সরকার পেটাচ্ছে! বি এন পি চেঁচাচ্ছে ! আমরা কাঁপছি আর ভাবছি।কি হবে? এভাবে কতকাল ? এক সময় সোনার বাংলা চাইতাম। যখন দেখলাম সেটা সম্ভব না তখন চাওয়াটা কমিয়ে এনে একটা সুন্দর বাংলা চাইলাম এখন আর সুন্দর বাংলাও চাই না । এখন স্বপ্ন দেখি একটি "সুস্থ বাংলা"র।আমার জন্য নয় আমার সন্তানের জন্য।
আমার সয়ে গেছে আসলে বাধ্য হয়ে সয়েছি। না সয়ে যে উপায় নেই কিন্তু এখন যে সইবার উপায়ও নেই !!এখন হয় পেটাতে হবে না হয় চেচাঁতে হবে কাঁপাকাঁপির সূযোগ নেই। তবুও কাঁপতে হয়। সবাইর পক্ষেতো চেঁচানো আর পেটানো সম্ভব নয়। আমরা সেই দলে।আমরা কাঁপছি।
ছোট বেলায় একটা গল্প পড়েছিলাম ,একটু চেষ্টা করে দেখি গল্পটা কতটুকু মনে আছে ।
সৈয়দ আলী আর মেহের আলী দুই বন্ধু। একেবারে ন্যংটা কালের বন্ধু।একই গ্রাম একেবারে পাশাপাশি বাড়ী।একসাথে বড় হয়েছে একই স্কুল-কলেজে পড়েছে।চাকুরিতে যোগদানের পরও তাদের মধ্যে আগের মতই যোগাযোগ ছিল।
চাকুরি থেকে অবসর নেওয়ার পর তারা দুই বন্ধু মিলে সিদ্ধান্ত নিল তারা গ্রামে চলে যাবে এবং আমৃত্যু সেখানেই জীবন কাটাবে।
গ্রামে তাদের জমি-জিরাত নেহায়েৎ কম ছিল না।নিজেদের ভিটির উপর ঘব-বাড়ী তুলে তারা বেশ সুখেই জীবন কাটাচ্ছিল ।
এ বাড়ীতে ভাল কিছু রান্না হলে ও বাড়ীতে যাচ্ছিল ওবাড়ীতে পিঠা-পুলি তৈরী হলে এবাড়ীতে আসছিল।
তাদের বাড়ীর সীমানার মাঝামাঝি একটি বাঁশঝাড় ছিল্।এর প্রকৃত মালিক কে তা নিয়ে তাদের মাথাব্যাথা ছিল না। যার যখন প্রয়োজন হতো সেই বাঁশ কেটে নিত । এভাবেই চলছিল।
ব্যাপারটা একদিন গ্রামের মাতাব্বরের চোখে পড়লো।একদিন মেহের আলীকে বাঁশ কাটতে দেখে মাতাব্বর সৈয়দ আলীকে বুজাতে সমর্থ হলো যে যেহেতু বাঁশ ঝাড়টির মালিকানা নির্ধারিত হয় নি তাই মেহের আলী বাঁশ কাটার আগে সেয়দ আলীকে জিজ্ঞাসা করা উচিত ছিল !
এভাবেই শুরু। মাতব্বরের উসকানিতে তাদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে বিরোধ শুরু হলো এবং গ্রামে দুটি পক্ষের সৃষ্টি হলো ।
এক সময় এই বিরোধ আদালত পর্যন্ত গড়াল। দীর্ঘ দিন মামলা চললো।এক সময় এই মামলা শেষ হলো।
মামলা শেষ হওয়ার পর সৈয়দ আলী আর মেহের আলী হিসাব করতে বসলো।
হিসাব করে দেখলো তাদের কাছে এখন শুধু ভিটে-বাড়ীটা আছে আর সবকিছু মাতাব্বরের পেটে।
গনতন্ত্রের রক্ষকরা একদিন হয়তো দেখবেন গনতন্ত্রটা আপনাদের হাতে ক্ষমতাটা অন্যদের হাতে।
না আমি কোন "ইউনিফর্ম"ধারীদের কথা বলছিনা আমি বলছি "পরজীবীদের" কথা।