somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

এলো মেলো ভাবনার রাত!

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০০৬ বিকাল ৫:৫৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমি কি ভাবছি তা যদি পুরোটাই বলতে পারতাম ! ব্রুটালি অনেস্ট , আমিই হতে বলেছি ! তবু কোথায় যেন ভীষন লাগলো!
কেন?
জানি না।
আজকাল খুব গভীর করে ভাবতে ইচ্ছে করে না কোন কিছুই । জটিলতাবিহীন একটা আপাত শান্ত সরবরের মতো জীবনের স্বপ্ন আমি মনের খুব গভীরে , কোথাও , বড় যত্নে লালন করি। মায়েরা যেমন ছোটবেলার মোজা বা মেয়েরা আদর করে ধরে রাখে প্রথম পুতুল খেলার পুতুল! ইষ্টি কুটুম, বাপের বাড়ি , শ্বশুর বাড়ি, পালকি..............আরো কত কি!!!!

খেলা গুলো মনে পড়ছে! খেলাই তো! সবটাই খেলা!

শিশুকালটা বার বার শুনেছি , মানুষ হও। মেয়ে না, মানুষ! বাবা বলতেন, "আমার এই সব সন্তানরাই আমার মুখ উজ্জ্বল করবে" । কেউ যদি বলে ফেলতো, এরা আপনার মেয়ে? বাবা -মা শুধরে দিতেন, "মেয়ে নয়, সন্তান"। মা, বিশেষ করে, বাবা পছন্দ করতেন না, আমি মেয়ে হয়ে উঠি! আমি আগে মানুষ, তার পর অন্যকিছু ! বাবার কাছে আমি তাই সব সময়ই কমরেড! আদর করে ডাকা সেই ডাক এখনো কানে বাজে, " বাবা জীবন, উঠে পড়ো , সূর্য উঠে গেছে, তুমি কেন শুয়ে?"

আমি সত্যিই জেগেছিলাম! আমি মানুষ হয়ে উঠেছিলাম। আমি নিজেকে নারী হিসেবে ভাবতে তেমন একটা শিখিনি!

বেশ কিছুদিন ধরেই লক্ষ্য করছি, আমি না চাইলেও , আশে পাশের সবার চোখে আমি কেবলই নারী! আমার মনে থাকে না মোটেই , কিন্তু ওরা যেন কিছুতেই ভুলতে পারে না, আমি নারী। সমস্যা কি তাতে?

সমস্যা অনেক! আমার মনে থাকে না, কাউকে ভাল লাগলেই বলে ফেলা যাবে না, "তোমাকে ভাল লাগে"! লোকে প্রেম খুঁজবে! কারো প্রশংসা করার উপায় নাই। কারো সাথে মন খুলে কথা বলার উপায় নাই। কারো দিকে তাকানো যাবে না! কারো চোখে তাকিয়ে বলা যাবে না মোটেই, "বাহ! আপনি তো দারুন লেখেন" !

আরে বাবা, পরিচয় হলো কালকে ! আমি কি করে জানবো , দুদিন পরে তোমাকে আমার আরও ভালো লাগবে? নাকি তোমার কাছ থেকে পালাতে ইচ্ছে করবে?

মানুষ আজকাল দ্রুতই চায় জীবনের পথ চলতে। খুব হিসেবি আমরা! পরিচয়ের শুরুতেই জেনে নিতে চাই, বিবাহিত না অবিবাহিত? বুকড না অ্যাভেইলেবল! খালি হলে আমার পাওয়ার সম্ভাবনা কত টুকু?

মানে , তোমার সাথে যদি প্রেমের কোন সুযোগ না থাকে, তাইলে তোমার পিছনে সময়, টাকা ইনভেস্ট করবো কেন? বন্ধুত্ব? এইটা আবার কি? খায় না পড়ে?

কাউকে নিঃস্বার্থ ভাবে কিছু দেওয়াটা কি আজকাল এতই দুর্লভ হয়ে গেছে?

কাকে যেন ভয়ানক রেগে গিয়ে বলে বসেছিলাম, " প্লিজ লেট হিম নো দ্যাট আই এ্যাম নট লুকিং ফর এনি রোমান্টিক রিলেশনশিপ উইথ এনি ম্যান , অর উমেন, ফর দ্যাট ম্যাটার" !!! রাগটা হয়েছিল অই হিসাব কিতাবের গনিত দেখে ! আশ্চর্য! " হাউ ক্যান উই বি লাভারস ইফ উই ক্যান্ট বি ইভেন ফ্রেন্ডস?" গানটা খুব মনে পড়ে!

গনিত আমি পারি না! আমি চিরকালই অংকে ভীষন কাঁচা ! তাসও খেলিনি কখনো ! তাই বুঝি না, ঠিক কি ভাবে মানুষ খেলে ! সম্পর্ক নির্মানের ক্ষেত্রে ঠিক কখন কোন কার্ডটা ফেললে "ভারি লাভ হবে" ।

আমি আসলে খেলতেই চাই না! খেলাটা আমার কাছে ঘৃণার ! আমি নির্দ্বিধায় সত্য বলতে চাই।

যেদিন পরিচিত হয়ে খুশি হবো, সেদিন, "পরিচিত হয়ে খুশি হলাম" ই বলতে চাই!

যেদিন ভালো লাগবে, সেদিন, " তোমাকে ভালো লাগে" ই বলতে চাই!

যেদিন ভালবাসবো, সেদিন, " তোমার ভীষন শক্ত হাত দুটোতে আমার নরম হাত দুটো রাখি? ছেড়ে দেবে নাত? " বলতে চাই !

যেদিন মনে হবে তুমি আমার , সেদিন, " ক্লান্ত হলে বিছানা খুঁজো কেন? তোমার চিবুক আমার বুকেই রাখো" বলতে চাই!

যেদিন জানব , প্রেম এসেছে, তার পর থেকে প্রতিদিন ভোরে আমি তোমার সাথেই ঘুম থেকে উঠতে চাই! তোমার সাথেই জোৎস্নায় ভাসতে চাই। আর ভীষন বুড়ো বয়সে তোমার কানে কানে বলতে চাই, "আরে! ঐ যে, ঐ বইটা পড় তো, ভালোবাসার বইটা !!!"

Song: Book Of Love Lyrics
The book of love is long and boring
No one can lift the damn thing
It's full of charts and facts and figures and instructions for dancing
But I
I love it when you read to me
And you
You can read me anything
The book of love has music in it
In fact that's where music comes from
Some of it is just transcendental
Some of it is just really dumb
But I
I love it when you sing to me
And you
You can sing me anything
The book of love is long and boring
And written very long ago
It's full of flowers and heart-shaped boxes
And things we're all too young to know
But I
I love it when you give me things
And you
You ought to give me wedding rings
And I
I love it when you give me things
And you
You ought to give me wedding rings
And I
I love it when you give me things
And you
You ought to give me wedding rings
You ought to give me wedding rings
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ৮:১৮
৩৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদের উচ্চ কক্ষের নির্বাচন আগে দিয়ে দেখতে দিন কে বাঘ কে বিড়াল?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৪৬



সব দলের অংশগ্রহণে পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদের উচ্চ কক্ষের নির্বাচন আগে দিন। কোন দলকে জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে কি করেনি সেইটাও জাতিকে দেখতে দিন। পিআর পদ্ধতির জাতীয় সংসদের উচ্চ... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিশ্চিত থাকেন জামায়েত ইসলাম এবার সরকার গঠন করবে

লিখেছেন সূচরিতা সেন, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৪২


আমাদের বুঝ হওয়ার পর থেকেই শুনে এসেছি জামায়েত ইসলাম,রাজাকার আলবদর ছিল,এবং সেই সূত্র ধরে বিগত সরকারদের আমলে
জামায়েত ইসলামের উপরে নানান ধরনের বিচার কার্য এমন কি জামায়েতের অনেক নেতা... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রকৌশলী এবং অসততা

লিখেছেন ফাহমিদা বারী, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:৫৭


যখন নব্বইয়ের দশকে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সিদ্ধান্ত নিলাম এবং পছন্দ করলাম পুরকৌশল, তখন পরিচিত অপরিচিত অনেকেই অনেকরকম জ্ঞান দিলেন। জানেন তো, বাঙালির ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ডাক্তারিতে পিএইচডি করা আছে। জেনারেল পিএইচডি। সবাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি ভারতকে যাহা দিয়াছি, ভারত উহা সারা জীবন মনে রাখিবে… :) =p~

লিখেছেন নতুন নকিব, ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:১৫

আমি ভারতকে যাহা দিয়াছি, ভারত উহা সারা জীবন মনে রাখিবে… :) =p~

ছবি, এআই জেনারেটেড।

ইহা আর মানিয়া নেওয়া যাইতেছে না। একের পর এক মামলায় তাহাকে সাজা দেওয়া... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযুদ্ধের কবিতাঃ আমি বীরাঙ্গনা বলছি

লিখেছেন ইসিয়াক, ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:১৫


এখনো রক্তের দাগ লেগে আছে আমার অত্যাচারিত সারা শরীরে।
এখনো চামড়া পোড়া কটু গন্ধের ক্ষতে মাছিরা বসে মাঝে মাঝে।

এখনো চামড়ার বেল্টের বিভৎস কারুকাজ খচিত দাগ
আমার তীব্র কষ্টের দিনগুলোর কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×