দিনকয়েক আগে এই লেখাটা লিখেছিলাম যখন তখনো মনে হয়নি পরিস্থিতি এতটা খারাপ হবে।
গত দুইদিন যা হল তাতে যে কোন বিবেকবান মানুষের পক্ষেই আবেগ ধরে রাখা কঠিন। সমগ্র বাংলাদেশজুড়ে চলমান এই সহিংসতাকে "জামাত-শিবির এর তান্ডব", "জামায়াতের উপর পুলিশের নির্বিচার আক্রমণ" যে ভাবেই জিনিসটাকে বর্ণনা করতে চাই না কেন Ultimately আমাদের নিজেদের ভিতর সম্প্রীতি বজায় রাখতে যে আমরা পুরোমাত্রায় ব্যর্থ তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
নানান ভিন্ন মত এর ব্যক্তিরা এই সহিংসতাকে নিজেদের মতন ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করছে।
বেশিরভাগ লোককেই দেখলাম বলতে, "অতজন জামাত, অতজন পুলিশ আর অতজন লীগের লোক মরেছে।"
খুব খারাপ লাগে আমাদের অনৈক্য কোন পর্যায়ে যে এই মৃত লোকগুলাকে মরার পরেও দলীয় ট্যাগ এর বাইরে আমরা বের করতে পারছিনা।
আমার হিসেবে কোন মৃত্যু, কোন আক্রমণ ই সমর্থনযোগ্য না।
যে মানুষগুলো মরেছে তাদের একটা পরিচয়ই কেবল সত্য, আর তা হল তারা মানুষ। এর পরেও যদি কোন দ্বিতীয় পরিচয় থেকে থাকে তা হল," তার বাংলাদেশের অধিবাসী।"
আরেকটা খুব হতাশ করার মতন সংবাদ দেখলাম বৃহত্তর নোয়াখালী অঞ্চলে মন্দির ভাংচুর। যদি কেউ মসজিদ ভাংচুর করে তাহলে যেমন আমি মুসলমান হিসেবে কষ্ট পাব, ঠিক তেমনি একজন হিন্দুও তার উপাসনালয় কে ভাঙলে তার মনেও ঠিক ততটুকু আঘাত ই লাগবে।
খুব গর্ব করতাম আমাদের দেশ ধর্মীয় সহানুভূতিশীল দেশ। এই আক্রমণ কি সেই পরিচয়কে প্রশ্নের সম্মুখীন করছে না?
জানিনা কয়জন আমার কথা শুনবে তবুও আবারো বলি এই সহিংসতার পথ ছাড়ুন। যারা সহিংস আচরণ করবে তাদেরকে বোঝানোর চেষ্টা করুন। আমার বিশ্বাস আজ না হোক কাল আল্লাহ তাদেরকে হেদায়েত অবশ্যই দিবেন।
গান্ধীর একটা উক্তি মনে করিয়ে দেই "চোখের বদলে চোখ একসময় পুরা জাতিকে অন্ধ করে দিবে"
আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে এই কঠিন পরিস্থিতি উতরাতে সহায়তা করুন।