বৈষয়িক নির্ভরশীলতা এড়ানো যায় না। কিন্তু আবেগীয় নির্ভরশীলতা যথাসম্ভব এড়ায়ে চলতে হইব। আপনে মাইনষের উপর আবেগীয়ভাবে নির্ভর হয়া পড়া মানেই হইল আপনারে এক্সপ্লয়েট করার চাবি আপনে তাগো হাতে তুইলা দিতেসেন।
যেমন ধরেন, আপনে সবসময় আপনের বন্ধুগো লগে (মানে যাগোরে বন্ধু মানেন) ঘুরতে যান বা কোন কামে যান। হঠাৎ একদিন তারা আপনারে না জানায়া ফেইলা চইলা গেল। এখন আপনে যদি মনে কষ্ট পান তার মানে হইল আপনে আবেগীয়ভাবে নির্ভরশীল হয়া গেসেন- এইটা পরিহার্য্য, নিজের মধ্যে কোন অভিমানরে আশ্রয় দিবেন না। যদি সেই কামে যাইতে তাগো সঙ্গ জরুরি হয় তাইলে সেটা বাদ দিবেন না, অভিমানের বশে নিজের ক্ষতি করা কোন কামের না, কিন্তু চাইলেই যে তারা আপনারে বাদ দিতে পারে সেটা মাথায় রাখবেন।
অনেকে আপনারে সাহায্য করতে পাইরা মনে করে আপনের চেয়ে বড় হয়া গেল- আপনারে সাহায্য করাটা হইল তাগো নিজেগো ইগোরে পরিপুষ্ট করার একটা মাধ্যম। এসব মানুষের ইগোর বুদবুদ ভুলেও ফাটাইতে যাইবেন না। কারণ এই ইগোটারেই এক্সপ্লয়েট কইরা আপনে তাগো কাছ থেকা সাহায্য আদায় করতে পারবেন।
এসব কথা মানতে যায়া আবার নিজে অমেরুদণ্ডী প্রানী হয়া যাইবেন না। আপনের মনের সিন্দুকের চিপায় ইগো তো থাইকাই যাইব। সেইটারে বাইরে বাইর করা কিংবা সেটা দিয়া পরিচালিত হওয়াটাই বোকামি।
আমি শুধু বলতে চাইসি, নিজের মনের বাঘটারে যেমন খাওন দেন, মনের শিয়ালটারে তেমনি নিয়মিত খাওয়াইতে ভুলবেন না।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৩:০৯