somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ছবি ব্লগ - মানিকগঞ্জের বালিরটেক, সানবান্ধা ভ্রমন (ভিজিট বাংলাদেশ এর সদস্যদের সাথে)

০২ রা জুন, ২০১৪ সকাল ১০:৫৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

গত ৩০ মে ২০১৪ ইং তারিখে ভিজিট বাংলাদেশ (বেড়াই বাংলাদেশ) এর সদস্যদের সাথে মানিকগঞ্জ এর বালিরটেক, সানবান্ধা, সুলতানপুর হয়ে কান্ঠাপাড়া, বলড়া দিয়ে আবার বালিরটেক হাটা পথে সফলভাবে ভ্রমন করলাম। এই ভ্রমনের কিছু ছবি আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। ভিজিট বাংলাদেশ (বেড়াই বাংলাদেশ) এর প্রতিটি সদস্য অত্যান্ত আপনপ্রিয়। মূহুর্তের মধ্যেই অচেনা লোককেও আপন করে নেবার অসীম ক্ষমতা দলের প্রতিটি সদস্যের। প্রথমবারেই এরা যেভাবে আমাকে আপন করে নিয়েছে বিশেষ করে ভিজিট বাংলাদেশ (বেড়াই বাংলাদেশ) দলনেতা, ইভেন্ট আয়োজনকারী এবং বাংলাদেশ পর্য টন শিল্পকে যিনি বর্হিবিশ্বে উজ্জ্বলভাবে তুলে ধরার আপ্রান প্রায়াশ চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি মাহমুদ হাসান খান আমাকে যেভাবে আপন করে নিয়েছেন যে জন্য আমি তার কাছে আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ।

আমি এই ভ্রমনে বালিরটেক হতে অংশগ্রহন করি। দলটি ঢাকা হতে তাদের ভ্রমন শুরু করে।


বালিরটেক ফেরিতে ভ্রমন বাংলাদেশ এর সদস্যরা



বালিরটেক ফেরি পার হয়েই আমরা স্থানীয় এক হোটেলে দুপুরের খাবার অর্ডার করি। খাবারের আইটেম ছিল দেশি মুরগির ঝোল, আলু ভর্তা, ডিম ভুনা, ডাল ও খাটি কাসুন্দি। খাবার অর্ডার করেই আমরা বেরিয়ে পরি আমাদের ভ্রমনে।



গ্রামের কাচা রাস্তা করে হাটতে হাটতে রাস্তার পাশে এই বাঁশ ঝার টা দেখে সেখানে সবাই গ্রুপ ছবি তোলার জন্য পোজ পোজ দেয়।



গ্রামের অপার নৈর্সগিক প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখতে দেখতে আমাদের হাটা চলতে থাকে। রাস্তার পাশে এক বাড়িতে এই বাছুরটি দেখে দলের তিন আপু ছবি তোলার জন্য দৌড়ে চলে যায়।



গ্রামের কাঁচা রাস্তা ধরে আমাদের এগিয়ে চলা।



ফসলি ক্ষেতের আঁকা বাঁকা মেঠো আইলে আমাদের হাটতে থাকা।



এক সময় আমরা এই জায়গায় থেমে যাই বিশ্রামের জন্য এখানে গ্রামের কেউ অনেকগুলো গাছ সারিবদ্ধভাবে লাগিয়ে রেখেছে। প্রচুর অক্সিজেন সমৃদ্ধ বাতাস আমাদের মনকে শীতল করে দিলো। আমাদের এক অতি উৎসাহি সদস্য আশে পাশে খুজে খুজে ১টি আম সংগ্রহ করল। আমরা দলের ১৮ জন সদস্য সেই আম ভাগ করে খেয়েছি।



গ্রামের ফসলের মাঠ দুরে গাছপালা সমৃদ্ধ গ্রাম।



ফসলি ক্ষেতের পাশে একটি বাড়ি। আমাদের হৈচৈ দেখে বাড়ির সদস্যরা হয়তো ভাবছে এই পাগলরা আবার এলো কোথা থেকে।



ক্ষেতের আইলে বেড়ার গায়ে গাঁয়ের কৃষকেরা ধুন্দুল চাষ করে।



লাল টুকটুকে মরিচ। একদম ফ্রেশ। ফরমালিনমুক্ত।



তিল ক্ষেত।



রাস্তার পাশে বাঁশ ঝাড়।



হাটতে হাটতে একসময় আমরা তৃঞ্চার্ত ও ক্লান্ত হয়ে পরি। রাস্তার পাশে এক বাড়িতে টিউবওয়েল দেখতে পেয়ে আমরা সবাই হুমড়ি খেয়ে পরি হাত মুখে পানির ছিটা দিতে ও পানি পান করতে।



গ্রাম বাংলার চিরায়ত দৃশ্য।



পারভেজ ভাই এসেছিলেন স্ব-পরিবারে সাথে তাদের ছেলে ও মেয়ে। গ্রামের এমন প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখে এই ছোট্র দুটি শিশু ও তাদের হাটার ক্লান্তি ভুলে গেছে।



হাটতে হাটতে একজায়গায় মাঠের পাশে এমন ছায়াময় ও ঘাসের কার্পেট বিছানো দেখে পারভেজ পাই শুয়েই পড়লেন।



ছাগল ছানা আপন মনে ঘুরে বেড়াচ্ছে খাচ্ছে ও খেলা করছে।



নাম না জানা ফল।



পাতার গায়ে লেডি বার্ড বিটল পোকা।



নাম না জানা ফুল।



গ্রামের রাস্তার ধারে ধারে এমন অসংখ্য সুন্দর সুন্দর ফুলে ফুলে সুশোভিত গাছ।



রাস্তার পাশে এক লোক ঘুরি উড়াচ্ছিল। আমাদের মাহমুদ ভাই ঘুড়িটি নিয়ে উড়ানোর চেষ্টা করছে।



দলের ক্লান্ত দুজন সদস্য গাছের ছায়ায়। এমন সুন্দর গাছের ছায়ায় থাকলে মুহুর্তেই সব ক্লান্তি দুরে চলে যায়।



তালগাছে বাবুই পাখির বাসা। এমন মনোমুদ্ধকর সুন্দর দৃশ্য কেবল আমাদের বাংলাদেশের গ্রামেই দেখতে পাওয়া যায়।



আমাদের হাটতে হাটতে এগিয়ে চলা।



ঘুড়ি ওড়ানোর দৃশ্য।



খেজুর গাছ। খেজুর সহ-



ছায়া ঢাকা শান্ত গ্রামের রাস্তা। সবধরনের কোলাহল, দুষন ও কালিমা থেকে মুক্ত।



বালিরটেক ফেরিঘাট। ঘুরতে ঘুরতে প্রায় ৪টার সময় আমরা আবার এসে পৌছি বালিরটেক ফেরিঘাট। এখানে যে হোটেলে আমরা খাবারের অর্ডার দিয়েছিলাম সেখানে দুপুরের খাবার বিকাল ৪ টায় খাই। খাবারগুলো খুবই সুস্বাদু হয়েছি। দলের প্রতিটি সদস্যই মন-প্রান ভরে খেয়েছিলাম।


খাবার খাওয়া শেষ হলে নদীর পাড়ে একটু বিশ্রাম নিয়ে আমরা নৌভ্রমনে বের হলাম।



পড়ন্ত বিকেলের চমৎকার ছবি।



নদীর পাড়ের মনোমুগ্ধকর ছবি।





নৌভ্রমন শেষ হলে আমরা পাড়ে নেমে পরি। আমাদের মাহমুদ ভাই ঘাটে ভিড়ানোর আগেই। ঝাপ দিয়ে নেমে পরে নদীতে জলকেলি করার জন্য।



সন্ধ্যার ঠিক আগমুহুর্তে আমাদের দলের বেশ কিছু সদস্য নদীতে নেমে সাতার কাটার জন্য ।

নদীতে সাতার কেটে ক্লান্ত হয়ে আমরা উঠে পরি নদী থেকে তার পর কাপড় পাল্টিয়ে আমরা আমাদের ফিরতি পথ ধরি।
১৩টি মন্তব্য ১৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

×