স্কুলে থাকতে শেক্সপিয়ারের "টেমিং দ্য শ্রু" নামের কমেডি নাটক গল্পাকারে পড়সিলাম। অনেকে নাটকটারে মিসোজিনিস্টিক বইলা থাকেন। কাহিনীটা এই রকম, একটা মহিলা থাকে খুব বদমেজাজ। একটা চালাক লোক তারে বিয়া করে, এখন মহিলারে সামলাইবো কেমনে? তো লোকটা আরও বেশি পাগলামি আর রাগারাগি শুরু করে (বউয়ের সাথে না, অন্য লোকদের সাথে), যেটা দেইখা বদরাগী মহিলা নিজেই চুপসায়া যায়।
বাস্তব জীবনে আমার অবজার্ভেশনে, কোন সম্পর্কে (বিশেষত যেখানে কারও সুপিরিয়রিটি নাই) মানুষ সাধারণত দুই ধরণের ভূমিকা নিতে পারে: এক হইল নাইস গাই, আরেকটা হইল বাইপোলার। নাইস গাই যারা, তারা শান্তি চায়, কারও সাথে ভেজাল হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও যতদ্রুত সম্ভব মিটায় ফেলতে চায়। এটা করতে গিয়া নিজের অজান্তেই তারা অন্যদের যাবতীয় রাগ ভাঙ্গানোর দায়িত্ব, ভেজাল মিটানের ঠ্যাকা নিজের কান্ধে নিয়া নেয়।
আবার বাইপোলাররা উল্টা, তাগো নীতি হইতেসে, আমি রাগ কইরা বইসা থাকুম, এখন তুই রাগ ভাঙ্গা। তাদের আচরণ আনপ্রেডিকটেবল। তাই একবার বাইপোলারাইজেশনের বদনাম ছড়ায় দিতে পারলে যে কোন সম্পর্কে তারা আপার হ্যান্ড পায়। শেক্সপিয়ারের নাটকের লোকটা এরকমই একটা ভূমিকা নিয়া বউরে হারায় দিসিল। নারী-পুরুষের মধ্যে সম্পর্কে সচরাচর নারীদের এরকম ভূমিকা নিতে দেখা যায় (আমিও একটা মিসোজিনিস্টিক কথা বলে বসলাম নাকি?)।
তাই বলা যায়, কোন সম্পর্কে যে আগে বাইপোলারের ভূমিকা নিতে পারব, নিয়ন্ত্রণ তার হাতেই থাকব।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪২