ভুলে গিয়েছিলাম তোমায়! নাহ এভাবে না সঠিক কথাটা হলো ভুলে যাওয়ার চেষ্টা করছিলাম। ভেবেছিলাম সত্যিই ভুলে গিয়েছি অথবা পারবো ভুলতে কিন্তু পারলামনা। এ জীবনে আর সম্ভব কিনা বুঝতে পারছিনা।
জানো রাফাত, প্রতিটি দিন গুনি তোমার জন্যে। মেইল বক্স ওপেন করে ভাবি হয়ত একটা মেইল এর রিপ্লাই দিবে। অননোন নাম্বার থেকে ফোন আসলে প্রথমেই তোমার কথা মনে হয়। মনে হয় এই বুঝি ফোন দিলে। কিন্তু না, তুমি এতটাই কঠিন যে না কোন রিপ্লাই, না ফোন।
কেনো রাফাত, আমি তো আমার সর্বোচ্চ সেক্রিফাইস টা করতে রাজী ছিলাম, তোমারি জন্যে। কেন এমনটি হলো। কেন করলে এমনটি। কি দোষ ছিলো আমার জানতেও দিলে না। শাস্তি পাচ্ছি অথচ এমন-ই দূর্ভাগা আমি যে কি কারনে পাচ্ছি এইটুকু জানার ভাগ্যও হলো না।
তুমি না বলতে রাফাত, আমি তোমাকে যতটা ভালবাসি তার চাইতেও বেশী ভালবাসো তুমি আমায়। তবে কেন এমনটি করলে। কেন এভাবে নিরব আছো? কে দেবে আমার এইসব কেন র উত্তর!
সেদিন মা যখন এক ছেলের বর্ননা দিয়ে খোজ নিবে কিনা জিজ্ঞেস করলো হ্যা/না কিছু বলতে পারিনি। পুরো ব্যাপারটি তাদের উপর ছেড়ে দিয়ে দুটো দিন স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। দুটো দিন যে আমার কিভাবে কেটেছে তা শুধু আমি আর বিধাতা-ই জানেন। আমার ভেতরটা শুধু চিৎকার করে কেঁদেছে। দুদিন পর মায়ের প্রশ্নের পর প্রশ্নে জর্জরিত হয়ে হাউমাউ করে কেঁদে বলেছিলাম ঐ ছেলে আমার পছন্দ না। আমার ভাগ্য ভাল যে তার আগেই খোজ নিয়ে ছেলেকে পছন্দ হয়নি ফ্যামিলির।
এবার না হয় গেলো কিন্তু কয়বার পার পাবো এভাবে। একদিন না একদিন সত্যিই অন্যের ঘরে যাবো। তখন আমি কিভাবে মানবো রাফাত....কিভাবে মানবো আমি......এই অসহ্য যন্ত্রনা আমি কিভাবে বয়ে বেড়াবো! পথ দেখিয়ে দিয়ে যাও.......আমি আর কিচ্ছু চাইনা শুধু বলে যাও আমার জীবনটা কিভাবে আমি স্বাভাবিক করবো.....
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা মে, ২০১২ রাত ৮:১২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




