১৯৭১-এর যুদ্ধে জনগনের সর্বাত্মক অংশগ্রহণ পিছনে সব চেয়ে উজ্জ্বল আর তীব্র প্রেরণা যা ছিল সেটা হচ্ছে সমাজ থেকে বৈষম্য দূর হবে, খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা, শিক্ষা সবার জন্য অবারিত হবে।
যুদ্ধের মাধ্যমে পেয়েছি অনেক- নিজেদের স্বায়ত্বশাসিত একটা ভুখন্ড, প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বাঙালী জাতীসত্বা আর বাংলা ভাষার মর্যাদা, আর রাস্ট্রীয় লেনদেনে ধর্মনিরপেক্ষতা ও গণতন্ত্র।
এই অর্জনগুলি আমাদের ধরে রাখতে হবে, পিছে হাঁটলে হবে না।
২০২৪-এর স্বপ্ন হচ্ছে, যা আমরা সম্পুর্ণ করতে পারি নাই ১৯৭১-এ, সেই অসম্পুর্ন জন-আকাঙ্ক্ষাকে পূর্ণ করা।
যারা ভাবছেন, ‘২৪ তাদের পেয়ারা পাকিস্তান ফিরিয়ে দিবে, তারা ভুল করছেন, তারা ‘২৪-এর মহত্ব নষ্ট করতে চেষ্ঠা করছেন।
১৯৭১-এর বেহাত বিপ্লবকে আবার জনগনের হাতে ফিরিয়ে দেয়ার কাজটা করছে ২৪-এর তরুনরা; তার মধ্যে কিছু পাকিস্তানী প্রেতাত্না ঢুকে পড়ছে, কিছু ধর্মান্ধ পশ্চাৎপদ লোক আন্দোলনের ভিড়ে মিশে গিয়ে ভুল বার্তা দিচ্ছে।
২৪-এর অগ্রবর্তী তরুনদের এদের থেকে সাবধান থাকতে হবে, মনে রাখতে হবে ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ আর তার সব অর্জনের উপর দাঁড়িয়ে আছে ২৪; আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের হাতে যে কাজ হয় নি, যে স্বপ্ন পথ হারিয়েছে তাদের অপশাসনে, সেই অসমাপ্ত কাজ শেষ সমাপ্ত করাই ২৪-এর তরুনদের লক্ষ্য, দরিদ্র অসহায় জনগন তাদের দিকে অনেক আশা নিয়ে তাকিয়ে আছে, পেয়ারা পাকিস্তানের ভূতের-আসর মুক্ত হোন, বাংলাদেশের সাধারন মানুষের আশাকে পুনরায় ধুলিস্মাৎ কইরেন না।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


