নীতি ও মানবতার পশ্চাতদেশে লাথি দিয়ে কোটি কোটি টাকার মালিক হওয়া যায়, সমাজে ভীতি প্রদর্শন করা যায়, অবাস্তব সন্মানও অর্জন সম্ভব। ঠিক আছে, সেটা করুন। কারণ নীতিবাক্য আপনাদের কাছে অর্থহীন, সেটা বার বার বলে লাভ নেই এটা আমি বুঝে গিয়েছি।
কিন্তু একটা অনুরোধ রইল, কোরবানির পশু অন্তত হালাল টাকায় কিনুন। অবৈধ টাকা দিয়ে হাতির মত বড় গরু কিনে আপনি হয়তো বিত্ত প্রকাশ করতে পারবেন, কিন্তু আমরা হাসবো। কারণ আমরা জানি আপনার ২৫-৩০ হাজার টাকা বেতন দিয়ে যেমন অভিজাত এলাকায় বাড়ি কেনা সম্ভব না, তেমনি দেড় লক্ষ টাকা দিয়ে কোরবানির গরু কেনা আপনার পক্ষে সম্ভব হত না যদি আপনি দুর্নীতি না করতেন।
আমি আপনার সেই গরু দেখে হাসবো, গরুও আপনার গাধামি দেখে হাসতে পারে। আর সৃষ্টিকর্তা হাসবেন না। তিনি আপনার জন্য সেই ভবিষ্যতই মজুদ করে রাখবেন যা আপনার প্রাপ্য। যেহেতু ধর্মীয় অনুভূতি অনেক আগেই মদের গ্লাসে গুলিয়ে খেয়ে ফেলেছেন, তাই সামাজিক ব্যাপারটাতেই গুরুত্ব দিলাম বেশী। চোরা তো আর ধর্মের কাহিনী শোনে না, এটা আমি জানি। তাই বলছি, দয়া করে কোরবানির হাটে গিয়ে গরু নামধারী হাতি খরিদ করে সমাজের সকল মানুষের কাছে নিজেকে হাসির পাত্রে পরিণত করবেন না। ধন্যবাদ।।
পুনশ্চঃ আমরা আপনাদের দেখে হাসিমুখে ভদ্রভাবে কথা বলি বলে ভুল ভাববেন না, প্লীজ। আমরা জেনুইন ভদ্রলোক, সরাসরি অপমান করতে অভ্যস্ত নই। আড়ালে আপনাদের সম্পর্কে যা যা বলা হয় তা শুনলে আপনাদের হারাম উপার্জন সব আপনাদের পশ্চাতদেশ দিয়ে বেরিয়ে যেত।