March 4 at 7:14am ·
নাস্তিকরা তাদের মতবাদকে প্রতিষ্ঠা করতে বিজ্ঞানের অপপ্র্রয়োগ করতে চলছে। ঠিক ধর্মের অপব্যাবহার করে সুযোগসন্ধানীরা যেমন মানবতার পরিপন্থী কাজ করেছে। তাদের মতই। ধর্মের সঠিক বানী অন্তরালে রেখে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করে নিজেদের স্বার্থ প্রতিষ্ঠার জন্য যারা এত দিন মানুষকে ধোকা দিয়েছে তাদের মতই।
নাস্তিক এবং আস্তিক দুটোর মধ্যে পার্থক্য সন্দেহ আর বিশ্বাস।
আমি মধ্যপন্থা অবলম্বন করে ব্যাপারটা ব্যাখ্যার চেষ্টা করছি।
নাস্তিক কি স্রষ্টাকে বিশ্বাস করে না?
যদি উওর হয় না তবে তাকে ২য় প্রশ্ন করা হবে। ধর্মের আদি ইতিহাস কিভাবে অস্বিকার করবেন?
তারা বলবে এগুলো সেই সময়কার বানানো গল্প। মানে আসমানী কিতাব নবীরা তৈরি করেছে?
নবীরাতো মানুষ, তাদের পক্ষে কি সম্ভব আসমানী কিতাব তৈরি করা? এছাড়া এত আগের মানুষ এবং প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছাড়া কিভাবে সম্ভব এক জন মানুষের পক্ষে বিস্তর এমন ধর্মিয়গ্রন্থ রচনা করা।
বড় বড় দার্শনিকদের দিকে লক্ষ করি তাদেরও রচিত গ্রন্থ আছে সেগুলোতো ধর্মিয়গ্রন্থ হতে পারেনি। কিংবা তাদের অনুসারি তৈরি হয়নি। তবে পার্থক্য কোথায় ছিল? অনেক নবী দুনিয়াতে এসেছিলেন প্রধান কয়েকজন ছাড়া বাকিদের সম্পকর্ে আমাদের জানা সীমিত। যাদের ধর্ম সম্পকর্ে বিস্তর জ্ঞান তাদের জানা থাকতে পারে। যাই হোক এসব নিয়ে পরে আলোচনা করব।
প্রাচীন সভ্যতার নিদর্শন দেখে বর্তমান বিজ্ঞানও হতভম্ব। পিরামিড সহ অসংখ্য নিদর্শন আছে যেগুলো দেখে কিছু নাস্তিক বিজ্ঞানির ধারনা যে, এগুলো মানুষ দ্বারা নির্মিত নয়।
কারন এত হাজার বছর পূবর্ের মানুষের পক্ষে এসব তৈরি করা সম্ভব না। তখনকার দিনে বিজ্ঞানের এত উৎকর্ষ ছিল না নামানুষের মধ্যে। উক্ত নিদর্শন নির্মান করতে অবশ্যই বিজ্ঞানে ভাল পারদর্শী হতে হবে। কারন এতে বিজ্ঞানের সূক্ষ্ম প্রয়োগও আছে। এছাড়া এসব নির্মান করতে উপর থেকে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। আর তখন বিমান ছিল না। বর্তমান বিজ্ঞানও নাকি ব্যার্থ এত স্থায়ী আর সূক্ষ্ম বিজ্ঞান স্থাপনা নির্মান করতে।
তাই আস্তিকদের যুক্তিকে উড়িয়ে দিতে নাস্তিকদের নতুন যুক্তি হল এই নিদর্শন মানুষ দ্বারা নির্মিত হয় নি। এগুলো এলিয়েন নামক বিনগ্রহের প্রানীরা নির্মান করেছে।
প্রশ্ন হল, এসব এলিয়েন কি বিজ্ঞানের দ্বারা প্রমানিত? নাকি কল্পিত কাহিনী?
না এসব এলিয়েনরা বিজ্ঞান দ্বারা প্রমানিত না। উল্টো নাস্তিকমনা বিজ্ঞানিরা মানুষকে এলিয়েন বানিয়ে মানুষের সৃজনশীলতার ইতিহাস মুছে দিতে চাইছে। তারা সৃষ্টিকর্তার অস্তত্ব অস্বিকার করতে গিয়ে মিথ্যে ইতিহাস বোঝাতে চাইছে মানুষকে।
কিন্তু তারা প্রমানহীন যুক্তি দাঁড় করিয়ে বিজ্ঞানের ক্ষতি করে চলছে। মানুষকে বোকা বানানোর পায়তারা করছে।
এছাড়া তারা এও বলছে, এলিয়েনরা তখনকার নারীদের সাথে যৌন সম্পকর্ করে তাদের গর্ভে সন্তান দিয়েছে। ফলে এলিয়েনদের পরবর্তী প্রজন্ম তাদের স্মরন করতে সৃষ্টিকর্তাকে স্বীকার করছে।
মানুষের অতীত প্রজন্ম নিয়ে নাস্তিকদের এমন গৃণ্য মতবাদকে ধিক্কার জানানো ছাড়া আর কিছুই করার নেই।
বিবর্তন মতবাদ নিয়ে নাস্তিকদের বিশ্বাস ছিল তুঙ্গে। কিন্ত হাস্যকর ব্যাপার এই বিবর্তন মতবাদ প্রমানিত বিজ্ঞান নয়, ধারনা মাত্র। তেমনি কল্পিত হাস্যকর কাহিনী এলিয়েন।
তাই বলা যায় নাস্তিকরা আসলেই নাস্তিক নয়। তারা বিশ্বাস করে অজ্ঞতাকে, বিশ্বাস করে বানর এবং এলিয়েন তাদের পূবর্ পুরুষ।
এই ঠুনকো মতবাদের উপর ভিত্তি করে নাস্তিকরা ধর্মিয়গ্রন্থ এবং ধর্মের বিরুদ্ধে অপবাদ ছড়াচ্ছে। ফলে ধর্মীয় উগ্রবাদীরা তাদের উপর চড়া হচ্ছে। এভাবে সমাজে বিশৃঙ্খলতা দেখা দিচ্ছে।