উপাসনার দুইটা গুরুত্বপূর্ন ফ্যাক্টর নিয়ে কথা বলতে চাই, সেগুলা হইল আধ্যাত্মিকতা আর উৎসবমুখরতা। 'উৎসবমুখরতা' এখানে ব্রড টার্ম হিসেবে ইউজ করতেসি, এটা দিয়ে পিয়ার প্রেসার, যূথবদ্ধতার প্রতি আনুগত্য ইত্যাদি সামাজিক ফ্যাক্টররে ইন্ডিকেট করসি।
আমরা সবাই-ই জানি আধ্যাত্মিকতা হইল উপাসনা বা ইবাদতের সারবস্তু, সৃষ্টিকর্তার সাথে যদি সংযোগই স্থাপিত না হইল, তাইলে অন্তসারশূণ্য উৎসবমুখরতা দিয়া কী হইব! কিন্তু, তার মানে উৎসবমুখরতা যে একবারে ফেলনা জিনিস- সেটা কিন্তু না।
কারণ সবার আধ্যাত্মিকতার লেভেল এক না, আর আধ্যাত্মিকতাও সবসময় বিল্ট-ইন থাকে না- প্র্যাকটিস কইরা অর্জন করতে হয়, প্লাস কন্টিনিউয়াস প্র্যাকটিসের মাধ্যমে ধইরা রাখতে হয় আর উপরের লেভেলে উঠতে হয়। যার সাথে সৃষ্টিকর্তার দূরত্ব বেশি সে যদি উৎসবমুখরতা বশে হইলেও ইবাদতে সামিল হইতেসে, সেই উসিলায় সে যদি সৃষ্টিকর্তার আরো কাছে আসার সুযোগ পাইল তবে মন্দ কী!
তবে অতি উৎসবমুখরতা আমাদের দেশে প্রিভ্যালেন্ট, ফরায়েজী আন্দোলনের প্রেক্ষাপট সেটার সবচেয়ে বড় প্রমাণ। তারাবীর সালাত হইল সুন্নাহ, ঈদের সালাত ওয়াজিব, আর ডেইলি ওয়াক্তিয়া সালাত ফরজ। গুরুত্ব আর পালন করার আবশ্যকতা বিচারে সবার আগে ফরজ, তারপর ওয়াজিব, তারপর সুন্নাহ। কিন্তু সবার দেখা যায় ঈদের ওয়াজিব সালাত মিস গেলে হায় হায় শুরু করে, কিন্তু ওয়াক্তিয়া ফরজ সালাত নিয়ে কোন চ্যাতব্যাত নাই, কারণ সেটা নিয়ে মানুষ কোন পিয়ার প্রেসার পায় না।
তাই সারাবছর উদাসীন থাইকা রমজানে যারা হঠাৎ সুপারম্যান হয়া যাই, তারা উৎসাহের দাবীদার, তাছাড়া নিজেদেরও অপটিমিস্টক থাকতে হইব, প্লাস ইবাদত যেন ডেইলি বেসিসে করার অভ্যাস গইড়া উঠে সেদিকেও জোর দিতে হইব।
Volume 8, Book 76, Number 471:
Narrated 'Aisha:
Allah's Apostle said, "Do good deeds properly, sincerely and moderately and know that your deeds will not make you enter Paradise, and that the most beloved deed to Allah's is the most regular and constant even though it were little."
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে জুন, ২০১৫ রাত ৮:২১