গত ৯ই ডিসেম্বরে সুন্দরবনের শ্যালা নদীতে তেলবাহী ট্যাংকার ডুবে প্রায় ৪০ কিলোমিটার এলাকার পানিতে এই তেল ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে হৈ চৈ কম হয় নি বিশেষ করে পরিবেশবিদরা সুন্দরবনের ভবিষৎ নিয়ে আতংকিত হয়ে পড়েন।বি এন পির পক্ষ থেকে একটি তদন্ত দল পাঠানো হয়। কেউ কেউ আবার এতে ষড়যন্ত্রের আভাসও পেয়েছেন। পত্রিকাওয়ালাদের ঘুম হারাম হবার অবস্থা।তেলে সয়লাব কালো কুচকুচে পানি দেখলাম।গাছের গোড়ায় তেল লেপ্টে থাকতে দেখলাম সেই তেল মানুষের শরীরের সাথে লেপ্টে থেকে উঠে আসতে দেখলাম।
আধুনিক কোন যন্ত্রপাতি নয় আধুনিক "সভ্যতা" বঞ্চিত কিছু মানুষ নিজের শরীরের সাথে মেখে সে তেল পানি থেকে উঠিয়ে আনলো।একটা তেল কোম্পানি সে তেল কিনে নিল ।সুন্দরবনের বিপদ অনেকটা কমে গেল।বেঁচে গেল সুন্দরবন।
সুন্দরবনের জীববৈচিত্রের যে ১২টা বেজেছে তাতে নৌ-মন্ত্রী ছাড়া সবাই একমত ছিল।এই জীববৈচিত্র রক্ষা করতে বিদেশী বিশেষজ্ঞদেরও ডাকা হয়েছিল।তাদের ধারনা দীর্ঘ মেয়াদি কোন ক্ষতি হবে না ।
সুন্দরবন হয়তো রক্ষা পাবে।প্রকৃতি নিজেই তাকে বাঁচিয়ে দেবে কিন্তু মানুষ নামক জীবরা কি সুন্দরবনকে বাঁচতে দেবে ?যে ভাবে নদী নালা খাল-বিল ডোবা ,গর্ত ,পাহাড় এমনকি কবরস্থান পর্যন্ত দখল হয়ে যাচ্ছে তাতে সুন্দরবন আর কতদিন।
যতটুকু জানি সুন্দরবনের "বিপদ সীমার" মধ্যে এখন মানুষও বসবাস করে! সুন্দর বনের জীববৈচিত্রের মধ্যে এখন মানুষ নামক জীবও অন্তর্ভুক্ত।
সুন্দরবন টিকে যাবে এই ফার্ণেস তেল থেকে।
কিন্তু আমরা কিভাবে বাঁচবো "গনত্ন্ত্রের তেল" থেকে? সারা দেশ ভাসছে গনতন্ত্রের তেলে। সারা দেশের মানুষের শরীর এই তেলে মাখামাখি। একেবারে কালো কুচকুচে গনতন্ত্রের তেল।
দুটি তেলের ট্যাংকার পরস্পরের দিক কাত হয়ে "গনতন্ত্রের" তেল ঢেলেই চলেছে! আমাদের নিশ্বাস নেওয়াই কঠিন হয়ে পড়েছে।
আপনারা ডুবতে চাইলে ডুবেন দয়া করে আমাদরকে ডুবায়েন না!!
সুন্দরবনের জীববৈচিত্রের জন্য আপনাদের এত দরদ তার থেকে কিছুটা দরদ দেশের জীববৈচিত্রের জন্য দেখানো যায় না ?
আসলে ক্ষমতার বৈচিত্রের কাছে সবধরনের বৈচিত্র সৌন্দর্যহীন,মূল্যহীন !