somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পদ্মার চরের কিছু ছবি দ্বিতীয় পর্ব

১২ ই মে, ২০১২ সকাল ১১:১২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

পদ্মার চরের কিছু ছবি (দ্বিতীয় পর্ব)


ভোট গননা শুরু হল ৫।৩০ এ। চাচাকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করে মেম্বার নির্বাচন করলাম। :-P :-P :-P । এখানে বিপুল ভোট এর বর্ণনা দেওয়া হল।

আমার চাচার নিকটতম প্রতিদন্দী পেয়েছিল ৫৩ টি ভোট। আর আমার চাচা তার থেকে ১২টি বেশি ভোট পেয়ে মেম্বার নির্বাচিত হয়েছি। ;) ;) ;)। এ থেকে আপনারা চরের নির্বাচন সমন্ধে আশা করি একটু ধারনা পেয়েছেন। এখানে মোট ভোটার ছিল ১৬০ জনের মতো। গত বারের নির্বাচনে চাচা বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় নির্বাচিত হয়েছিল। এবারের নির্বাচনে চাচা নির্বাচন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কিন্তু এলাকার মানুষ জোর করে তাকে নির্বাচন করায়।


নির্বাচন শেষে আমরা নির্বাচন কেন্দ্র থেকে ফিরে আসছি।


চরের ফসলি মাঠ।


চরের মাঝ দিয়ে বয়ে চলা খাল।


চরের গ্রাম ও মেঠো পথ।


চরের বাড়ি ঘর ও গ্রাম। এরকম একটি গ্রামেই আমরা রাত কাটিয়েছিলাম।


মোরগ ডাকা ভোর


সকালে একটি পরিবার তাদের বাড়ির উঠানে নাস্তা করতে ব্যস্ত।


এক মা তার দুই শিশুকে নিয়ে নাস্তা করছে।


চরের একটি বাড়ি।


এই বাড়িতেই আমরা রাত কাটিয়েছিলাম।


শিশু দুটি তাদের পোষা কুকুরের সাথে খেলা করছে।

নির্বাচন কেন্দ্র থেকে ফিরে গ্রামের এক বাড়িতে আমরা রাত কাটাই। গ্রামের মেঠো পথ ধরে হাটতে প্রচুর আনন্দ পাচ্ছিলাম। গ্রামের এক বাড়িতে রাত কাটানোর উদ্দেশ্যে আমরা থেকে যাই। হুহু করা ঠান্ডা হাওয়ায় শরীর জুরিয়ে আসছিল। যে বাড়িতে আমরা রাত কাটানোর উদ্দেশ্যে যাই সে বাড়ির গেরেস্ত আমাদের জন্য চরের বিলের টাটকা চিংড়ী ও অন্যান্য মাছ ধরে আনে । বিলের টাটকা মাছ আহ কি লোভনীয়। রাতে পুর্ন তৃপ্তি সহকারে মাছ ও ডাল ভাত খেলাম। রাতে অনেক রাত পর্যন্ত উঠানে বসে সবাই মিলে গল্প করছিলাম। খুব ভোর বেলা উঠে আমি আমার ক্যামেরা নিয়ে গ্রাম দেখতে বের হলাম। আমার ছবি তুলা শেষ হলে সকারের নাস্তা খেয়ে আমরা বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে গেলাম।


চরের একমাত্র বাহন ঘোড়ার গাড়ি। চরে চলাচলের জন্য সবাই হেটেই এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যায়। মালপত্র বহনের জন্য ঘোড়ার গাড়ির ব্যবহার করা হয়। আমাদের জন্য একটি ঘোড়ার গাড়ির ব্যবস্থা করা হল ঐ ঘোড়ার গাড়িতে করে আমরা আমাদের গন্তব্যস্থলে রওনা হয়ে গেলাম।


রাস্তার পাশে একটি বাড়ি। রাস্তায় যেতে যেতে আমি বার বার ঘোড়ার গাড়ি থেকে নেমে যাচ্ছিলাম ছবি তোলার জন্য।


রাস্তার পাশে গরু ২টি এমন ভাবে বাধা ছিল যা দেখে আমি আর ঠিক থাকতে পারলাম না সাথে সাথে ছবি তুলে ফেললাম।


চরের দিগন্ত বিস্তৃত ফসলি মাঠ। যে দিকে চোখ যায় শুধু সবুজ আর সবুজ।


চরের একটি ক্ষেতে ব্যস্ত কৃষানী।


রাস্তার পাশে গাছ।


রাস্তার দু পাশে ঘন হয়ে থাকা কাঁশবন। এরকম অনেক স্থানেই দুপাশ থেকে কাশবন এসে রাস্তাটাকে এমনভাবে আটকিয়ে রেখেছিল যে দেখে পথ চলাই দায়।


দিগন্ত বিস্তৃত ফসলের মাঠ।


চরের ফসলি জমিতে এক ধরনের আগাছা জন্মায় যার পাতা থেকে পাটি তৈরী করা যায়। দুই বালিকা এই গাছের পাতা তুলতে ব্যস্ত।


পাটি তৈরীর জন্য জমাকৃত পাতা।


একটি বাড়ির পাশ দিয়ে রাস্তাটি একে বেকে চলে গিয়েছে। স্নিগ্ধ সকালে এমন একটি রাস্তা দিয়ে ঘোড়ার গাড়িতে যেতে যে কি মজা যারা না গিয়েছে তাদের তা কোনভাবেই বোঝানো সম্ভব না।


ফসলি মাঠের মাঝখানে ছোট্ট একটি গ্রাম।


গ্রামের ভিতরের দৃশ্য।

রাস্তায় যেতে যেতে দেখলাম। একটি ফসলি জমিতে এক কৃষক পরিবার তাদের ছোট একটি মেয়েকে ছাতার নিচে বসিয়ে রেখে তারা মরিচ তুলতে ব্যস্ত।


ছাতার নিচে ছোট্ট পরী।


ছাতার নিচে ছোট্ট পরী, পাশে জমাকৃত মরিচের স্তুপ। দুরে মরিচ ক্ষেত থেকে মরিচ তুলতে ব্যস্ত কৃষক কৃষানী


লালটুকটুকে মরিচ।

চলবে........

প্রথম পর্ব দেখতে এখানে ক্লিক করুন
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে মে, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:০০
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। আমের খাট্টা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৪



তাতানো গরমে কাল দুপুরে কাচা আমের খাট্টা দেখে ব্যাপারটা স্বর্গীয় মনে হল । আহা কি স্বাদ তার । অন্যান্য জিনিসের মত কাচা আমের দাম বাড়াতে ভুল করেনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডাক্তার ডেথঃ হ্যারল্ড শিপম্যান

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০৪



উপরওয়ালার পরে আমরা আমাদের জীবনের ডাক্তারদের উপর ভরশা করি । যারা অবিশ্বাসী তারা তো এক নম্বরেই ডাক্তারের ভরশা করে । এটা ছাড়া অবশ্য আমাদের আর কোন উপায়ই থাকে না... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ইতং বিতং কিচ্ছার একটা দিন!!!

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:০৩



এলার্ম এর যন্ত্রণায় প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙ্গে আমার। পুরাপুরি সজাগ হওয়ার আগেই আমার প্রথম কাজ হয় মোবাইলের এলার্ম বন্ধ করা, আর স্ক্রীণে এক ঝলক ব্লগের চেহারা দেখা। পরে কিছু মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিসিএস শুধু দেশের রাজধানী মুখস্ত করার পরীক্ষা নয়।

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:১৪

"আমার বিসিএস এক্সামের সিট পরেছিলো ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এ, প্রিপারেশন তো ভালোনা, পড়াশুনাও করিনাই, ৭০০ টাকা খরচ করে এপ্লাই করেছি এই ভেবে এক্সাম দিতে যাওয়া। আমার সামনের সিটেই এক মেয়ে,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কে কাকে বিশ্বাস করবে?

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৯


করোনার সময় এক লোক ৯৯৯ এ ফোন করে সাহায্য চেয়েছিল। খবরটা স্থানীয় চেয়ারম্যানের কানে গেলে ওনি লোকটাকে ধরে এনে পিটিয়েছিলেন। কারণ, ৯৯৯ এ ফোন দেওয়ায় তার সম্মানহানি হয়েছে।

সমাজে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×