somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

স্রষ্টার অস্তিত্ব নিয়ে এক অসাধারণ বিতর্ক,যেখানে অসাধারণ যুক্তির সমাহার

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১২:০১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



লেখাটি আমার নিজের নয়। জনৈক ব্যক্তি লিখে ফেসুবুকে পোষ্ট করেছেন। এখানে কিছুৃ চমৎকার ও জ্ঞানগর্ভ কথা এসেছে। এ জন্য বিজ্ঞ পাঠকদের সম্মুখে তুলে ধরলাম।

গভীর ভাবনায় আস্তিকতা ও নাস্তিকতাঃ
১.১ কেউ যদি জিজ্ঞাসা করে আপনি কি আস্তিক? আমি নিরব থাকি। আবার কেউ যদি জিজ্ঞাসা করে আপনি কি নাস্তিক? তখনও আমি নিরব থাকি। কারন তখন আমার মনে প্রশ্ন জাগে প্রশ্নকারী আস্তিক, নাস্তিক বলতে কি বুঝেন তা আগে আমার জানা দরকার। অধিকন্তু "অজ্ঞেয়বাদী" শব্দটিতেও একেকজন একেক অর্থ বহন করে। অতএব, আস্তিক, নাস্তিক কিংবা অজ্ঞেয়বাদী প্রশ্নে আমার নিকট এক কথায় হ্যাঁ, না কোন জবাব নেই।
১.২ ধর্মে ধর্মেতো পার্থক্য আছেই,ব্যক্তিতে ব্যক্তিতে ঈশ্বর ভাবনা কিংবা চিন্তায় পার্থক্য রয়েছে।প্রতিটি মানুষেরই ঈশ্বর চিন্তা পৃথক। পৃথিবীর ৮০০কোটি মানুষের ঈশ্বর ভাবনা ৮০০কোটি রকম। পৃথিবীর যেকোন দুইটি ব্যক্তি যদি ঈশ্বর ভাবনায় তর্ক-বিতর্ক কিংবা মত বিনিময় করে তবে তাদের ঈশ্বর ভাবনার পার্থক্য স্পষ্ট হয়ে যাবে। চূড়ান্ত বিশ্লেষণে যেকোন দুইজন চিন্তাশীল ব্যক্তি ঈশ্বর ভাবনায় শতভাগ একমত পোষণ করতে পারবেনা!
১.৩ একজন স্পিরিচুয়ালিস্ট কিংবা একজন সর্বেশ্বরবাদী যিনি মনে করেন তিনি God বা ঈশ্বরের অংশ তাঁর নিকট " আপনি কি আস্তিক কিংবা নাস্তিক?" প্রশ্নটি অর্থহীন। কারন তিনি মনে করেন জগতই ঈশ্বর, ঈশ্বরই জগত! তারমতে নিজেকে বিশ্বাস করলেই ঈশ্বরে বিশ্বাস হয়ে যায়। পৃথক ভাবে ঈশ্বরকে বিশ্বাস করা মানে নিজেকে ঈশ্বর থেকে পৃথক ভাবা। তাঁর মতে জড়ীয়-অজড়ীয় কিংবা জৈব-অজৈব কিংবা বাস্তব-অবাস্তব প্রতিটি দৃশ্যমান/অদৃশ্যমান, মূর্ত-বিমূর্ত প্রতিটিই সত্তাই ঈশ্বরের অংশ। আস্তিক, নাস্তিক,অজ্ঞেয়বাদী, সংশয়বাদী ইত্যাদি বিষয়ক প্রশ্ন অর্থহীন!
১.৪ একজন বিজ্ঞান মনষ্ক ব্যক্তিরও ঈশ্বর বিষয়ক প্রশ্নের কোন সাইন্টিফিক উত্তর নেই। তিনি অবশ্যই ঈশ্বর সম্পর্কে দার্শনিক অভিমত ব্যক্ত করতে পারেন কিন্তু তা কখনও বৈজ্ঞানিক নয়!
১.৫ ঈশ্বর বিষয়ক প্রশ্ন করা যতটা সহজ ঠিক ততটাই কঠিন এর উত্তর দেওয়া। ঈশ্বরের অস্তিত্ব প্রমান করা যতটা কঠিন ঠিক ততটাই কঠিন তার অনস্তিত্ব প্রমান করা!
১.৬ অতএব, ঈশ্বরের অস্তিত্ব ও অনস্তিত্ব থাকার সম্ভবনা ফিফটি-ফিফটি! সম্ভবত এই সম্ভবনা থাকবে অনন্তকাল কিংবা দেশ-কালহীনতায়!
১.৭ এই জন্যই আমি ঈশ্বর প্রশ্নে অজ্ঞেয়বাদী এবং আমি মনেকরি বিজ্ঞানের অবস্থানও তাই হওয়া উচিত!

মন্তব্যসমূহ:
Akkas Ali যুক্তির বিচারেও ঈশ্বরের থাকার বদলে ইশ্বর না থাকাটাই বেশি যৌক্তিক...
কেউ যদি বলেন এই জটিল ও বিশাল মহাবিশ্ব এমনি এমনি সৃষ্টি হওয়া সম্ভব না, কোন ঈশ্বর তাকে সৃষ্টি করেছেন...
আমি বলবো, যিনি এই জটিল মহাবিশ্বের সৃষ্টিকর্তা, তিনি তো এই মহাবিশ্বের তুলনায় কোটি কোটিগুন বেশি জটিল হবেন, তাই না?
তো, কোটিগুন বেশি জটিল ইশ্বর এমনি এমনি সৃষ্টি হওয়া বেশি যৌক্তিক, নাকি কোটিগুন কম জটিল মহাবিশ্ব এমনি এমনি সৃষ্টি হওয়া বেশি যৌক্তিক?
অবশ্যই কোটিগুন বেশি জটিল ইশ্বরের থেকে অপেক্ষাকৃত সরল মহাবিশ্ব এমনি এমনি সৃষ্টি হওয়াটাই বেশি যৌক্তিক...
জটিল অজানা কোন কিছু ব্যাখ্যা করতে না পারলেই আমরা সেখানে ধরে এনে এক ইশ্বরকে বসিয়ে দিয়ে তার সমাধান খুজে মনকে সান্ত্বনা দিই।

Jahangir Milton Akkas Ali ভাই, এই ঘোড়ার ডিমের সরলীকৃত ব্যখ্যায় ঈশ্বরের অস্তিত্বের প্রমান বা অপ্রমান হয় না। মানুষ তাঁর সীমাবদ্ধতার নাম দিয়েছে ঈশ্বর, সেই সীমাবদ্ধতা এক মহাসত্য............... বিজ্ঞান ও অসহায় বোধ করছে বিগ ব্যাং এর পূর্বের অবস্থা কল্পনা করতে, কারণ সেখানে অভিজ্ঞতা কাজ করে না যা থেকে মানুষ অনুমান বা ধারণা করতে পারে............ ধর্মের ঈশ্বর একটা প্রাগৈতিহাসিক ধারণা তাঁকে প্রতিষ্ঠিত করার ইচ্ছা নাই আমার, কিন্ত সৃষ্টির ব্যখ্যা ও মহাসম্প্রসারনের ও মহাসঙ্কোচনের ধারণার পিছনে যে কার্যকারণ প্রণোদনা তাঁর সুস্পষ্ট ব্যখ্যা নাই কোথাও............ আপনাআপনি বিস্ফোরিত হওয়ার কারণ আমাদের অভিজ্ঞতায় নাই বলে আমরা বুঝতে পারিনা জগত কীভাবে হল? কারণ জগতে আপনাআপনি কিছুই হয় না যদি না কোন বাহ্যিক শক্তি তাঁর উপর কাজ না করে............... জগত যদি আপনাআপনি শূন্য থেকে গঠিত ও ধ্বংসপ্রাপ্ত বা সংকোচিত হয় শূন্যে ফিরে যায় [ যদিও হকিন্স প্রথমে তা মনে করলেও বর্তমানে তা মনে করছেন না......... মানে শেষ হয়ে তা কি হবে তাও অজানা] তবে এই আপনাআপনি সৃষ্টি বা ধবংসের ইচ্ছাশক্তি ত এমন এক মহাশক্তি যা আমাদের ধারণার জগতের বাইরে............... সেই কারণ ত বিগ ব্যাং এর আগের কিছু যার নাগাল আমরা আমাদের অভিজ্ঞতা থেকে কখনই পেতে পারব না [ এটাও হকিন্সের ধারণা]........................ তাহলে সেই জগত সৃষ্টিকারী ইচ্ছাশক্তি কি? তাঁর নাম কি? ঈশ্বর বা ঘোড়ার ডিম বা সীমাবদ্ধতা যাই বলেন তাঁর অস্তিত্ব কি এড়িয়ে যাওয়া যাবে?

Saif Raju ভাল লাগল আপনার চমৎকার উপস্থাপনা। আর এইযে আমার ভাল লাগল এটা আরেকজনের খারাপ লাগতে পারে। তখনই প্রমাণিত হবে আপনি সঠিক কথাই বলেছেন।
আর একটা কথা না বলে পারছি না। তা হচ্ছে পৃথিবীতে এমন অনেক মানুষ বা গোষ্ঠী আছে যারা ঈশ্বরকে বিশ্বাস করলেও কোন ধর্মকে বিশ্বাস করে না। এই বিষয়টাও ভাবনার দাবি রাখে। ধন্যবাদ।।



সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১২:০২
৮টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার অন্যরকম আমি এবং কিছু মুক্তকথা

লিখেছেন জানা, ১৫ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৬



২০১৯, ডিসেম্বরের একটি লেখা যা ড্রাফটে ছিল এতদিন। নানা কারণে যা পোস্ট করা হয়নি। আজ হঠাৎ চোখে পড়ায় প্রকাশ করতে ইচ্ছে হলো। আমার এই ভিডিওটাও ঐ বছরের মাঝামাঝি সময়ের।... ...বাকিটুকু পড়ুন

যেভাবে শরণার্থীরা একটি দেশের মালিক হয়ে গেলো!

লিখেছেন মাঈনউদ্দিন মইনুল, ১৫ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২৬



এবার একটি সেমিনারে প্রথমবারের মতো একজন জর্ডানির সাথে পরিচয় হয়। রাসেম আল-গুল। ঘনকালো মাথার চুল, বলিষ্ট দেহ, উজ্জ্বল বর্ণ, দাড়ি-গোঁফ সবই আছে। না খাটো, না লম্বা। বন্ধুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। প্রতিটি সেশন... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিউ ইয়র্কের পথে.... ২

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০২


Almost at half distance, on flight CX830.

পূর্বের পর্ব এখানেঃ নিউ ইয়র্কের পথে.... ১

হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্লেন থেকে বোর্ডিং ব্রীজে নেমেই কানেক্টিং ফ্লাইট ধরার জন্য যাত্রীদের মাঝে নাভিশ্বাস উঠে গেল।... ...বাকিটুকু পড়ুন

সামুতে আপনার হিট কত?

লিখেছেন অপু তানভীর, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৩



প্রথমে মনে হল বর্তমান ব্লগাদের হিটের সংখ্যা নিয়ে একটা পোস্ট করা যাক । তারপর মনে পড়ল আমাদের ব্লগের পরিসংখ্যানবিদ ব্লগার আমি তুমি আমরা এমন পোস্ট আগেই দিয়ে দিয়েছেন ।... ...বাকিটুকু পড়ুন

ল অব অ্যাট্রাকশন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৪৫

জ্যাক ক্যান ফিল্ডের ঘটনা দিয়ে লেখাটা শুরু করছি। জ্যাক ক্যানফিল্ড একজন আমেরিকান লেখক ও মোটিভেশনাল স্পিকার। জীবনের প্রথম দিকে তিনি হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। আয় রোজগার ছিলনা। ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অর্থ ছিলনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×