somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অজানাকে জানুন, মনের ক্ষিধে মেটান-ভালো না লাগলে টাকা ফেরত।কমেন্ট বাধতামূলক

২৫ শে জুন, ২০১২ বিকাল ৩:১৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এটি ফ্রান্সের একটি রেলওয়ে লাইন।। ছবি দেখেই তো ভয়ে হাঁটু কাপাকাপি শুরু হয়ে গেছে।। এই ট্রেনে বসলে নির্ঘাত হার্ট ফেল।।


হার্ট রিভার নামে পরিচিত এই নদীটি মিসৌরি নদীর একটি শাখা নদী।। নদীটি প্রায় ১৮০ মাইল অর্থাৎ ২৯০ কিলোমিটার লম্বা এবং এটি আমেরিকার নর্থ ডাকোটার পশ্চিমাংশে অবস্থিত।। আরো জানার জন্য প্রথম কমেন্টে দেয়া লিঙ্ক দেখুন।।



এই পৃথিবীর সবচেয়ে বড় প্রাণীটার নাম জিজ্ঞেস করলে সবাই চোখ বন্ধ করে বলে দিবেন "নীল তিমি"।। আপনাদের উত্তর সঠিক।। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় প্রাণীটির নাম নীল তিমি।। কিন্তু এই প্রাণীটি আসলেই কতো বড় জানেন??

একটি পূর্ণাঙ্গ নীল তিমির শুধু হার্ট বা হৃদয়ের ওজন হয় ১৩০০ পাউন্ড বা ৬০০ কেজি।। এর ধমনীগুলো এতো মোটা যে, একজন মানুষ সহজেই এই ধমনীতে জায়গা করে নিতে পারে।। কি বুঝলেন??

আপনাদের সুবিধার জন্য একটি নীল তিমির হৃদয়ের প্রতিকৃতির ছবি দিলাম।। লক্ষ্য করুন, এটি বাস্তব নয়।। শুধুমাত্র নকশা যে, একটি নীল তিমির হৃদয় কেমন হতে পারে।।



এটি জাপানের টোকিও টাওয়ার।। অনেকেই প্যারিসের আইফেল টাওয়ার বলে ভুল করবেন, তবে আইফেল টাওয়ারের নিচে বা তার সাথে লাগোয়া এমন ঘরবাড়ি নেই যেমন টোকিও টাওয়ারে রয়েছে।। যাই হোক, কথা সেটা না।। আসল কথায় আসি।।

এক ঝলমলে রাত্রিতে বারটরান্ড কুলিক নামক একজন সাধারণ ফটোগ্রাফার নিজের অজান্তেই এই ছবিটি তুলে ফেলেন।। উল্লেখ্য, কোনোমতেই এটা তার উদ্দেশ্য ছিলো না যে পিছনের বজ্রপাতের দৃশ্যটি এভাবে আসুক।। অসাবধানতায় তিনি তুলেছেন এক কালজয়ী ছবি, যা স্থান পেয়েছে জাপানের মিউজিয়ামে।।

ছবিটি দেখে চমৎকৃত হলাম।।

এই কুকুরটার নাম হপ্পা।। জন্ম থেকেই এটির সামনের দুই পা নেই।। কিন্তু দমে যায় নি কুকুরটি।। রাস্তার আরো শত শত কুকুরের সাথে লড়াই করে ঠিকই অর্জন করে নিয়েছে নিজের প্রয়োজনীয় খাবার।। তার এই দৃঢ় মনোবল দেখে এক মহানুভব ব্যক্তি তাকে সামনের পায়ের বদলে এই চাকা লাগিয়ে দেন (ছবি দ্রষ্টব্য)।। হপ্পা এখন নিজের মতো আছে।। বরং, আগের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী সে।। কিন্তু জীবনের শুরুতে সে যে বিপদের সম্মুখীন হয়েছিলো, তাতে যদি সে লড়াই না করে হার মানত তবে কি আজকের এই দিনটি আসতো কখনো??

চুপচাপ হার মেনে নেয়ার নাম জীবন নয়।। বরং লড়াই করে নিজের অস্তিত্বকে টিকিয়ে রাখার নামই জীবন।।

একটি আজব তথ্য দেই আজ আপনাদের।। ছবির এই গর্তটি মানুষের খোদাই করা পৃথিবীর সর্ব গভীর গর্ত।। দক্ষিন আফ্রিকার এই হীরার খনিটি ১০৯৭ মিটার অর্থাৎ ১ কিলোমিটারের বেশি গভীর।। ১৯১৪ সালে বন্ধ হবার আগে এই খনি থেকে প্রায় ৩ টন হীরা উত্তোলন করা হয়েছে।। এই উত্তোলন কাজে আনুমানিক ২২.৩ মিলিয়ন টন মাটি তোলা হয়।।

পৃথিবীতে এর চেয়েও গভীর অনেক গর্ত রয়েছে, তবে সেগুলো সবই প্রাকৃতিক ভাবে সৃষ্ট।। মানব সৃষ্ট গর্তের মধ্যে এটি এখন পর্যন্ত সবচেয়ে গভীর।।

ভারতের নীলগিরিতে যাবার সময় এই সেতুটি ট্রেন দিয়ে পার হতে হয়।। চারপাশের পরিবেশ দেখতেই ভালো লাগছে।। আমাদের দেশে পার্বত্য অঞ্ছলে এখনো রেল লাইন বসে নি, তবে বসলে আমরাও এরচেয়ে আরো সুন্দর পরিবেশ দেখতে পাবো আশা রাখি।।

ছেলে বুড়ো, বাচ্চা, বড়, ছেলে মেয়ে, এমন কাউকেই হয়তো পাওয়া যাবে না যে কখনো না কখনো টম এন্ড জেরি কার্টুন দেখে হাসে নি।। জেরি আর টমের খুনসুটি, খাবার নিয়ে মারামারি, অথবা মাঝে মাঝে দুজনের মিত্রতা ঘটিয়ে শত্রুর মোকাবেলা করা; এই সবই যেন আমাদের জীবনের একটি অংশ হয়ে আছে সেই ছোটবেলা থেকে।। আজ আমাদের সকলের প্রিয় টম এন্ড জেরি কার্টুনের ৭২তম জন্মদিন।। টম এবং জেরির এই জন্মদিনে রইলো প্রাণঢালা শুভেচ্ছা।। টম এন্ড জেরি বেঁচে থাকুক হাজার হাজার বছর ধরে।। হাস্যজ্বল, প্রাণবন্ত করে তুলুক আরো কোটি কোটি শিশুর শৈশবের দিনগুলোকে।। শুভ জন্মদিন জেরি।। শুভ জন্মদিন টম



একটা অবাক করা বিষয় জানাই আপনাদের।। দক্ষিণ কোরিয়াতে মডো এবং জিন্ডো নামক দুটো দ্বীপ আছে।। বছরে দুইবার সেই দ্বীপের মাঝে একটা প্রাকৃতিক রাস্তা তৈরি হয়।। রাস্তা মানে সাগরের মাঝে দিয়ে ঐ সময়টায় হেঁটে এক দ্বীপ থেকে অন্য দ্বীপে যাওয়া যায় (ছবিটার মতো)!! ঘটনাটি ঘটে খুব অল্প সময়ের জন্য।। হয়তো কয়েক ঘণ্টার জন্য।। এটি বিশ্বের অন্যতম রহস্যময় প্রাকৃতিক ব্যাপার হিসেবে পরিচিত।। (ছবিতে ভালো করে লক্ষ্য করলে দেখবেন, মানুষগুলো সমুদ্র দিয়ে হেঁটে অন্য ভূখণ্ডে যাচ্ছে।। আসলে তখন সেই রহস্যময় প্রাকৃতিক রাস্তাটি তৈরি হয়েছে বলে তারা পানির উপর দিয়ে হাঁটছে।।)

অস্ট্রেলিয়ার তাসমানিয়ায় কালো রঙের এই গাজর উৎপন্ন হয়ে থাকে।। এই গাজরে এন্টি-অক্সিডেন্ট বেশি থাকে বলে এর রঙ কমলা বা গাড় কমলা না হয়ে কালো হয়।। কালো গাজরের জুস তাসমানিয়ার একটি প্রসিদ্ধ এবং আদি খাবার/পানীয়

"আজকাল মানুষ মরতে নিলেও আশেপাশের বাকিরা সাহায্য না কইরা সবাই প্রতিযোগিতা শুরু করে কার আগে কেডা ছবি তুইলা ফেসবুকে আপলোড দিবো।। নির্মম, কিন্তু সত্য।।"
bangla pdf books

Try More >>
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে জুন, ২০১২ বিকাল ৩:৪৪
২১টি মন্তব্য ২১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

তোমাকে লিখলাম প্রিয়

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ০২ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৫:০১


ছবি : নেট

আবার ফিরে আসি তোমাতে
আমার প্রকৃতি তুমি,
যার ভাঁজে আমার বসবাস,
প্রতিটি খাঁজে আমার নিশ্বাস,
আমার কবিতা তুমি,
যাকে বারবার পড়ি,
বারবার লিখি,
বারবার সাজাই নতুন ছন্দে,
অমিল গদ্যে, হাজার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ মিসড কল

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৫৫



নতুন নতুন শহরে এলে মনে হয় প্রতি টি ছেলেরি এক টা প্রেম করতে ইচ্ছে হয় । এর পেছনের কারন যা আমার মনে হয় তা হলো, বাড়িতে মা, বোনের আদরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হিটস্ট্রোক - লক্ষণ ও তাৎক্ষণিক করণীয়

লিখেছেন ঢাকার লোক, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:০৭

সাধারণত গরমে পরিশ্রম করার ফলে হিটস্ট্রোক হতে পারে। এতে দেহের তাপমাত্রা অতি দ্রুত বেড়ে ১০৪ ডিগ্রী ফারেনহাইট বা তারও বেশি হয়ে যেতে পারে।

হিটস্ট্রোক জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন। চিকিৎসা... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহকে অবিশ্বাস করার সংগত কোন কারণ নাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৩



সব কিছু এমনি এমনি হতে পারলে আল্লাহ এমনি এমনি হতে সমস্যা নাই। বীগ ব্যাং এ সব কিছু হতে পারলে আল্লাহও হতে পারেন। সব কিছুর প্রথম ঈশ্বর কণা হতে পারলে আল্লাহও... ...বাকিটুকু পড়ুন

যুক্তরাষ্ট্রে ইসরাইল বিরোধী প্রতিবাদ বিক্ষোভ

লিখেছেন হাসান কালবৈশাখী, ০৩ রা মে, ২০২৪ সকাল ৮:০২

গাজায় হামাস উচ্ছেদ অতি সন্নিকটে হওয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিউইয়র্ক ও লসএঞ্জেলসে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পরেছিল। আস্তে আস্তে নিউ ইয়র্ক ও অন্যান্ন ইউনিভার্সিটিতে বিক্ষোভকারীরা রীতিমত তাঁবু টানিয়ে সেখানে অবস্থান নিয়েছিল।


... ...বাকিটুকু পড়ুন

×