রাজপথগুলি রাজার জন্য উন্মুক্ত করে দিতে হবে; রাজা কে? রাজা রিক্সাওয়ালা।
রাজা মুটে দিনমজুর ফেরীওয়ালা হকার ছাত্র জনতা।
কথায় কথায় হকার উচ্ছেদ, রিক্সা চলবে না অমুক রাস্তায় তমুক রাস্তায়। এইসব বন্ধ করতে হবে।
বরং শহরের ভিতর প্রাইভেট কার বন্ধ। বৈদেশিক মুদ্রা খরচ করে প্রাইভেট কার আমদানী বন্ধ।
ফুটপাথগুলি প্রশস্ত করে সব রাস্তায় হকার বসতে দিন। জনগন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ছোট ছোট ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ফেরীওয়ালা হকারদের কাছ থেকে কিনবে; বড় বড় ডিপার্টমেন্টাল ষ্টোর বন্ধ করে দিন।
মন্ত্রী সাংসদ আমলা এদের গাড়ী দেয়া বন্ধ করুন। প্রোটকল দেয়া বন্ধ করুন। এদের বুঝতে হবে যে তারা জনগনের সেবক , প্রজাতন্ত্রের সেবক। বাল্য শিক্ষায় এই বোধটা, এই ভাবটা, এই ইমেজটা অন্তর্ভুক্ত করুন।
গণপরিবহন বৃদ্ধি করুন। মন্ত্রীরা সাংসদরা আমলারা অফিসে আসবে সাইকেলে, রিক্সায় অথবা গণপরিবহনে। সচিবালয়ে কোন গাড়ী ঢুকবে না। গাড়ী চালিয়ে, পতাকা উড়িয়ে বুক ফুলিয়ে কেউ কোন সরকারী অফিসে ঢুকবে না। মন্ত্রী আমলা সাংসদ আম-জনতা সবাই এক কাতারে পায়ে হেঁটে সরকারী দপ্তরে ঢুকবে।
মন্ত্রী আমলাদের দাপ্তরিক কাজের বাধ্যতামূলক অংশ হবে পাবলিকের সাথে কথা বলা।সরকারী দপ্তরে সচিবালয়ে প্রতিদিন কমপক্ষে এক ঘন্টা সময় রাখতে হবে মন্ত্রী সচিবদের জনগনের অভিযোগ শোনার জন্য; সরকারী দপ্তরে সিটি হল আয়োজন করতে হবে কমপক্ষে সপ্তাহে একবার, যেখানে জনগন তাদের চাহিদা পেশ করবে আর মন্ত্রী সচিবরা বসে নোট নিবে ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা নির্ধারনের জন্য আর সেখানে জনগনের সামনে মন্ত্রী সচিবরা সাপ্তাহিক প্রতিবেদন দিবে তাদের সব ধরনের প্রজেক্টের অগ্রগতির বিষয়ে। সরকারী দপ্তরে জনগনের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।
সরকারকে জনগনের প্রত্যাশা বাস্তবায়ন করতে হবে। মন্ত্রী আমলাদের বুঝতে হবে জনগনই রাজা, আর তারা জনগনের অর্থে প্রতিপালিত সেবক মাত্র।
এঁদের কথা ভুলে যেয়েন না।