ক্যানসারের চিকিৎসায় টি-সেল ইমিউনোথেরাপি এমনিতে ভালো উপায়। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে রোগের পুনরাবির্ভাব দেখা যায়। এই পদ্ধতিতে কিছু টি-সেল শরীরের বাইরে এনে ট্রেনিং দেওয়া হয় যেন ক্যানসার/টিউমার কোষের বাইরের পিঠে এপিটোপ নামের প্রোটিনগুলো দেখে চিনতে পারে আর কোষগুলোকে ধ্বংস করে। তারপর ট্রেনিং শেষে তাদের আবার শরীরের ভেতরে ফেরত পাঠানো হয়।
সব কোষেই এপিটোপ থাকে। কোষের ভিতরের এনজাইমগুলো বড় প্রোটিনগুলোকে ভেঙে ছোট করে। পরে সেই ছোট টুকরাগুলোকে বাইরে পিঠে পাঠিয়ে দেয়- এগুলোই এপিটোপ। ক্যানসার/টিউমার কোষে মিউটেশনের জন্য এপিটোপগুলো বিকৃত থাকে- যা দেখে টি-সেল তাদেরকে অন্যান্য কোষ থেকে আলাদা করে চিনতে পারে।
একবার ধ্বংস হয়ে ফেরত আসা আবার ক্যানসার কোষগুলোর ক্ষেত্রে দেখা গেছে এপিটোপ তৈরি হওয়াটা রাসায়নিক সিগন্যালের উপর নির্ভর করে। যেমন, এপিটোপ তৈরির ERAAP এনজাইমটি গামা ইন্টারফেরনের সিগন্যালের মাধ্যমে চালু হয়। পুনরাবির্ভূত ক্যানসার
কোষগুলো গামা ইন্টারফেরনের সিগন্যালে তেমন আর সাড়া দেয় না। তাই এপিটোপও আর তৈরি হয় না, আর টি-সেলগুলোও তাদের চিনতে পারে না। তাই কেবল ERAAPএর উপর নির্ভর করে না এমন এপিটোপওয়ালা ক্যানসার কোষ দমনে টি-সেল চালিত ইমিউনোথেরাপি কাজ করবে।
http://www.dddmag.com/news/2016/10/why-tumors-evade-immunotherapy
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১১:১৪