বাংলাদেশের বাণিজ্য বিনিময় প্রায় অর্ধেকের বেশি আমেরিকা নির্ভর।
বাংলাদেশের নৌবাহিনীর সাথে বঙ্গপোসাগরে আমেরিকান নৌবাহিনীর আনাগোনা দেখা যাচ্ছে। মনে রাখতে হবে আমেরিকা একবার যেখানে অবস্থান করে সে যায়গা নিজেদের করে নেয়।
এরমধ্যে বঙ্গপোসাগরের তেল গ্যাস তাদের অধিনে আছে।
এরমধ্যে আমেরিকা বাংলাদেশের সেন্টমার্টিন নেওয়ার জন্য দাবী করেছে।
বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ আমেরিকার হাতে।
বাংলাদেশের সবচেয়ে মেধাবী লোকগুলোকে আমেরিকা নিজেদের বাহুতে বন্ধী করে নিচ্ছে। ঢাকা EMK centre এ গিয়ে দেখতে পারেন নমুনা।
১৯৭১ থেকে এ পযন্ত আমেরিকার মনোভাব বদলায় নি।
যুদ্ধাপরাধীর পক্ষে তাদের অবস্থান। যদি কোন দেশোদ্রোহী মাথাচাড়া দিয়ে উঠে আমেরিকা তাদের সাহায্য করে।
আইএস বাংলাদেশে আছে বলে আমেরিকা যে থিউরি দিচ্ছে তা আমেরিকান চক্রান্তের অংশ।
আমাদের দেশে আমেরিকা বোমা মারলে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো প্রতিপক্ষকে দোষ দেবে। মানে দেশের বুদ্ধিজীবী রাজনৈতিক নেতাসহ সব মানুষ অন্তদ্বন্দে আছে। আর এই সুযোগটা আমেরিকা নেবে।
তারা নৌঘাটি , অর্থনীতি, রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করবে যখন আমারা অন্তদ্বন্দে আরও বিভাজিত হব।
প্রশ্ন হল আমেরিকা কেন আমাদের দেশে আগ্রাসন চালাবেঃ
আগামীর শক্তিধর রাস্ট্র চীনকে ঘায়েল করা কিংবা ভারতকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে আমেরিকান প্রভাব জরুরি।
আমরা ভাগ্যবান আমাদের ভূখণ্ডের জন্য।
কারন চীন ও ভারত চাইবে না আমেরিকান প্রভাব এখানে সৃষ্টি হোক।
একইভাবে ভারত ও চীন চাইবে এখানে তাদের অবস্থান শক্ত করতে। কিন্তু কেউ কাউকে দিবে না।
যার পক্ষান্তরে বাংলাদেশ নিয়ে ত্রিমুখী একটা মনোন্তর যুদ্ধ হতে পারে।
তাই আমাদের রাজনৈতিক এবং বুদ্ধিজীবীদের চিন্তাধারায় এই প্রেক্ষাপট মাথায় রাখা দরকার। যেন কিছুতেই আমেরিকাকে প্রশ্রয় না দেয়।