
প্রথমত, যেখানে বাংলাদেশের বিভিন্ন কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য ইউনিটপ্রতি কয়লা ব্যবহারের পরিমাণ এগুলোর উৎপাদনক্ষমতা ব্যবহারের সব মাত্রার জন্য একই ধরা হয়েছে, সেখানে আদানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য উৎপাদনক্ষমতা কম ব্যবহৃত হলে ইউনিটপ্রতি কয়লা ব্যবহারের পরিমাণ বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে। শুধু এ কারণেই বাংলাদেশকে বছরে অতিরিক্ত ৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকার বেশি ব্যয় করতে হতে পারে।
দ্বিতীয়ত, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডকে চার মাস পরপর আদানি কোম্পানির কাছে বিদ্যুতের চাহিদাপত্র পাঠাতে হবে। পরিবর্তিত পরিস্থিতির কারণে যদি পিডিবির চেয়ে কম বিদ্যুৎ কেনে, তবু চাহিদাপত্রে উল্লিখিত পরিমাণের পুরো দাম বাংলাদেশকে পরিশোধ করতে হবে।
তৃতীয়ত, বাংলাদেশকে আদানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদনক্ষমতার এক-তৃতীয়াংশ পরিমাণের বিদ্যুৎ কিনতেই হবে, নইলে জরিমানা দিতে হবে।
চতুর্থত, যদি পিডিবির চাহিদা–স্বল্পতার কারণে আদানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের বাণিজ্যিক উৎপাদনে যাওয়া বিলম্বিত হয়, তবে বাংলাদেশকে পুরো ক্যাপাসিটি চার্জ পরিশোধ করতে হবে।
পঞ্চমত, আদানি বিদ্যুৎকেন্দ্রে কয়লা ব্যবহারে সিস্টেম লসের দায়ভার বাংলাদেশকে বহন করতে হবে।
ষষ্ঠত, আদানি বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবহারের জন্য বিদেশ থেকে যে কয়লা আমদানি করা হবে, তার দাম নির্ভর করবে আদানির নিজের ওপর। কারণ এ কোম্পানি বিদেশে কয়লা খনি থেকে উত্তোলন, পরিবহন—সবকিছুর নিয়ন্ত্রক।
সপ্তমত, আদানির সঙ্গে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ২০১৭ সালের নভেম্বরে। কিন্তু ভারত সরকার কর্তৃক ২০১৯ সালে ঝাড়খন্ডকে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল বলে ঘোষণা করার ফলে আদানি কোম্পানি বহু ধরনের করসুবিধা পাচ্ছে। অথচ আদানি কোম্পানি এ বিষয়ে কোনো তথ্য পিডিবিকে জানায়নি এবং বাংলাদেশকে এসব করসুবিধার অংশীদার প্রয়াসী নয়।
অষ্টমত, এ প্রকল্পের সব ঝুঁকি বাংলাদেশের ওপর চাপানো হয়েছে এবং বহু বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়েছে।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৫:২৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




