পাতলা প্রাচীর কাঁটাতারে পূর্ণ,
একপাশে তার পাপ, অপর পাশে পুণ্য।
প্রাচীরের পাড় ঘেষে হেটে চলে আবেগহীন মানুষ।
নীতির পথে হোঁচট খেলেই ওড়ায় পাপের ফানুশ।
লাল-কালো রক্তে দেয়াল রঙিন,
বেঁচে থাকার অভিযানে হেঁটে চলে রাতদিন।
দুয়ারে দাড়িয়ে মৃত্যু,
কবিতায় বসেনা চিত্ত,
লুটের নেশায় মত্ত,
বাসনারা করে চলে উদোম নৃত্য,
একঝাক পাখি উড়ে যায়,
জানি এটা স্বপ্ন, সত্যি নয়।
কবিতারা করে চলে শীৎকার,
একেকটা রাত,
মিছে ভয়, আবেগকে হারাবার।
পথ চলে অজানার দিকে,
এই বুঝি রাত হয় ফিকে।
আশংকারা করে চলে চিৎকার
কণ্ঠ আজ কারারুদ্ধ,
তবু অক্লেশে গলা ছেড়ে গেয়ে উঠি,
ভাঙতে চাই জড়তার কারাগার।
মানুষ মরছে দ্রোহে,
আজন্ম বেঁচে থাকার মোহে।
বাসনারা বরাবরই ঠকে যায়,
হারায় বেঁচে থাকার ন্যূনতম অধিকার।
যেদিকে দুচোখ যায়, দেখি প্রভু আর ভৃত্য,
জানি আশাকে ধরতে পাবোনা।
তবু কেন আশাকে পাবার আশায়, নাচে মোর চিত্ত!
জন্ম হয়েছে বড় সস্তা
বেঁচে থাকাটা কঠিন।
না পাওয়ায় পূর্ণ রাত্রি,
বিবেক নিষ্ঠুরের অধীন।
একঘেয়ে জীবনের হতাশায়
ধোয়া হয় জীবন সঙ্গী।
পথ খুজে চলি অজানায়,
চারিদিকে কপট হাসি, কপট অঙ্গভঙ্গি।
একদিন হবে এ খোঁজের অবসান।
সেদিন পাবো দুয়ারে মৃত্যু দণ্ডায়মান।
............................................................
তারিখঃ মার্চ , ২৯, ২০১৩ ; দুপুরঃ ২.১৪