হাইকোর্ট বিভাগের শুনানির শেষ পর্যায়ে প্রধান বিচারপতি কতর্ৃক শুনানির স্থগিতাদেশ নজিরবিহীন নয়। আওয়ামীলীগ সমর্থক যেসব আইনজীবী এ ধরণের ঘটনাকে নজিরবিহীন বলেছেন, তারাই এ ধরণের নজির আগেই সৃষ্টি করে রেখেছেন। বিশিষ্ট আইনজীবী খন্দকার মাহবুব উদ্দিন ও সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিষ্টার মওদুদ আহমেদ বলেছেন, গত 30/11/06 বৃহস্পতিবার আওয়ামী আইনজীবী ও তাদের দলীয় সন্ত্রাসীরা দেশের সর্বোচ্চ আদালতে যে ঘটনা ঘটিয়েছে, এটিই নজিরবিহীন আর যে ইসূ্যতে এই ঘটনা শুনানির পর্যায়ে যে কোন পরে আবেদনর প্রেীতে শুনানী কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে এমন ঘটনা অতীতেও ঘটেছে। সর্বশেষ এই ঘটনা ঘটে গত 20 আগষ্ট 2006। ড: কামাল হোসেনের আবেদনের প্রেীতে একটি মামলায় হাইকোর্টের রায় প্রদান স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধান বিচারপতি। বিতর্কিত এনজিও'র চেয়ারম্যান কাজী ফারুক আহমেদের দায়ের করা একটি কোয়াশমেন্ট মামলায় 20 আগষ্ট বিচারপতি শরীফ উদ্দিন চকলার ও বিচারপতি শেখ আবদুল আওয়ালের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চের রায় প্রদানরে জন্য নিধর্ারিত ছিল। মামলার শুনানির তালিকাও সেদিন প্রশিকার কাজী ফারুক আহমেদেও দায়ের করা 1623/0005 মামলাটিতে লেখা ছিল রায় প্রদানের জন্য নির্ধারিত। ড. কামাল হোসেন প্রথমে এই আদালতে রায় প্রদান স্থগিত রাখার আবেদন করেন। আদালত তার এই আবেদন গ্রহন না করলে তিনি বেলা প্রায় 2টা পর্যন্ত রায় স্থগিত রাখার অনুরোধ জানান। এমতাবস্থায় তিনি বেলা 1টায় আপিল বিভাগের একজন চেম্বার জজের আদালতে গিয়ে মামলাটির রায় স্থাগিতাদেশ আনেন। বেলা 2টায় ড. কামাল হোসেন বিচারক আদালতে গিয়ে জানান, চেম্বার জজ আদালত মামলাটির রায় প্রদানের স্থগিতাদেশ দিয়েছে। এ ধরণের বহু নজির আছে বলে ব্যারিষ্টার মওদুদ বলেছেন। অপরদিক খন্দকার মাহবুব উদ্দিন আহমদ বলেছেন পাবলিক সার্ভিস রিটায়ারমেন্ট এ্যাক্টের আওতায় প্রদত্ত ুদ্ধ হয়ে কয়েকজন সরকরি কর্মকর্তা হাইকোর্ট বিভাগে রিট পিটিশন দায়ের করলে বিচারপতি হামিদুল হকের ডিভিশন বেঞ্চ সেই রিট পিটিশন শুনানির জন্য নির্ধারণ করা হয়। সরকার প েতৎকালীন এটর্নি জেনারেল হাসান আরিফ রিট পিটিশনের প্রেেিত কোনো রুল জারি না করে সরাসরি খারিজ করার আবেদন জানান। এটর্নি জানারেল তার আবেদনটি খারিজ আদেশ দিতে মৌখিকভাবে আদালতে অনুরোধ জানালে বিচারপতি হামিদুল হক মৌখিক আবেদন নাকচ করে দেন। তখন এটার্নি জেনারেল মৌখিকভাবে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন জানিয়ে সেই রিট মামলার আদেশ প্রদান স্থগিত রাখার আবেদন জানান। সরকার প েএটার্নি জেনারেল আপিল বিভাগে আবেদন করলে আদেশ প্রদানে স্থগিতাদে দেয়া হয় এবং সেই আপিল (সিএ নং 2003) শুনানি হয়নি। সেই রিট মামলাটির আর শুনানি হয়নি। ব্যারিষ্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ নিজেই এই রিট মামলাটিতে বাদী পওে আইনজীবী ছিলেন।
এ ধরনের নজির আরও আছে। তাই বলছি আওয়ামীলীগ যে দাবী করছে এই ধরণের স্থগিত আদেশ নজির বিহীন আসলে ব্যাপারটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



