সব কিছুর একটা সীমা আছে। সেই সীমাটা ও অতিক্রম করে এসেছে। আমি আর রাগ ধরে রাখতে পারলাম না। উঠে গিয়েই একটা আঘাত করলাম। কিন্তু সে কোন প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারলো না। দেখাবে কি! পড়েই মাটিতে গড়াগড়ি দিতে লাগল। ভীষণ ছটফট করছে। আমি ভয় পেলাম। কারণ আমার হাত রক্তাক্ত হয়ে গেছে। কিছু বুঝে উঠার আগেই দেখি ওর নড়াচড়াও অফ! ব্যাপার কি! আঘাত খুব গুরুতর না। রামদাও, রিভলভার বা রগ কাটার ব্লেড কিচ্ছু না। মোটে একটা চড় দিলাম হাত দিয়ে! কিন্তু এতেই বেটার এই দশা!
তখনি কানে এল সাইরেন বাজছে। কাল পোশাকি অনেক লোক দেখতে পেলাম। বুঝতে দেরি হল না এরা কারা। এখন কি উপায়! না, এদের হাতে পড়ে মরার ইচ্ছা নাই! লড়াই করবো। হয় জিতবো, না হয় যা হওয়ার হবে।
আমার অস্ত্র বলতে দুই হাত। আমি লড়ার জন্যে তৈরি হলাম। যা থাকে কপালে! ওরাও খুব সতর্ক। হয়তো ভাবছে আমার কাছে ভয়ানক অস্ত্র আছে। ওরা সামনে এল না। ছড়িয়ে পড়তে লাগল। আমি কিছু বুঝতে পারলাম না। এমন করছে কেন ওরা। একটু পরই বুঝলাম আমাকে ঘিরে ফেলেছে ওরা। চারদিক থেকে আক্রমণ চালাবে। শুধু আওয়াজ হচ্ছে। হুইসেলের পর হুইসেল! এলোমেলো ছোটাছুটি! ভয়ানক পরিস্থিতি। একদম যেন যুদ্ধক্ষেত্র !
আমি আর থাকতে পারলাম না। ত্যক্ত হয়ে রুমে চলে এলাম। কালো কালো মশাগুলো ভীষণ পাজি !!