somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

হাতুড়ি ডাক্তার আমাদের জাতিয় সম্পদ! অশ্রুসিক্ত হাজার জোড়া চোখ

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:১৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


"শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড" এই প্রবদটা পড়তে পড়তে বড় হয়েছি। ৪র্থ শ্রেণী থেকে শুরু করে ইন্টারমিডিয়েট পর্যন্ত বাংলা বিষয়ের যেন কমন একটা অনুচ্ছেদ। কিন্তু যখন ইন্টারমিডিয়েট পার করে দেশ ও জাতির কার্যক্রমের দিকে চোখ দিলাম তখনই সারা জীবনের পড়াশুনা কেমন যেন ব্যর্থ প্রতিপন্ন হলো।

মনে হচ্ছে শিক্ষা এই জাতিতে জুতা শেলাই করা মুচির চেয়েও নিম্ন মানের অথবা একজন মেথরের ও তার চেয়ে অধিক মূল্য আছে যতটা মূল্যায়ণ করা হয় শিক্ষার্থীদের।

সময়ে সময়ে প্রশাসন, জনগন আবার কখনো বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন রুলস্ দ্বারা প্রত্যেহ ধর্ষিত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। প্রশাসন আরো একধাপ এগিয়ে। নিজেদের দলের স্বার্থ হাসিলের লক্ষ্যে চালু করলো বিভিন্ন কোটা। এই কোটা ব্যবস্থা জাতিকে নিয়ে গেছে এক চরম হীনতর অবস্থায়।

এই কোটা ব্যবস্থার কারণে শাহবাগের চত্বরে দেশের মেধাবী ছাত্রদের উপর পুলিশের গুলি করতে হস্ত কখনোই কম্পিত হয় নাই।

আবার শিক্ষায় শুরু হলো ভ্যাট। খুব অবাক লাগে যখন উন্নত বিশ্ব স্কলারশীপ দিয়ে মেধাবীদের লালন পালন করে আর আমাদের দেশে শিক্ষার্থীদের উপরে ভ্যাট আরোপ করে। ভ্যাট বিরোধী আন্দোলন জাতির জন্য রেখে গেছে এক চরম নিদর্শন। পুলিশের বন্দুককে সামনে লাল গোলাপ দিয়ে জয় করে নিলেন শিক্ষার্থীরা। দেশের ইতিহাসে এই প্রথম আন্দোলন যা কোন প্রকার গ্রেফতার বা রক্ত বিসর্জন ছাড়াই সফলতা অর্জন করলো শিক্ষার্থীরা।

অপর দিকে বছরের পর বছর ধরে চলে আসছে প্রশ্নপত্র ফাঁস। আর এই পর্যায়ের প্রশাসন নির্লজ্জের মত বক্তব্য দিয়েই চলছে। যেমন ২০১৪ এর ইন্টারমিডিয়েট পরিক্ষা চলাকালে ঢাকা বোর্ডে বেশ কয়েকটি পরিক্ষা স্থগিত পর্যন্ত হয়েছে প্রশ্নপত্র ফাঁসের কারণে অপর দিকে প্রশাসন বলছে "আমাদের আমলে কোন প্রশ্ন ফাঁস হয় না"। ধিক্কার জানাই এরূপ প্রশাসনের জন্য যারা প্র্রশ্নপত্র ফাঁসের বিরুদ্ধে কোন প্রকার ব্যবস্থা না নিয়ে মুখে বড় বড় বুলি আওড়ায়।

শুধু এসএসসি আর ইন্টারমিডিয়েট ই নয়, পিএসসি,, জেএসসিতেও প্রশ্ন আউট হয় আমাদরে দেশে। তা কত বড় লজ্জাজনক তা হয় তারা বুঝবেনা কারণ তারাতো তাদের লজ্জা ঢেকে রেখেছে টাকার বস্তা দ্বারা।

অত:পর, যখন শুনি মেডিকেল এক্সামের প্রশ্ন আউট হয় তখন সত্যিই নির্বাক হওয়া ছাড়া কিছুই করার থাকে না। একটা জাতির অন্যান্য সেকশন থেকে স্বাস্থ সংক্রান্ত সেকশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অথচ আমাদের দেশে এই সেকশনেই বসছে সব অযোগ্য ব্যক্তি। যারা উচ্চ পর্যায়ে অবস্থান করার ফলে টাকার দ্বারা সিড়ি নির্মান করে আরো উচুতে উঠতে চান।

আপনাদেরকে বলছি শুনুন- "সামান্য হাঁচি বা কাঁশি হলেও নিজের চিকিৎসা করাতে চলে যান সিঙ্গাপুর তাই এদের ডাক্তার হাতুড়ে হুক বা র‌্যান্স তাতে আপনাদের কিছু আসে যায় না। কিন্তু মনে রাখবে এদেশের বাকি ১৮ কোটি মানুষ কিন্তু ঠিকই নির্ভর করতে হয় এই হাতুড়ি ডাক্তারের উপর। আর আপনাদের জন্য ডাক্তারি নামক এই মহান পেশা কলুষিত হচ্ছে। আজ যাদেরকে ১৫লাখ টাকার বিনিময়ে ডাক্তার করে দিচ্ছেন তারা কি ডাক্তার হয়ে জনগনের সেবা করবে ভাবছেন???
ইম্পসিবল কখনোই না, তারা কখনোই জনগনের সেবা করবে না। তারা আপনাদের কে যে অর্থ দিয়েছে তার চক্রবৃদ্ধি হারে সুদে আসলে আদায় করে নেবে। আর এ জাতি চিরকাল বাস করবে দারিদ্রসীমার নিচে। আপনারা উপরে বসে বসে দেখবেন তাদের আর্তনাদ এবং নির্লজ্জের মত হাসবেন প্রাণ খুলে। অত:পর, যেদিন আপনার সমাপ্তি ঘটবে তখন প্রভুর কাছে আপনার কার্যে জবাব অবশ্যই দিতে হবে। মনে রাখবেন।"

আজ যারা বাবার টাকার বলে ডাক্তার হচ্ছেন তাদের বলছি শুনুন- "মানুষ ইশ্বরের পর যদি কাউকে বিশ্বাস করে সে হলো ডাক্তার। বাবার টাকার বলে ডাক্তার হচ্ছেন হন কোন সমস্যা নাই। আপনার মাথায় থাকা প্রায় ১.৩-১.৫ পাউন্ড ওজনের ব্রেনটাকে কাজে লাগান। আমি জানি আপনাদের পরিক্ষা আর দ্বিতীয় বার হবে না। কারণ আপনাদের টাকা ভাগ করা হয়ে গেছে। সুতরাং, মেধাহীন নয় মেধাকে ঘর্ষণ করে তার থেকে জ্ঞানের বর্ষণ করেন। আপনারা হলেন হাজার হাজার মেধাবী স্টুডেন্ট এর ভাঙ্গা হৃদয় আর অশ্রু জলের কারণ। আপনাদের জন্য শুভ কামনা ক্যারি অন।"

গত বছর ৬৩.৫স্কোর যারা পেয়েছিলো তাদেরকে পর্যন্ত নিয়েছিল মেবি, আমার ঠিক মনে পড়ছে না। তবে এরকমই হবে স্কোর টা। আজ যারা এই স্কোরটা অতিক্রম করতে পেরেছেন তাদেরকে সহমর্মিতা জানানোর ভাষা আমার নাই। তবে আপনারাই প্রকৃত বিজয়ী। প্রায় দুই হাজার স্টুডেন্ট ৮০-৯০ পাইছে আসলে তারা এই মার্ক পায়নি পেয়েছে তাদের টাকা। যে স্টুডেন্টগুলো ইন্টামিডিয়েটে নাকানি চুবানি খাইছে তারা মাত্র ছয় মাসে এতটা ব্রেনি হয়ে যায়নি যে ৮০-৯০ হাতের তুরিত্পেই য়ে গেছে। আমার সমবেদনা আপনাদের কষ্ট লাঘব করতে পারবে না তাই সমবেদনা জানালাম না। শুধু এতটুকুই শান্তনা দিতে চাই স্বপ্ন ভেঙ্গেছে তাই বলে স্বপ্ন বলে স্বপ্ন দেখবেন না?? নতুন করে স্বপ্ন দেখুন শিখুন। নিজেকে এমন ভাবে গড়ে তুলুন যাতে করে এই ব্যাচের ডাক্তারারই উঠতে বসতে আপনাকে স্যার বলে সম্বোধন করে।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:১৭
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×