ট্রাভেল এজেন্সির চাকরি আপনার পছন্দ হবে কিনা তা নির্ভর করে আপনার আগ্রহ, দক্ষতা এবং কর্মজীবনের লক্ষ্যের উপর।
সুবিধা:
ভ্রমণ: ট্রাভেল এজেন্সির চাকরির একটি আকর্ষণীয় দিক হল বিভিন্ন দেশ ও স্থান সম্পর্কে জানার সুযোগ। আপনি বিভিন্ন ভ্রমণ প্যাকেজ তৈরি করতে পারবেন এবং নতুন সংস্কৃতি ও জীবনধারা সম্পর্কে জানতে পারবেন।
মানুষের সাথে যোগাযোগ: ট্রাভেল এজেন্টদের বিভিন্ন ধরণের মানুষের সাথে যোগাযোগ করতে হয়। আপনি তাদের ভ্রমণ পরিকল্পনা করতে সাহায্য করবেন এবং তাদের চাহিদা পূরণের জন্য সর্বোত্তম চেষ্টা করবেন।
কর্মসংস্থানের সুযোগ: বাংলাদেশে পর্যটন শিল্প দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে, যার ফলে ট্রাভেল এজেন্সিগুলিতে কর্মসংস্থানের সুযোগও বাড়ছে।
দক্ষতা অর্জন: ট্রাভেল এজেন্সির চাকরি আপনাকে গ্রাহক পরিষেবা, যোগাযোগ, সমস্যা সমাধান এবং ব্যবসায়িক দক্ষতা শিখতে সাহায্য করবে
অসুবিধা:
অনিশ্চিত কাজের সময়সূচী: ট্রাভেল এজেন্টদের প্রায়শই সপ্তাহান্তে এবং ছুটির দিনে কাজ করতে হয়।
চাপ: ভ্রমণের ব্যস্ত মৌসুমে ট্রাভেল এজেন্টদের উপর অনেক চাপ থাকে। তাদের অনেক গ্রাহকের সাথে দ্রুত এবং কার্যকরভাবে কাজ করতে হয়।
তুলনামূলক কম বেতন: ট্রাভেল এজেন্টদের বেতন অন্যান্য পেশার তুলনায় তুলনামূলক কম হতে পারে।
প্রতিযোগিতা: ট্রাভেল এজেন্সি ব্যবসায় প্রচুর প্রতিযোগিতা রয়েছে। টিকে থাকার জন্য আপনাকে দক্ষ এবং পরিশ্রমী হতে হবে।
বাংলাদেশে ট্রাভেল এজেন্সির চাকরির বেতন:
ট্রাভেল এজেন্সির চাকরির বেতন বিভিন্ন বিষয়ের উপর নির্ভর করে, যেমন অভিজ্ঞতা, দক্ষতা, কোম্পানির আকার এবং অবস্থান।
শুরুর বেতন: 15,000 টাকা থেকে 25,000 টাকা
অভিজ্ঞ কর্মীর বেতন: 30,000 টাকা থেকে 50,000 টাকা
উচ্চপদস্থ কর্মীর বেতন: 50,000 টাকা থেকে 1,00,000 টাকা
কিছু টিপস:
যদি আপনি ট্রাভেল এজেন্সির চাকরিতে আগ্রহী হন, তবে পর্যটন ব্যবস্থাপনা বা হাসপিট্যালিটি ম্যানেজমেন্টে ডিগ্রি অর্জন করতে পারেন।
বিভিন্ন ট্রাভেল এজেন্সিতে ইন্টার্নশিপ করতে পারেন।
ট্রাভেল এজেন্টদের জন্য প্রশিক্ষণ কোর্সে অংশগ্রহণ করতে পারেন।