যাক সে সব। ছবি গুলোর সাথে জামাতী নেতা কামরুজ্জামানের ছেলের নাইটক্লাবের ছবিগুলোর মিল পেলাম। পার্থক্য হলো , ইয়েশিম নিজের জীবনে নিজেকে খাঁটি মুমিন মুসলমান হিসেবে দাবী করেছে বলে কোথাও দেখি নাই। সে ইসলাম প্রচার করে না। ইসলামের নামে ভোটও চায় না। সে তাকে ভোট দিলে বা তার পছন্দের দলকে ভোট দিলে বেহেস্ত এ যাওয়া যাবে এমন দাবীও কখনো করে নাই। সে কি ভাবে চলাফেরা করে সেইটা নিয়ে কোন কিছু লুকায় নাই। বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক কোন সিদ্ধান্ত সে নেয় না। সে বাংলাদেশ সরকার বা কোন রাজনৈতিক দলের নেতা নয়। তাহলে ইয়েশিম কি খেলো , কি পরলো তাতে আমাদের কি আসে যায়?
জাফর ইকবাল বাঙ্গালী বলে বাংলাদেশ নিয়ে কথা বলতে পারেন।
ইয়েশিম কি বাঙ্গালী?
সে যদি নিজেকে আমেরিকান বা আমেরিকান বাঙ্গালী হিসেবে জীবনযাপন করতে চায়- আমাদের কোন অধিকার নাই সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে প্যাক প্যাক করার। যেদিন ইয়েশিম আমেরিকান বাঙ্গালী হয়ে বাংলাদেশের মানুষকে হেদায়েত করতে আসবে- সেইদিন তাকে প্রশ্ন করা যেতে পারে আদৌ তার সেই জ্ঞান বা অধিকার আছে কি না।
একটা ছোট্ট রিমাইন্ডার-

যাকে উপরের ছবিতে আপ্নারা দেখতে পাচ্ছেন তার নাম হাসান ইকবাল ওয়ামী । এসএসসি ও এইচএসসি ন্যাশনাল ব্যাংক স্কুল ও কলেজ থেকে। ইসলামি ইউনিভার্সিটি থেকে মিডিয়া এন্ড ম্যাস কমিনিকেশনে অনার্স করেছেন, এখন মাস্টার্স শেষ করেছে। শেষ সংবাদ অনুযায়ী ওয়ামী ফ্রান্সে ছিলো। তার একটি বিশেষ পরিচয় হলো সে কুখ্যাত রাজাকার, জামাতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল কামরুজ্জমানের পুত্র। একসময় ব্লগিং করতো সামহোয়্যার ইনে। মুক্তিযোদ্ধাদের কুকুর বলে সম্বোধন করাতে পুরো ব্লগ ফুঁসে ওঠে। প্রচন্ড রকমের দৌড়ানি খায় মুক্তিযুদ্ধের সমর্থনকারী ব্লগারদের কাছে।
ওয়ামী মদ খেয়ে ফরাসী বান্ধবীর গলা জড়িয়ে ধরে তাকে কোলে বসিয়ে প্রেম করবে , লিভ টুগেদার করবে আর বাংলাদেশে এসে ইসলামের নামে জামায়াতের প্রচার করবে - এইটা মোনাফেকি, ভন্ডামী, চরম প্রতারণা।
ইয়েশিমকে তো এই রকম জামায়াত ইসলামীর পক্ষে প্রচার করতে দেখি নাই।
জাফর ইকবাল যেহেতু বাংলাদেশ নিয়ে কথা বলেন, তিনি কি খান, কি পরেন নিয়ে সমালোচনা হইতে পারে। তিনি আজকে ইসলাম প্রচার শুরু করলে আমরা বলতে পারি তার কথা-কাজে মিল নাই।
একজন প্রশ্ন তুলেছেন যে হাসিনা বা খালেদার জীবন যাপন নিয়ে ছবি প্রকাশ করা গেলে ইয়েশিমকে নিয়ে কেন যাবে না। দুইটা এক ব্যাপার নয়।
হাসিনা, খালেদা, এরশাদ, নিজামী বা গো আযমের জীবন নিয়ে, আয় ব্যয় নিয়ে, ছবি নিয়ে , পড়ালেখার সার্টিফিকেট নিয়ে আলোচনা অবশ্যই করা উচিত । শুধু এরাই না, যারাই রাজনীতি করে, যে কোন নির্বাচনে দাঁড়ায় - তাদের সকলকে নিয়েই করা উচিত। কারণ,
১। এরা কেউ ব্যক্তিগত জীবনযাপন করে না। করে রাষ্ট্রীয় জীবন যাপন। জনগণের টাকায় চলে এমন কোন পাবলিক অফিস বা নির্বাচনে দাঁড়ালে পাবলিকের কাছে জবাব্দিহিতা করতেই হবে।
২। এই লোকগুলার জীবনযাপন এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের চরিত্র দিয়ে আমরা চিন্তিত থাকি কারণ এই সবের সাথে আমাদের জীবন জড়িত। এরা যা করে তার প্রভাব আমাদের জীবনে পড়বেই।
কিন্তু ইয়েশিমের কাজ কর্ম দিয়ে আমার কি? সে মানুষ না টেবিল চেয়ার -তা দিয়ে ভুরুঙ্গামারীর কি লাভ?
যতদূর মনে পড়ে জাফর ইকবাল একবার বলেছিলেন আমার বাচ্চারা বাংলাদেশে ফিরে নাই কারণ ওদের কাছে আমেরিকা ওদের দেশ।
তাই যদি হয় তাহলে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন,
ইয়েশিম কি বাঙ্গালী ?

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




