somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আদি বাংলার ইতিহাস (প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকে ১২০৫ খ্রিষ্টাব্দ) পর্ব ৪৬

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৫০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আদি বাংলার ইতিহাস
(প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকে ১২০৫ খ্রিষ্টাব্দ) পর্ব ৪৬

চাষবাসের সূচনাকালঃ
নব্যপ্রস্তরযুগেই চাষবাসের সূচনাকাল। প্রত্নতত্ত্ববিদগণ অনুমান করেছেন যে, পৃথিবীতে চাষবাস ৭০০০- ৬০০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে আরম্ভ হয়।৯১ কিন্তু সদ্য প্রাপ্ত বিভিন্ন উপাত্তের ভিত্তিতে প্রমাণিত হয় যে, আরও বহুবছর পূর্ব থেকেই চাষবাস শুরু হয়েছিল। ইদানীং এক গবেষণা প্রতিবেদনে প্রকাশ, ব্রিটেনের ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক প্রফেসর ঝংইয়াংকিয়াং-এর নেতৃত্বে এক গবেষক দল (২০০৭ খ্রিষ্টাব্দে) চীনের সাংহাই থেকে ২০০ কিলোমিটার দক্ষিণে-পশ্চিমে এক জলাশয়ে প্রায় ৭৭০০ বৎসর আগে ব্যবহৃত চাষবাসের জন্য প্রাচীন হাড়, বাঁশ ও কাঠের তৈরি হাতিয়ার খুঁজে পেয়েছে। প্রাপ্ত কয়লা থেকে চীন ও ব্রিটিশ প্রত্নতত্ত্ববিদগণ মনে করেন যে, এখানকার জনবসতি আগুন জ্বালিয়ে জঙ্গল পরিষ্কার করে চাষ করত। সম্ভভত এখানে পৃথিবীর আদি ধানচাষের উদ্ভব হয়। তারা জীবজন্তুর হাড়কে শাবল ও কোদাল হিসেবে ব্যবহার করত। তারা জমি রক্ষার জন্য বাঁধ দিতে জানত। লক্ষণীয়, এদেশের মঙ্গোলীয় আদিবাসীদের মধ্যে অনুরূপভাবে জঙ্গল পুড়িয়ে চাষবাস করার প্রচলন এখনও রয়েছে। সম্প্রতি (২০০৭ খ্রিষ্টাব্দ) এক গবেষণা রিপোর্ট থেকে জানা যায়, এরিক কোকয়েউনিয়ে নামের এক ফরাসি প্রতড়বতত্ত্ববিদের নেতৃত্বে সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে ফোরাত নদীর এলাকায় ১১০০০ বছরের পুরানো দেয়াল চিত্রকর্ম পাওয়া যায়। এরিক আরও বলেন, এসব চিত্রকর্ম ছাড়াও খোদাই কাজে ব্যবহৃত পাথরের বিভিন্ন যন্ত্র পাওয়া গেছে। এছাড়া কিছু চকমকি পাথর, বীজ চূর্ণ করার যন্ত্র, ইট ভাঙ্গার পাথর সংগ্রহ করা গেছে। ঘটনাস্থলে বেশকিছু হাড়গোড় পাওয়া গেছে। সেগুলো দৈনন্দিন জীবনে খাবার হিসেবে ব্যবহৃত বিভিন্ন প্রাণীর হাড়। কিছু হাড় দিয়ে বানানো ব্যবহারের যন্ত্রও পাওয়া গেছে। এগুলি নব্যপ্রস্তরযুগের নিদর্শন।

কৃষি উৎপাদনঃ
কৃষির উদ্ভব সম্বন্ধীয় যে সকল তথ্য এ পর্যন্ত সংগৃহীত হয়েছে, তাতে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াতে সর্বাপেক্ষা অধিক সংখ্যক শস্যের গার্হস্থ্যকরণ হয়েছে বলে মনে করা হয়। ৯২ এ অঞ্চলের সমভূমি এবং আর্দ্র ও সমভাবাপনড়ব জলবায়ু কৃষি উদ্ভবের নানা পরীক্ষানিরীক্ষায় সহায়তা করেছে। খুব সম্ভবত দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ধান, ইক্ষু, যব, সোরগাম (ঝড়ৎমযঁস), পাট, কলা, কাঁঠাল, আম, কচু, আদা, হলুদ, ইয়্যাম্ (চুপড়ি আলু), রুটি ফল (ইৎবধফ ভৎঁরঃ), বেগুন, লবঙ্গ, এলাচি ইত্যাদি প্র ম চাষ করা হয়। অপরদিকে চীনে চা, সোয়াবিন, পীচ, বার্লি ও যব চাষের সূচনা হয়েছে বলে ধারণা করা হয়। পূর্ব আফ্রিকার ইথিওপিয়া অঞ্চল কৃষি উদ্ভবের অপর এক গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র। সেখানে গম, ধান, বার্লি, যব, সোরগাম, তুলা ও কফির উদ্ভব হয়েছে বলে অনুমান করা হয়। আবার পশ্চিম এশিয়াতেও কয়েক প্রকার গম, বার্লি, যব, রাই, আপেল, চেরী, আঙ্গুর, জলপাই, পেঁয়াজ, তেঁতুল ইত্যাদির সর্বপ্র ম গার্হস্থ্যকরণ হয়। (একই শস্য অনেক সময় বিভিনড়ব স্থানে গার্হস্থ্যকৃত হয়েছে বলে তাদের নাম একাধিক স্থানে উলিখিত হয়েছে।) আমেরিকায় দুটি অঞ্চলে কৃষির উদ্ভব ঘটেÑ মধ্য আমেরিকা ও দক্ষিণ আমেরিকার মধ্য আন্দিজ অঞ্চল। আন্দিজ অঞ্চলে মিষ্টি আলু, চীনাবাদাম, আনারস, কোকো, তামাক ও ক্যাসাভা চাষ শুরু হয়। অপরদিকে ভুট্টা, কুমড়া, শিম, টমেটো ও মরিচের জন্মভূমি মধ্য আমেরিকা।৯৩ ষোড়শ শতাব্দীর পূর্বেই মানুষ কর্তৃক পৃথিবীর অধিকাংশ শস্যেরই গার্হস্থ্যকরণ সম্পনড়ব হয়েছিল। গত চার বা পাঁচশত বছরে কোনো উল্লেখযোগ্য নতুন শস্য উদ্ভব হয়নি। বর্তমান যুগে কেবল গবেষণার ফলে প্রচলিত শস্যের উচ্চ ফলনশীল বীজ ও জাত সৃষ্টি করার প্রয়াস চলছে। ৯৪

বাংলাদেশে চাষবাসের সূচনাকালঃ
বাংলাদেশে কখন কৃষি উৎপাদন আরম্ভ হয় তা সঠিকভাবে নির্ণয় করা যায়নি। তবে অনুমান করা হয় সমতলভূমিতে কৃষি উৎপাদন আরম্ভ হওয়ার আগেই বাংলাদেশের উত্তর, উত্তর-পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব পাহাড় ও লালমাটি এলাকায় এবং পশ্চিম বাংলার পশ্চিমাঞ্চলে প্রথম চাষাবাদ আরম্ভ হয়। কৃষিকাজে ব্যবহৃত হওয়ার যোগ্য যেসব পাথরের যন্ত্রপাতি পাওয়া গেছে তাতে মনে হয় এদেশের নিউলিথিক যুগের মানুষ কৃষিকাজ জানত এবং তাদের উৎপন্ন দ্রব্যের মধ্যে ধান ও তুলাই ছিল প্রধান। তারা যে পশুপালন জানত, মাছ শিকার করতে পারত এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। তারা কুকুরসহ অনেক বন্য প্রাণীকে পোষ মানিয়েছিল, কুকুর তাদের নিত্যসঙ্গী ছিল। তবে মনে করা হয় যে, কোনো কোনো পণ্ডিতের ধারণা, জুমচাষ পদ্ধতি প্র মে মঙ্গোলীয় জাতিগোষ্ঠীরাই এনেছিল বাংলাদেশে। কারণ, বাংলাদেশের পাহাড়ি অঞ্চলে প্রথম জুম চাষ আরম্ভ হয় এবং পরবর্তীকালে লালমাটি এলাকায় অর্থাৎ প্রাচীন পাললিক অঞ্চলে ৫০০০/৪৫০০ বছর পূর্বেই চাষাবাদ ছড়িয়ে পড়ে। পশ্চিম বাংলার পাণ্ডু রাজার ঢিবিতে প্রাপ্ত শস্য থেকে বোঝা যায় যে, সম্ভবত ২০০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের অনেক আগেই এখানে ধান ও তুলার চাষ হতো। তাছাড়া এসঙ্গে পাওয়া গেছে চিত্রিত মাটির পাত্র। এসব মাটির পাত্র কুমোরের চাকা থেকেই নির্মিত হতো। তারা শুধু ধান চাষই করতো না- গম, বার্লি, মুগডাল, মুসুরডাল প্রভৃতির চাষও করতো। নব্যপ্রস্তর যুগের শেষ পর্যায়ে তাদের চাষাবাদ অনেক এগিয়ে যায়। ৯৫ অবশ্য নব্যপ্রস্তর যুগের প্রথম পর্যায় পর্যন্ত তারা লাঙ্গল ও পশু টানা চাকাওয়ালা গাড়ির ব্যবহার জানতো না।

পশুপালনঃ
ঐতিহাসিক ক্লার্ক পশুর গার্হস্থ্যকরণকে প্রকৃতির উপর মানুষের কর্তৃত্ব বলে অভিহিত করেন। মেসোপটেমিয়া, মিশর ও পাকিস্তানের পাঞ্জাবে পশুপালনের সূত্রপাত। পশুর আরো একটি ব্যবহার ছিল। যাতায়াত ক্ষেত্রে ৩০০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দেই বুনোপশুকে পোষ মানিয়ে ভারবহন ও যাতায়াতের কাজে ব্যবহার শুরু হয়। ব্যাবিলনে ও এশিয়া মাইনরে খ্রিষ্টপূর্ব ২০০০ অব্দের দিকে বোঝা বহন ও যাতায়াতের কাজে গাধার যথেষ্ট ব্যবহার হতো। ৯৬ বাংলাদেশের অধিবাসীরা কোনো কোনো পশুর লালন-পালন আগে আরম্ভ করেছিল এবিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলা যায় না। তবে, পণ্ডিতব্যক্তিদের ধারণা গরু, ছাগল, কুকুর, ভেড়া, শুকর, হাঁস, মুরগী প্রভৃতি বাংলাদেশের আদিবাসীদের প্রথম গৃহপালিত পশুপাখি ছিল। তবে গরুকে পোষ মানালেও তারা গুরুর দুধের ব্যবহার জানত না। আমাদের দেশের কুঁজবিশিষ্ট গরু এই উপমহাদেশে প্রায় ৫০০০ বৎসর পূর্বে গৃহপালিত হয়েছে বলে অনুমান করা হয়।৯৭
পাণ্ডু রাজার ঢিবিতে প্রাপ্ত বিভিনড়ব পশু যেমন-হাতি, গণ্ডার, বুনো শুকর, হরিণ, ষাঁড়, মেষ প্রভৃতির হাড় পাওয়া গেছে; সম্ভবত গণ্ডার ও হরিণ তাদের পোষ-মানা পশু ছিলো না। গৃহপালিত পশুর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলো ভেড়া, ছাগল, শুকর প্রভৃতি।৯৮

গৃহনির্মাণঃ
বাংলাদেশের আদিবাসীরা দেশের পূর্ব ও উত্তর অঞ্চলে গাছে বা উচ্চভূমিতে ঘর নির্মাণ করে বাস করতে আরম্ভ করে; জঙ্গলাকীর্ণ উচ্চ সমতলভূমি বা পাহাড় অঞ্চলে বাস করতে আরম্ভ করলে হিংস্র জন্তুজানোয়ার বা শত্রুর আক্রমণ থেকে বাঁচার জন্য তারা খুঁটি দিয়ে মাচার উপর ঘর তৈরি করে বাস করত। রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান জেলায় এ জাতীয় ঘর এখনও বর্তমান। ঘরের চালে এবং বেড়ায় ব্যবহার করা হতো ছন ও বাঁশ এবং খুঁটি ছিল গাছ অথবা বাঁশের। এদেশে পাথর সহজলভ্য ছিলনা বলে পাথরের বাড়িঘর এ অঞ্চলে দেখা যায় না। ভারতের কোনো কোনো অঞ্চলের মতো প্রাচীনকালের কোনো বাড়িঘরের নিদর্শন বাংলাদেশে পাওয়া না গেলেও পশ্চিম বাংলার পাণ্ডু রাজার ঢিবিতে নব্যপ্রস্তরযুগের মানুষের তৈরি ঘরবাড়ির নিদর্শন পাওয়া গেছে।৯৯ প্রাচীনকালেও এখানে মানুষ বাস করত তার প্রমাণ দেশে ও দেশের আশেপাশের অঞ্চলগুলোতে প্রাপ্ত বিভিন্ন প্রত্নবস্তু।

মসৃণ হাতিয়ারঃ
নবোপলীয় যুগে যেসব হাতিয়ার ব্যবহৃত হয়েছে এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- চাকু, কাস্তে, কুঠার, কোদাল, গাঁতি, বর্শা, ও তীর। এছাড়া প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন থেকে জানা যায় নবোপলীয় যুগের মানুষ আল নামক মুচির সুচ, বাটালী, ছেনি প্রভৃতি ব্যবহার করত। কৃষিকাজের জন্য গাঁতি, কোদাল, নিড়ানি এবং গর্ত করার জন্য লাঠি ব্যবহার হতো। এ যুগের শেষ দিকে লাঙ্গলের ব্যবহারও শুরু হয়। এ জাতীয় অস্ত্র ও কৃষিকাজে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি বাংলাদেশে এবং পার্শ্ববর্তী কোনো কোনো অঞ্চলে পাওয়া গেছে। এ সম্বন্ধে ইতিপূর্বে উল্লেখ করা হয়েছে। লাঙ্গল শব্দটিও অস্ট্রিক ভাষার শব্দ।১০০ লাঙ্গলও তাদেরই আবিস্কার বলে ধারণা করা হয়। ১৫০০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের আগে এদেশে সম্ভবত লাঙ্গলের ব্যবহার ছিলো না। মৃৎপাত্র ব্যবহার নব্যপ্রস্তরযুগের একটি সাধারণ ও সর্বজনীন নিদর্শন মৃৎপাত্রের ব্যবহার। কিন্তু তা বাংলাদেশে এ পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। অবশ্য যা পাওয়া গেছে তা নব্যপ্রস্তরযুগের নয়। অবশ্য বাংলাদেশের প্রত্নতাত্ত্বিক অনুসন্ধান এখনো প্রাথমিক পর্যায়েই রয়েছে। কাজেই প্রাপ্ত অন্যান্য নিদর্শনের নিরিখে ভবিষ্যতে পাওয়ার সম্ভাবনা অনুমান করা যায়।

88 W. L. Thomas (Junior): Man’s Role in Changing the Face of the Earth.
89 V. Gordon Childe: Man Makes Himself.
90 V. Gordon Childe: Man Makes Himself.
91 P.L Wagner: The Human use of the Earth.
92 C.D. Forde: Habitat, Economy and Society.
93 S.N. Dicken and F.R. Pitts: Introduction to cultural Geography.
94 R.J. Braidwood: The Agricultural Revolution
৯৫ ইরফান হাবিব (অনুবাদ কাবেরী বসু), প্রাক ইতিহাস (২০০৪), পৃষ্ঠা ৬৮-৬৯।
৯৬. P. Haggeit: Locational Analysis in Human Geography.
৯৭. কে,বি, সাজ্জাদুর রশীদ: সাংস্কৃতিক ভূগোল।
৯৮. ইরফান হাবিব (অনুবাদ কাবেরী বসু), প্রাক ইতিহাস (২০০৪), পৃষ্ঠা-৬৯।
৯৯. অতুল সুর: বাঙালির নৃতাত্ত্বিক পরিচয়।
১০০. আশুতোষ ভট্টাচার্য: বাংলার লোক-সাহিত্য (প্রথম খন্ড) ।

আগামী পর্বেঃ চাকার আবিস্কার, আগুনের ব্যাপক ব্যবহার, অলংকার ও প্রসাধনসামগ্রী, বয়ন শিল্প, গ্রামের উদ্ভব,ক্ল্যান প্রথার ভাঙ্গন ও পরিবারের উৎপত্তি,

আদি বাংলার ইতিহাস (প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকে ১২০৫ খ্রিষ্টাব্দ) পর্ব ৪৫
৩টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করা সকলের দায়িত্ব।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৩৮



এগুলো আমার একান্ত মতামত। এই ব্লগ কাউকে ছোট করার জন্য লেখি নাই। শুধু আমার মনে জমে থাকা দুঃখ প্রকাশ করলাম। এতে আপনারা কষ্ট পেয়ে থাকলে আমি দায়ী না। এখনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

তাবলীগ এর ভয়ে ফরজ নামাজ পড়ে দৌড় দিয়েছেন কখনো?

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:২৬


আমাদের দেশের অনেক মসজিদে তাবলীগ এর ভাইরা দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দিয়ে থাকেন। তাবলীগ এর সাদামাটাভাবে জীবনযাপন খারাপ কিছু মনে হয়না। জামাত শেষ হলে তাদের একজন দাঁড়িয়ে বলেন - °নামাজের... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফেতনার সময় জামায়াত বদ্ধ ইসলামী আন্দোলন ফরজ নয়

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:৫৮



সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৩। তোমরা একত্রে আল্লাহর রজ্জু দৃঢ়ভাবে ধর! আর বিচ্ছিন্ন হবে না। তোমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ স্মরণ কর।যখন তোমরা শত্রু ছিলে তখন তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

=নীল আকাশের প্রান্ত ছুঁয়ে-৭ (আকাশ ভালোবেসে)=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:১৯

০১।



=আকাশের মন খারাপ আজ, অথচ ফুলেরা হাসে=
আকাশের মন খারাপ, মেঘ কাজল চোখ তার,
কেঁদে দিলেই লেপ্টে যাবে চোখের কাজল,
আকাশের বুকে বিষাদের ছাউনি,
ধ্বস নামলেই ডুবে যাবে মাটি!
================================================
অনেক দিন পর আকাশের ছবি নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

পানি জলে ধর্ম দ্বন্দ

লিখেছেন প্রামানিক, ০৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৫২


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

জল পানিতে দ্বন্দ লেগে
ভাগ হলোরে বঙ্গ দেশ
এপার ওপার দুই পারেতে
বাঙালিদের জীবন শেষ।

পানি বললে জাত থাকে না
ঈমান থাকে না জলে
এইটা নিয়েই দুই বাংলাতে
রেষারেষি চলে।

জল বললে কয় নাউযুবিল্লাহ
পানি বললে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×