কয়েক মাস আগের কথা।আমি আর তপু টি এস সি তে বসে চা খাচ্ছি আর সুন্দরীদের আনাগোনা দেখে আফসোস করছি , আহা ! আমাদের জীবনেও যদি কোন সুন্দরী থাকতো তাহলে জীবনটা কতোই না সুন্দর হতো। এই আফসোস করতে করতে হটাত তপুর মনে হইল এইখানের চেয়ে সুন্দরী মেয়ে মনে হয় ধানমণ্ডি তে বেশি থাকে। সাথে সাথে আমিও সায় দিলাম এবং তারে আশ্বস্ত করলাম আমি ধানমণ্ডি তে অনেক সুন্দরী আগে দেখছি এবং আমাদের আশাহত হওয়ার কোন কারন নাই। এই বলে দুইজন বাইকে উঠলাম। বাইক যখন সিটি কলেজ পার হচ্ছে তখন তপুরে বললাম দোস্ত খিদা লাগছে। ও বলল সামনে স্টার হোটেল আছে ওইখানে খাওয়া যাবে কিন্তু হোটেলের সামনে যেয়ে মনে হইল টাকা দিয়ে হোটেলে না খেয়ে একটা সেন্টারে গিয়ে বিয়ের দাওয়াত খেলে মন্দ হয় না। এই কথা বলা মাত্রই হালকা কৃপণ তপুর মুখ খুশিতে উজ্জ্বল হয়ে উঠলো।
কিন্তু কোথায় যাওয়া যায় এইটা ভাবতেই মনে হইল কিছুদিন আগে ৮ নাম্বারে এক বন্ধুর বিয়ের দাওয়াত খেতে আসছিলাম এবং সিদ্ধান্ত নিলাম ওইখানে যাওয়ার।ওইখানে যেয়ে দেখি একটা পতাকাবাহী গাড়ি ঢুকছে,সাথে সাথে তপু আকর্ণ হাসি দিলো এবং আমিও ভাবলাম যেহেতু ভিআইপি ঢুকছে তার মানে জম্পেশ খানাপিনা হবে। ভেতরে ঢুকে আমরা ওয়াশ রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে আসলাম। এরপর পুরা বিষয়টা বুঝার জন্য ঘুরাঘুরি করতে লাগলাম। এক ফাঁকে বর কনের সাথে ছবি তোলাও হইলো। এবার আমরা খাওয়ার জন্য ঘুরতে লাগলাম কিন্তু খাওয়ার কোন আয়োজন দেখছি না। তখন মনে হইলো খাওয়া মনে হয় দোতালায়, এটা ভেবে দোতালায় গিয়েও হতাশ হলাম। তখন দুজন মিলে ভাবতে লাগলাম যে বিষয়টা আসলে কি , পরে বুঝতে পারলাম যে এটা একটা ঘরোয়া অনুষ্ঠান এবং বেশি লোক এইখানে ইনভাইটেড না। পুরাই বেকুব হইয়া তপুরে কইলাম দোস্ত ভাগতে হইব নাইলে কপালে খারাপি আছে। এই ভেবে দুইজন বের হচ্ছি তখন বাইরে দেখি এক লোক পান নিয়ে দাড়িয়ে আছে , আমি ভাবলাম পান মনে হয় বিয়ে বাড়ি থেকে ফ্রি দিচ্ছে তাই খুব ভাব নিয়া একটা পান মুখে দিয়ে যেই চলে যাইতে নিছি লোকটা বলল ভাই ২০ টাকা দেন। দ্বিতীয় বারের মতো বেকুব হয়ে পুরাই ভাষাহীন হইয়া গেলাম।
বের হওয়ার পর তপু কইল দোস্ত আজ বিয়ে বাড়িতে ভাল-মন্দ না খেয়ে বাড়ি যাবো না। আমিও তার কোথায় সায় দিয়ে বললাম বেকুব যেহেতু হইছি আরও হবো তারপরও ভাল-মন্দ খেয়েই যাবো। এই কথা বলে ধানমণ্ডি জিং যিয়ান এর সামনে দিয়ে বাইক নিয়ে যাচ্ছি, ভেতরে তাকিয়ে দেখি বরের গাড়ি। তপুরে কইলাম দোস্ত বরের গাড়ি যেহেতু আছে এইখানে মনে হয় খাওয়া মিস হইব না। এই কথা বলে দুইজন ঢুকে গেলাম। রাত তখন ১১ টা। ঢুকেই বর-কনের সাথে ছবি তুললাম। বরের দিকে তাকাইয়া দুইবার মুচকি হাসি দিলাম। ব্যাটারে চেনা চেনা লাগতেছিল। এরপর খেতে যেয়ে দেখি জায়গা নাই ওয়েট করতে হইবে। কি আর করা,অবসর সময় বসে বসে দেখতে ছিলাম ডানা কাটা কোন পরী আসছে নাকি। কিন্তু চোখে পড়ার মতো কাউরে দেখলাম না । আফসোস ! বড়ই আফসোস! এরপর খেতে বসে পুরাই আহাম্মক হইয়া গেলাম, দেখি বর ও কনের কাছের লোকজন ছাড়া খাওয়ার বাকি কেউ নাই। আমি তো ভয় পাইতে ছিলাম যে ধরা না খাইয়া যাই কিন্তু তপু আমারে অভয় দেয়ায় মনে সাহস পাইলাম। আমরা খেতে বসছি কনের মামার সাথে। আমরাও উনাকে মামা সম্বোধন করায় উনি বিরাট খুশি হইলেন এবং তার খুশি থাকতে থাকতে আমরা তার ভাগের চিকেন ফ্রাই টা ভাগ করে নিলাম।
খাওয়া সেরে রাস্তায় নেমে দেখি প্রচণ্ড বৃষ্টি। দুইজন বাইকে পুরা ভিজে বাসায় ফিরছি সাড়ে বারটার দিকে। খাওয়াটা জোশ ছিল

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




