বাথরুমে। গোসল সেরে বেরিয়ে দেখি অতিথি! মহোদয়গণ শুভকাজটি প্রায় সমাপ্ত করে ফেলেছেন। কি আর করা...। রাধুনীদের নাকি কম খেতে হয়- এই সান্ত্বনা নিয়েই...
__________________________________
সেবার গিয়েছিলাম টুঙ্গিপাড়ায়। সদলবলে পিকনিক করতে। পহেলা বৈশাখে। খাবারের মেনুও ছিল তেমনি।
আমরা আসছি শুনে গোপালগঞ্জ ..... বন্ধুরা ১পায়ে খাঁড়া। ওরাও যোগদিল। কিন্তু ১৫০ টাকা চাঁদার কথা ওঁরা বেমালুম ভুলে গেল। ওরা আমাদের অ-তিথি হলো। তো কি আর করা। আমাদের ৩০জনের আয়োজনে মোট ৬৫জনের ভুরিভোজ।
কিন্তু আমাদের বিজ্ঞ অতিথিমহোদয়গণ আমাদের আতিথিয়েতা শতভাগ গ্রহণ করলেন। সুড়সুড় করে ওরা সবাই বসে গেল। কব্জি ডুবিয়ে আমাদের পাচকগণের রান্না সাবাড় করল। ফলাফল আমাদের জন্য শূন্য।
কি আর বলা.. ওঁরা অতিথি। কথায় বলে অতিথি নারায়ণ। আমি অবশ্য বলে এসেছিলাম- এহেন নারায়ণের গুষ্ঠি...
_________________________________
আমি কিন্তু অতিথি পরায়ন। নোমাইন্ড ফ্যামিলির লোক। যে কোন সময় যে কোন কেউ অতিথি হতে পারবেন। ঢালাও আমন্ত্রণ রইল। তবে হ্যাঁ, খোঁজ নিয়ে আসবেন কোনদিন...