শুক্রবার বিকেলে টাউন হল উন্মুক্ত মঞ্চে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের যশোর জেলার সভাপতি হারুন অর রশীদ। বক্তব্য রাখেন গেরিলা কমান্ডার মোশারেফ হোসেন, কবি ফখরে আলম, সুকুমার দাশ, রুহুল হক খোকা, সানোয়ার আলম দুলু প্রমুখ।
জাতির এই শ্রেষ্ঠ সন্তানকে বিজয় দিবসের গান, নাটক আর কবিতায় সংবর্ধিত করা হয়। অনুষ্ঠানে তাকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করেন রুহুল হক খোকা।
বক্তারা বলেন , ১ কোটি ৮০ লাখ লিটার রক্তের বিনিময়ে অর্জিত মাতৃভূমিকে রক্ষা করতে তরুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের আলোয় আলোকিত করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য ও আদর্শকে বুঝে নিতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য কেন ব্যর্থ হওয়ার পথে?
এই প্রশ্নের যথাযত উত্তর খুঁজে বের করতে হবে। না হলে বাঙালি জাতি দিশেহারা জাতি হয়ে থাকবে। বাঙালিরা পাকিস্তানি জাতীয়তা পরাভূত করে বাঙালি জাতীয়তা গ্রহন করেছিল। আজকে যারা বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের কথা বলে তারা সেদিন বাঙালিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিল। নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, ধর্মের কথা বলে যারা জাতিকে বিভক্ত করছে তারা ধর্ষক , লুটপাটকারী এবং মানবতার শত্রু।
বক্তারা আরো বলেন, নিজামী, মুজাহিদী ৭১'র রাজাকারদের দুই সিপাহশালার ছিল । অথচ, বি এন পি তাদের সাথে নিয়ে ক্ষমতায় যেয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের রক্তে রঞ্জিত জাতীয় পতাকা নিয়ে গাড়িতে ঘুরে বেড়িয়েছে। যা জাতির জন্য দুঃখজনক । জনতার আদালতে তাদের বিচার করা হবে।
অর্থনৈতিক মুক্তি ছাড়া স্বাধীনতার সুফল ভোগ করা যাবে না উল্লেখ করে বক্তারা বলেন , মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে অর্থনৈতিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে আপোষহীন সংগ্রাম করেই মুক্তিযুদ্ধের যথার্থতা প্রমাণ করতে হবে!
-----------------------------------------
খবরটা পড়ে গর্ব তো হচ্ছে! কিন্তু, এই ক্রান্তি লগ্নে যে ষড়যন্ত্রের রুপ সামনে দেখছি, তা থেকে বেরিয়ে আসার কোন পথ তো আসলেই দেখছি না! বি এন পি? আওয়ামী লীগ কি করছে ? মিলে মিশে সরকার গঠন করে এই বিষবৃক্ষ রোপনের দায় লীগ কি এড়াতে পারবে?
জামাতের জন সমর্থন বলে আসলেই কিছু নেই। আছে টাকা আর ভুল রাজনীতির প্রশ্রয়!
বাস্তবতা হলো, ক্ষমতার রাজনীতি আমাদের খেয়ে ফেলেছে।
আলোকিত আর হওয়ার সময় নেই, এখন সোসাল ক্লিঞ্জিং এর সময়। বড় বেশি নোংরা চারিদিকে!!!
৭১ এ তুমি যা শুরু করেছিলে, আজ ২০০৬ এর শেষে এসে বুঝছি না, আমরা কি সেই অর্জন হারাতে চলেছি? তুমি তো ঠিকই শুরু করেছিলে , আমি তাকে এগিয়ে নিতে পারছি না কেন ?
তোমার কন্যা হওয়ার যোগ্যতাই বোধ হয় এখনো হয়নি আমার ! তবে আমি হাল ছাড়ার পাত্রী নই, যতক্ষন দেহে প্রান আছে, ভিতরের আগুনটুকু নিভবে না। নানু, মামা আর চাচুর লাশের উপর দিয়ে হেটে আমি নব্য "রাজাকারী বাংলাদেশে " পথ চলবো না। কোথাও কোন আপোষ নেই, নেই কোন ক্ষমাও।
সালাম কমরেড!!! জয় বাংলা!
[তোমার লম্বা মেয়েটা]
১৬ই ডিসেম্বর ২০০৬
ঢাকা
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১০:০৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



