আপনার ই.কিউ যদি হয় দুর্বল আর কারও সাথে আপনার বন্ধুত্বের লেভেল কিংবা তার কাছে আপনার গুরুত্ব বুঝতে না পারেন, তাদের জন্য একটা সমাধান আবিষ্কার করেছি- খাবার মিটার।
খাবার মিটারের ব্যাপারটা হল, কারও সাথে যখন হিজ-হিজ-হুজ-হুজ নিয়মে খেতে যাবেন, তখন সে কত টাকার খাবার খেতে চাচ্ছে, তার উপর সম্পর্কের লেভেল নির্ভর করছে। খাবারের দাম যত বেশি হবে, সম্পর্ক তত গভীর, তার কাছে আপনার গুরুত্ব তত বেশি।
৫-২০, ৫০-৭০, ১০০-১৫০, ২০০-৩০০, ৪০০-৫০০ এরকম করে কয়েকটা মাত্রায় ভাগ করে একটা স্পেকট্রাম সাজিয়ে নিতে পারেন।
নিম্ন থেকে মধ্যবিত্তের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা এরকম, আপনার সাথে কম টাকার খাবার খেতে চাচ্ছে, তার মানে হল আপনার চেয়ে বহু গুরুত্বপূর্ণ মানুষ আছে, যার সাথে তাকে আরও বেশি দামের খাবার খেতে হবে, আর সেজন্য আপনার সাথে কম টাকার খাবার খেয়ে মাসিক খরচটা ব্যালান্স করতে হবে। উপরের ইকোনমিক্যাল ক্লাসগুলোর মধ্যেও খাবার মিটার কীভাবে যেন কাজ করে।
তবে সব সময় শুধু খাবারের দাম হিসেব করলে কাজ নাও করতে পারে, পরিস্থিতি বুঝে এর সাথে যোগ করতে পারেন যাতায়াত ভাড়া, যাতায়াতের ঝক্কি, খেয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করছে কিনা ইত্যাদি।
বি.দ্র: ১. কেউ যদি আগে থেকেই খুল্লামখুল্লা জানিয়ে দেয় বা সবাইকে বুঝিয়ে দেয় অমুক আমার কাছের মানুষ, তাইলে খাবার মিটারের এখানে প্রয়োজন নাই্ আর খাবার মিটার এখানে নাকচ হয়ে যায়।
২. পার্সন ইন কোয়েশ্চেনের সাথে রেগুলার বেসিসে কত টাকার খাওয়া হচ্ছে সেটা খাবার মিটারের কনসার্ন না। বরং পার্সন ইন কোয়েশ্চেনের অ্যাফোর্ডাবিলিটির স্পেকট্রামে ম্যাক্সিমাম লিমিটের খাওয়া অফার করলে সে রাজি হয় কিনা- সেটার উপর ডিপেন্ড করছে।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে জুন, ২০১৬ রাত ২:২৫