
কর্নেল তাহের
যিনি ৭ ই নভেম্বর খালেদের হাত থেকে জিয়ার জীবন রক্ষক বলে ব্যাপক রোমান্টিক প্রচারনা পেয়েছেন.......
যার শেতাংগ বন্ধু লিফশুলজ নামের কমিউনিষ্ট সাংবাদিককে হাসিনার দ্বিতীয় মাতা ইন্দিরা গান্ধী ভারতে নিষিদ্ধ এবং ভারত থেকে বহিস্কার করেছিলেন ভারতের আভ্যন্তরীন বিষয়ে নাক গলানোর অপরাধে........
যার সেনাবাহিনীকে ভেঙেচুরে নিজের খায়েশ মত বিপ্লবী বাহিনী তৈরীর চূড়ান্ত দেশদ্রোহের অপরাধ ধামাচাপা পড়েছে লিফশুলজ-শামসুদ্দীন মানিক জোড়ের নাটকবাজী সেয়ানাপনায়........
যিনি পংগুত্বের গ্লানি আর অক্ষম সেনা জীবনের হীনমন্যতায় ভোগা এক বরখাস্ত কর্নেল যার লেলিয়ে দেয়া "অফিসারের রক্তপিপাসু" সৈনিকদের হাতে বেঘোরে প্রান হারায় ৬০ জন নিরপরাধ সেনা কর্মকর্তা........
হাইকোর্ট নামের নীতির শক্তিভরা ন্যায়ের নিক্তি ঘর এখন রাজনীতির ক্লাবহাউস.......
আওয়ামী রাজনীতির ক্লাব হাউস.......
বিচারের রায় আসে মহামান্যা হাসিনার মর্জি মোতাবেক.......
রাজনৈতিকভাবে নিয়োগ পাওয়া , বিচারকের শপথ জুতোর নীচে মাড়িয়ে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে হম্বিতম্বি করা , যার তার সাথে ঘেউ ঘেউ করা শামসুদ্দীন মানিক নামের এক নেড়ী কুকুর সম্প্রতি এই তাহেরের প্রেমে দিওয়ানা হয়েছে........
এই শামসুদ্দীন নামের নেড়ী কুকুরের মুখে ন্যায়নীতির তর্জন গর্জন শুনে হয়তো অবাক হবেন যে এই সেই একই শামসুদ্দিন মানিক মালিবাগের সেই কুখ্যাত নাইনশ্যুটার মামলায় সন্ত্রাসী গড ফাদার ডাঃ ইকবালের উকিল ছিলো !
যাইহোক..........
৭৫ 'র নভেম্বর নিয়ে বহু পুরোনো ধড়িবাজ তথ্য অপরাধী প্রথম আলোর ক্যানভাসে তাহের এখন মহাত্না হয়ে মূর্ত হলেও ইতিহাসের সেই সময়কার প্রত্যক্ষদর্শীদের স্বাক্ষ্য ঠিকই বেঁচে আছে.........
আসুন জেনে নেই - অবশ্যই অপরাধী তাহের ঠিক কতটা সাধু ছিলো যতটা জিয়ার শত্রু নীতিতে তাহেরের বন্ধু সাজা কুমিরদের ভেউ ভেউ কান্নাকাটিতে শোনা যায়............
মেজর জেনারেল মইনুল হোসেন চৌধুরী , এক জেনারেলের নীরব স্বাক্ষী :
পাতা ৮৮ / ৮৯
পাতা ৯২ / ৯৩
পাতা ৯৪ / ৯৫
পাতা ৯৬ / ৯৭
সেখানে কি কি জানা যায় মইনুল হোসেন চৌধুরীর কাছ থেকে ?
১.
সেনাবাহিনীতে চূড়ান্ত জনপ্রিয় জিয়ার বন্দীত্বে সাধারন সেনা , নন কমিশন্ড অফিসার , সেনা অফিসাররা কেউই খুশীতো ছিলোইনা , বরন্চ্ঞ পুরোপুরিই মনোক্ষুন্ন ছিলো সেনা প্রধান জিয়াকে খালেদ মোশাররফ বন্দী করায়।
২.
নভেম্বর ৭ 'র সেই সংকট মুহূর্তগুলোতে যারা পূর্ন আনুগত্য নিয়ে জিয়ার আশে পাশে ছিলেন ছিলেন তাদেরই একজন শ্রদ্ধেয় তাজউদ্দীন আহমেদের জামাতা লেঃ কর্নেল মুনীর / সম্ভবত সিমিন হোসেনের স্বামী।
৩.
কর্নেল তাহের যখন জিয়াকে ক্যান্টনমেন্টের বাইরে নিতে চাইছিলো রেডিওতে ভাষন দেয়ার জন্য তখন খোদ মইনুল হোসেন চৌধুরী নিজেও তাতে বাধা দিয়েছিলেন ।
এবং এটাও জানা যায় যে জিয়ার রেডিও স্টেশনে যাওয়া আটকাতে লেঃ কর্নেল আমিনুল হক তাহেরের সাথে ঝগড়ায় জড়িয়ে পড়েন।
৪.
পাতা ৯৬ তে মেজর জেনারেল মইনুল হোসেন যা বলেছেনঃ


এবার আসুন জানা যাক - আওয়ামীপন্থী সেনা কর্মকর্তা মেজর জেনারেল আমীন আহম্মেদ চৌধুরী প্রথম আলোতে কি বলেছেন তাহের প্রসংগে :
প্রথম আলো / নভেম্বর ৭ , ২০১০ / আমীন আহম্মেদ চৌধুরীঃ


সেখানে আমিন আহমেদ ৫ টি পয়েন্ট ধারালো ভাবে পরিষ্কার করেছেন :
১.
খালেদ মোশাররফ- শাফায়াত জামিলদের হাতে জিয়া বন্দী হলেও তাদের হাতে জিয়া মোটেই এমন কোন অনিরাপদ অবস্থায় ছিলেন না যে জিয়ার জীবন বিপন্ন ছিলো ।
এবং একই সংগে খালেদের হাত থেকে জিয়ার জীবন রক্ষার রোমান্টিক কাহিনী স্রেফ একটি ইতিহাস বিষয়ক ধাপ্পা হিসেবেই ধরা পড়ে।
২.
সেনাবাহিনীতে জিয়ার ঈর্ষনীয় জনপ্রিয়তাকে নিজের কাজে লাগাতে চেয়েছিলো তাহের। সেনাদের মাঝে তাদের প্রিয় সেনাপিতা জিয়াকে মুক্ত করা আর ১২ দফা দাবীর পর্দা সামনে রেখে সাধারন সৈনিকদের নিজের পক্ষে নিয়ে আসে তাহের , নিজের কোন বিপ্লবী যোগ্যতায় নয়।
সুতরাং বিপ্লবী তাহের শব্দযুগল কে বেশ ফাঁপা শোনায় আমিন আহমেদের এই প্রত্যক্ষ স্বাক্ষ্যের বিপরীতে।
৩.
আবু তাহের সেনাবাহিনীর চেইন অব কমান্ডকে পুরোপুরি ভেঙেচুরে দিতে চেয়েছিলো নিজের খায়েশ পুরিয়ে বিপ্লবী বাহিনী তৈরীর জন্য।
৪.
জিয়া শক্ত হাতে সেনাবাহিনীতে তাহেরের তৈরী করা নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসেন।
৫.
লেঃ কর্নেল আমিন জিয়াকে ছায়ার মত করে জীবনের জন্য ঝুকিপূর্ন সেই সংকট মুহূর্তে আগলে রাখেন তাহেরের খেপিয়ে দেয়া অফিসারের রক্তপিপাসু উচ্ছশৃংখল সৈনিকদের হাত থেকে। নতুবা জিয়ার জীবন তাহেরের হাতের মুঠোয় থাকতো।
এবার দেখা যাক ঘোরতর আওয়ামীপন্থী খালেদ মোশাররফের সেকেন্ড ইন কমান্ড শাফায়াত জামিল নিজে কি বলেছেন......
কর্নেল শাফায়াত জামিল , ষড়যন্ত্রময় নভেম্বর :
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে মার্চ, ২০১১ সকাল ৮:১৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




