আমাদের নতুন মেয়ররা মন্ত্রীর সমান পদমর্যাদা পাচ্ছেন । ভালইতো। এখন আপগ্রেডের যুগ, মেয়ররা আপগ্রেড পেতেই পারেন।
তবে আমরা ঢাকাবাসীরাও মেয়রদের কাছ থেকে কিছুটা আপার গ্রেড আশা করতে পারি।
মেয়র ভাইরা, আমাদের সমস্যার শেষ নেই । শুরুও নেই! মাথা-লেজ এক হয়ে সব গোল হয়ে গেছে । তাই এর সমাধান অসম্ভব।
ঢাকাবাসীরাও এখন আর কোন সমস্যাকে সমস্যা মনে করে না, মনে করে এটা তাদের জীবনের অংশ !!
তবুও আমরা আশায় আছি কারন আপনারা আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন। আপনাদের মেয়াদকালে বেশী নয় মাত্র ২/৪ সমস্যার সমাধানও যদি হয় আমরা ভাববো "অনেক হলো"।
যানজট সমস্যা সমাধান করা যাবে কিনা জানি না তবে যে হারে জনজট বাড়ছে তাতে যানজট-জনজট এবং বৃষ্টি হলে জলজট মিলে যে অদূর ভবিষতে একটা ভজঘট সৃষ্টি হবে তা প্রায় নিশ্চিত!!
যানজট আমাদের সয়ে গেছে বা তার সমাধানের চেষ্টাও চলছে। এখন প্রধান সমস্যা হলো জলজট। যা আমাদের জন্য জীবন- মরন সমস্যা ! মেঘেও আমাদের ভয় রোদেও ভয়। দুটি কারনই পানি।
বৃষ্টির দিনে ফোঁটা পড়লেই হলো নট নড়নচড়ন, গড়িয়ে যাবার জায়গা নেই! ইট-সিমেন্ট- লোহার জঙলে তস্কর নগরবিদদের আশীর্বাদে বিলিন হয়ে হয়ে গেছে পানি নিস্কাশনের জায়গা। ঝিল থেকে সরু ড্রেইন,সরু ড্রেইন থেকে আরও সরু কালভার্ট, কালভার্ট থেকে কখন যে আমরা আরও বেশি সরু পাইপে ঢুকে পড়ি তার অপেক্ষায় আছি!!! ফলাফল, সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা। এই জলাবদ্ধতার জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী শহরের ভিতর ও আশেপাশের আবাসন প্রকল্পগুলো। এসব মাফিয়াদের ভূমি আগ্রাসন বন্ধ করতে পারলে জলাবদ্ধতার সমস্যা অর্ধেক কমে যেত
আপনারা কি পারবেন তস্করদের সাথে টক্কর দিয়ে এই জলাবদ্ধতা থেকে ঢাকাবাসীকে উদ্ধার করতে ?
গরমের দিনে পানির সল্পতা । তা ছাড়া সবসময় পানিতে ময়লা, খাওয়ার অযোগ্য পানি। পানি ফুটিয়ে ফিল্টার করার পরও খাওয়ার পানি নিরাপদ হয় না।
তাই মেয়র ভাইদের কাছে অনুরোধ ঢাকার জলাশয়ের যতটুকু বাকী অত্যন্ত ততটুকু রক্ষা করুন। যেটুকু গেছে তা উদ্ধার করার জন্য চেষ্টা করা সময়ের অপচয় মাত্র!
পৃথীবির বাসের অযোগ্য শহরের তালিকায় শীর্ষে থাকা ঢাকা শহরের সব সমস্যা সমাধান কোন কালেই সম্ভব নয়। কিন্ত খাওয়ার পানিসহ নিরাপদ পানি সরবরাহ মনে হয় অসম্ভব নয়।
তাই মেয়রভাইদের কাছে অনুরোধ হাজার সমস্যার সমাধানের চেষ্টা না করে প্রধান কয়েকটি সমস্যা সমাধানের দিকে মনযোগ দিন। তাতে মানুষ হয়তো আরাম পাবে না তবে স্বস্তি পাবে। এই স্বস্তিটুকুই ঢাকাবাসীর জন্য আপারগ্রেড!
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০০