somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বৃটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে বৃটিশ ভূমিকা (১৮)

২৪ শে অক্টোবর, ২০১২ রাত ৯:১৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


[শয়তান যে মানুষকে নেক সুরতে ধোকা দেয়, এ বিষয়টি ভালভাবে অনুধাবন করেছিল শয়তানের অনুচর ইহুদী এবং খ্রীষ্টানরা। মসলমানদের সোনালী যুগ এসেছিল শুধু ইসলামের পরিপূর্ণ অনুসরণের ফলে। শয়তানের চর ইহুদী খ্রীষ্টানরা বুঝতে পেরেছিল মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ, অনৈক্য, সংঘাত সৃষ্টি করতে পারলেই ইসলামের জাগরণ এবং বিশ্বশক্তি হিসেবে মুসলমানদের উত্থান ঠেকানো যাবে। আর তা করতে হবে ইসলামের মধ্যে ইসলামের নামে নতুন মতবাদ প্রবেশ করিয়ে। শুরু হয় দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা যার মূলে থাকে খ্রষ্টীয় বৃটিশ সম্রাজ্যবাদ। জন্ম হয় ওহাবী মতবাদের। ওহাবী মতবাদ সৃষ্টির মূলে থাকে একজন বৃটিশ গুপ্তচর হেমপার। মিসর, ইরাক, ইরান, হেজাজ ও তুরস্কে তার গোয়েন্দা তৎপরতা চালায় মুসলমানদের বিভ্রান্ত করার জন্য। "Confession of British Spy and British enmity against Islam" গ্রন্থ হচ্ছে হেমপারের স্বীকারোক্তি মূলক রচনা। যা মূল গ্রন্থ থেকে ধারাবাহিকভাবে তার অনুবাদ প্রকাশ করা হচ্ছে। ইনশাআল্লাহ।

১৮তম পর্ব

(বৃটিশরা নিজেদের সভ্য বলে দাবী করে অথচ তাদের নৃশংসতা ও বর্বরতা সীমাহীন)

১০। প্রশাসনের লোকজনকে অবৈধ কার্যকলাপ, শরাব, জুয়া, দুর্নীতিতে অভ্যস্ত করাতে হবে এবং একেই কেন্দ্র করে গণবিক্ষোভ এবং চক্রান্ত সৃষ্টি করতে হবে। সরকারী সম্পদ তাদের ব্যক্তিগত সুবিধার জন্য এবং তাদেরকে তাদের ইচ্ছামাফীক চলতে উৎসাহীত করতে হবে। যারা এভাবে আমাদের চলার পথ সুগম করবে তাদের পুরস্কৃত করতে হবে। অতঃপর বইটিতে নীচের উপদেশগুলো যোগ করা হয়েছে। এ দায়িত্বে নিয়োজিত কোন বৃটিশ গোয়েন্দাকে প্রকাশ্যে বা গোপনে রক্ষা করতে হবে তবে কোন মুসলমান কতৃক কোন গোয়েন্দা আটক হলে তাকে উদ্ধারের জন্য কোন অর্থ ব্যয় করা যাবে না।

১১। সব ধরনের সুদ প্রথার প্রচলন ঘটাতে হবে। কারণ সুদ শুধু অর্থনীতির ক্ষতি করেনা মুসলমানদের কুরআনের অনুশাসনের বিরোধিতা করতে শেখায়। কেও যদি একবার কুরআনের কোন অনুশাসন অমান্য করে তবে অন্য অনুশাসনগুলো অমান্য করতেও স্বাচ্ছন্দ বোধ করে। তাদেরকে বোঝাতে হবে শুধু চক্র বৃদ্ধি হারে সুদ গ্রহণ করোনা। সুতরাং সব ধরনের সুদ হারাম নয়।

১২। আলিমদের বিরুদ্ধে নৃশংসতার মিথ্য অভিযোগ এবং কলঙ্ক ছড়াবে। এভাবে মুসলানদের তাদের কাছ থেকে দুরে রাখবে। আমরাও কিছু গুপ্তচরকে তাদের মধ্যে ছদ্মবেশে রেখে দিবো। তারাও কিছু জঘন্য কার্যকলাপ সম্পন্ন করবে। তখন আলিমদের সম্পর্কে লোকজন বিভ্রান্ত হয়ে পড়বে ফলে প্রত্যেককে সন্দেহের চোখে দেখা হবে। আল আজহার, ইস্তাম্বুল, নজফ এবং কারবালায় এসব গুপ্তচরের প্রবেশ ঘটাতে হবে। আলেম বিরোধী মনোভাব তৈরীর জন্য আমরা স্কুল, কলেজ, চালু করবো। এসব স্কুলগুলোতে আর্মেনিয়ান, গ্রীক এবং বাইজ্যান্টাইন শিশুদের শিক্ষা দেবো আমরা। মুসলমান শিশুদের মধ্যে আমরা এই মনোভাবে তৈরী করবো যে তাদের পূর্বপুরুষরা ছিল অজ্ঞ। খলীফা, বিদ্ধানব্যক্তি, প্রশাসনিক লোকদের বিরুদ্ধে শত্রু মনোভাব সৃষ্টির লক্ষ্যে তাদের দোষত্রুটিগুলো তুলে ধরবো এবং অভিযোগ তুলবো যে তারা শুধু ইন্দ্রীয় ভোগবিলাসে ব্যাস্ত থাকে। তারা রক্ষিতা নিয়ে সময় কাটায়, জনসম্পদের অপব্যবহার করে এবং কোন কাজেই হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সুন্নতকে অনুসরণ করেনা।

১৩। ইসলামে নারী ঘৃণার পাত্র এই মিথ্যা অপবাদ ছড়ানোর লক্ষ্যে কুরআনের এই আয়াত উদ্ধৃত করবে। “মেয়েদের উপর রয়েছে পুরুষের প্রাধান্য।”
(সূরা নিসা আয়াত ৩৪)

এভাবে হাদীছের কথা বলবে যে, মেয়ে জাতি পুরোপুরি শয়তানের আশ্রিত।”
(হাদীছ শরীফে বর্ণিত আছে, যে মহিলা (স্ত্রী) শরীয়তের পরিপূর্ণ অনুসরণ করেন, তিনি বেহেশতের এক নিয়ামত। অপরদিকে যে মহিলা তার নফসের অনুগত এবং শরীয়তের খিলাপ চলে কুফরী, শেরেকী করে সে শয়তানের রজ্জু বা রশি অর্থাৎ তার মাধ্যম দিয়ে শয়তান কুফরী, শেরেকী ও গুমরাহী ওয়াছ ওয়াছা দেয়। মেয়ে জাতি শয়তানের আশ্রিতা এটা কাট্টা মিথ্যা কথা। এরকম কোন হাদীছ শরীফ নেই। গরীব অবিবাহিতা এবং বিধবা মহিলার ক্ষেত্রে তার পিতা তার ভরণ পোষণের দায়িত্ব নেবে। যদি তার পিতা না থাকে অথবা পিতা খুবই গরীব হয় তখন তার অন্য মাহরাম আত্মীয়গণ দায়িত্ব পালন করবে। যদি মাহরাম আত্মীয় না থাকে তবে খলীফা বা সরকারের তরফ থেকে ভাতার ব্যবস্থা করতে হবে। একজন মুসলিম মহিলা কখনই জীবিকার জন্য বেপর্দা হয়ে কাজ করবে না। ইসলামী শরীয়াহ পুরুষের উপর মহিলার সকল দায়িত্ব ন্যাস্ত করেছে। সেদিক থেকে সম্পত্তির উত্তরাধিকার একমাত্র পুরুষদের জন্য নির্ধারিত হবার কথা ছিল কিন্তু আল্লাহ রব্বুল আলামীন এত মহান যে তিনি ভাইয়ের অর্ধেক সম্পত্তি বোনদের জন্য নির্ধারিত করেছেন।

স্বামী তার স্ত্রীকে ঘরে বা বাইরে কোথাও উপার্জন করার জন্য বাধ্য করতে পারবে না। কিন্তু কোন মহিলা যদি কাজ করতে চায়, তার স্বামীর অনুমতিতে করতে পারবে তবে সম্পূর্ণ পর্দার মধ্যে থেকে এবং সেখানে কোন পুরুষের উপস্থিতি থাকতে পারবে না এবং এই ক্ষেত্রে উপার্জিত অর্থ স্ত্রীরই থাকবে। কেও তার অর্জিত আয় এবং উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তি কিংবা মোহরানার অর্থ ছেড়ে দেবার জন্যে জোর খাটাতে পারবে না। এমনকি সে তার উপার্জনের টাকা ঘরের কিংবা ছেলেমেয়ের প্রয়োজনেও খরচ করতে বাধ্য নয়। স্বামীর জন্য ফরজ সংসারের সকল প্রয়োজন মেটানোর। আজকের কমুনিষ্ট শাসনে, নারী-পুরুষ সকলকে শুধু খাদ্যের প্রয়োজনে খাটতে হয়। খ্রীস্টান জগতে, তথাকথিত মুক্ত বিশ্বে এবং এমনকি কিছু নাম মাত্র মুসলিম দেশেও মহিলারা পুরুষের পাশাপাশি খেতে, খামারে, শিল্পে, কারখানায় কাজ করছে এই নীতিতে যে, জীবন সকলের জন্য সমান। যা কাট্টা হারাম। খবরের কাগজে প্রায়শই দেখা যায় বিবাহিত জীবনে তাদের অধিকাংশই সুখী নয় ফলে আদালতে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা স্তুপ হচ্ছে।

সাইয়্যিদুল মুরসালিন, ইমামুল মুরসালীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যা বর্ণনা করে গেছেন তা প্রধানত তিনভাগে বিভক্ত। (ক) প্রথমত ওহী। ওহী সরাসরি আল্লাহ পাক-এর তরফ থেকে নাযিলকৃত। ওহী সমূহ কুরআন মজিদে লিপিবদ্ধ হয়েছে।)

১৪। পানির অভাবে অপরিচ্ছন্নতা সৃষ্টি হয়। সেজন্য বিভিন্ন পর্যায়ে পানি সরবরাহ বৃদ্ধিতে বাধা সৃষ্টি করতে চেষ্টা করবে।

(ইনশাআল্লাহ চলবে)

এথান থেকে পরুন পর্ব- ১
এথান থেকে পরুন পর্ব- ২
এথান থেকে পরুন পর্ব- ৩
এথান থেকে পরুন পর্ব- ৪
এথান থেকে পরুন পর্ব- ৫
এথান থেকে পরুন পর্ব- ৬
এথান থেকে পরুন পর্ব- ৭
এথান থেকে পরুন পর্ব- ৮
এথান থেকে পরুন পর্ব- ৯
এথান থেকে পরুন পর্ব- ১০
এথান থেকে পরুন পর্ব- ১১
এথান থেকে পরুন পর্ব- ১২
এথান থেকে পরুন পর্ব- ১৩
এথান থেকে পরুন পর্ব- ১৪
এথান থেকে পরুন পর্ব- ১৫
এথান থেকে পরুন পর্ব- ১৬
এথান থেকে পরুন পর্ব- ১৭
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

যুক্তরাষ্ট্রে ইসরাইল বিরোধী প্রতিবাদ বিক্ষোভ

লিখেছেন হাসান কালবৈশাখী, ০৩ রা মে, ২০২৪ সকাল ৮:০২

গাজায় হামাস উচ্ছেদ অতি সন্নিকটে হওয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিউইয়র্ক ও লসএঞ্জেলসে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পরেছিল। আস্তে আস্তে নিউ ইয়র্ক ও অন্যান্ন ইউনিভার্সিটিতে বিক্ষোভকারীরা রীতিমত তাঁবু টানিয়ে সেখানে অবস্থান নিয়েছিল।


... ...বাকিটুকু পড়ুন

৫০১–এর মুক্তিতে অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ বলছে…

লিখেছেন বিচার মানি তালগাছ আমার, ০৩ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০০



১. মামুনুল হক কোন সময় ৫০১-এ ধরা পড়েছিলেন? যে সময় অনেক মাদ্রাসা ছাত্র রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। দেশ তখন উত্তাল। ঐ সময় তার মত পরিচিত একজন লোকের কীভাবে মাথায় আসলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

মেহেদীর পরিবার সংক্রান্ত আপডেট

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:৪৯


মার্চ মাস থেকেই বিষয়টি নিয়ে ভাবছিলাম। ক'দিন আগেও খুলনায় যাওয়ার ইচ্ছের কথা জানিয়েও আমার বিগত লিখায় কিছু তথ্য চেয়েছিলাম। অনেক ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও মেহেদীর পরিবারকে দেখতে আমার খুলনা যাওয়া হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

×