somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শুধু বিচার যথেষ্ট নয় !

২০ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৩:০৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


অনেক দিন ধরে ঠিকভাবে লিখবো লিখবো ভাবছি কিন্তু জীবনের প্রয়োজনে তার আর হয়নি । আমি একজন খেটে খাওয়া সাধারন বয়বসায়ি তাই জীবন জীবিকার প্রয়োজনে নিজেকে সব সময় ব্যস্ত রাখতে হয় আর রমজান মাস ছিল আমাদের তেমনি একটা ব্যবসার মৌসুম । এ মাসে প্রতি বছর ই যৎসামান্য ব্যবসা হয় তাই রমজানের শুরু থেকেই থাকতে হয় চরম ব্যস্ত আর বাংলাদেশের নিজের ব্যবসা কখনো ই অন্য কাউকে দিয়ে পরিচালনা করা প্রায় অসম্ভব ক্রমাগতই আমাদের ডেশের মানুষ গুলি কেন জানি নীতি হীন হয়ে পরছে । আজ কাল আর কাউকে তেমন বিশ্বাস করা সম্ভব হয় না যে যেভাবে সুযোগ পায় সেভাবেই সুযোগ কাজে লাগানোর চেষ্টা করে যদিও এদেশের প্রায় সকল মানুষ ই ধার্মিক ? যাই হউক বেশ কিছুদিন যাবৎ মনটা খুবই খারাপ প্রতি মুহুর্তের চোখের সামনে ভেসে উঠে শিশু রাজনের সেই আর্তনাথ ওমাইগো ওমাইগো আর খুনি জানোয়ার কামরুলদের উল্লাস । সিলেট মহানগরীর জালালাবাদ থানার মুইয়ারচর গ্রামে গত ৮ জুলাই ২০১৫ তারিখে একটি রিকসা ভ্যান চুরির অভিযোগে স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি পিটিয়ে হত্যা করে ১৩ বছর বয়সী কিশোর সামিউল ইসলাম রাজনকে । প্রথমে খুঁটির সাথে বেঁধে এবং পরে মাটিতে ফেলে দিয়ে লোহার রড দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে পিটিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয় এ সদ্য কৈশোরে উত্তীর্ণ শিশুটিকে। রাজনের লাশটি একটি মাইক্রোবাসে করে অন্যত্র সরিয়ে নেয়া কিংবা গুম করার চেষ্টাকালে স্থানীয় লোকজন প্রধান অভিযুক্ত মুহিতকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। কিন্তু ঘটনাটির জঘন্যতা প্রকাশিত হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে একটি ভিডিও আপলোড করার পর থেকে। যার পর থেকে আজ সমগ্র জাতি শিশু রাজন হত্যার প্রতিবাদে একত্রিত । বিচার বর্হিভুত বা গনপটুনিতের মানুষ হত্যার প্রবনতা বাংলাদেশে নতুন কিছু নয় । তবে একটি শিশুর ওপর চালানো নৃশংসতা এবং তার হত্যাকাণ্ডের পর ইন্টারনেটের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ সংবাদমাধ্যম ও সমাজে যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া লক্ষ করা যাচ্ছে, তা বরাবরের তুলনায় বেশ তীব্র। এটা সমাজের সংবেদনশীলতার লক্ষণ এবং এই সংবেদনশীলতা গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিটি বাংগালীর বিবেক আজ নাড়া দিয়েছে শিশু রাজন হত্যার প্রতিবাদের তাই তো রাজন হত্যার মূল হোতা আর্থিক দম্ভে দম্ভিত সৌদি প্রবাসী কামরুল প্রসাশন তথা পুলিশের সহযোগিতায় সৌদিপালাতে সক্ষম হলেও সেখানকার বাংলাদেশীরা তাকে কোন সহযোগিতা করেন নি বরং সেখানে প্রবাসীদের সহযোগিতায় তাকে ধরে সৌদি পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয় । এমন কি সিলেটের স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় আরেক খুনি আলী হায়দার ওরফে আলীকেও আটক করে পুলিশে সোর্পদ করা হয় । কিন্তু সত্য হলো এটা প্রতি টা ঘটার পর ই আমাদের প্রসাশন নিজের স্বার্থ হাসিলের জন্য থকে নিশ্চুপ রাজন হত্যার পর ও তার ব্যতিক্রম ঘটে নি । সিলেটের সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ প্রথম দিকে এই হত্যাকাণ্ডকে গুরুত্ব দেয়নি; নিহত সামিউলের দরিদ্র ও অসহায় বাবার অভিযোগ, তিনি থানায় অভিযোগ করতে গেলে তাঁকে ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হয়েছে। এলাকাবাসী একের পর এক আসামিকে আটক করে পুলিশের কাছে তুলে দিয়েছে যা সত্যিকারে জনরোষেরই প্রতিফলন । আর এতেই খুব স্পষ্ট যে আসামিদের ধরার ব্যাপারে পুলিশের এই তৎপরতা গণমাধ্যমে ও সমাজে পরিস্ফুট জনমতের প্রবল চাপের তাৎক্ষণিক ফল। কিন্তু আমাদের দেশে কোন ঘটনার পর ই যখন সেঘটনার প্রেক্ষিতে প্রচন্ড জনরোষ সৃষ্টি হয় তার পর ই রাষ্ট্র যন্ত্র তথা প্রশাসনের যে ঘটানার জন্য কাজের গতি অনেক গুন বেড়ে যায় । ক্রমানয়ে সে ঘটনায় জনগণের ক্ষোভের প্রকাশ হ্রাস পেলে প্রসাশন ও তাদের কাজে এক ধরনের শৈথিল্য দেখাদের যা পরবর্তিতে নতুন কোন ঘটনার জন্মদিতে উৎসাহ দেয় । আর এর ই ফলশ্রুতিতে দেশে একের পর এক এধরনের পৈচাশিক ঘটানের জন্ম নিচ্ছে ।
সামিউলের মা-বাবা দরিদ্র, প্রভাব-প্রতিপত্তিহীন অসহায় মানুষ; তাঁদের ন্যায়বিচার প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে হবে রাষ্ট্রকেই। সামিউলের হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ, সেই মামলা দক্ষভাবে লড়তে হবে পুলিশকেই। আসামিদের শাস্তি নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সাক্ষ্যপ্রমাণ হাজির করে আদালতে অপরাধ প্রমাণ করার দায়িত্ব তাদেরই। পুলিশ যেন পরিপূর্ণ সততা ও আন্তরিকতার সঙ্গে এটা করে, তা নিশ্চিত করতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরদারি প্রয়োজন। সামিউলের নৃশংস হত্যাকাণ্ড গোটা জাতিকে ভীষণভাবে ক্ষুব্ধ করেছে। তাই জাতিয়রোষ থেকে সরকার ও প্রসাশন মুক্ত হওয়ার জন্য রাজন হত্যাকারিদের আইনের আওতায় আনতের সরকার ও প্রসাশন খবুই গতিশীল হয়ে কাজকরছে অথচ এই ঘটনার অন্যতম হোতা কমরুল এই প্রসাশনের ই সহযোগিতা শুধু টাকার বিনিময়ে দেশ থেকে পালিয়ে নিজের কর্মস্হল সৌদি পৌছতে সক্ষম হয়েছে । হয়তো জনরোষ ও সংবাদ মাধ্যমের তৎপরতার কারণে শিশু রাজন হত্যাকারীরা গ্রেফতার হয়েছে অদুর ভবিষ্যতের হয়তো খুনিতের বিচারের মাধ্যমে সাজা হবে কিন্তু এই সাজা কি আর কোন রাজন এভাবে খুনের হাত থেকে রক্ষাকরতে পারবে ? যদিও এম ঘটনার আর ঘটুক আর কোন রাজনকে এভাবে মুকুলেই জীবন দেতে হউক কেটা করো ই কাময় নয় তার পর বলবো না মোটেও না । শুধু জনরোষের কারনের আসামি গ্রেফতার ও বিচার এধরনের ঘটনাকে কখনোই এদেশ থেকে শেষ করতে পারবে না এর জন্য সরকার তথা আমাদের প্রসাসনকে হতে হবে সৎ ও স্বচ্ছ আর আমরা যারা মানুষ বলে নিজেদের দাবি করছে তাতের ভিতরে পুরোপুরি মানবিকতার জন্ম দিতে হবে । তা হলেই এধরনের ঘটনার আর পুনঃরাবৃতি হবে না বলে ই আমার ধরনা ।


সর্বশেষ এডিট : ২০ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৩:১২
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শিয়াল ফিলিস্তিনীরা লেজ গুটিয়ে রাফা থেকে পালাচ্ছে কেন?

লিখেছেন সোনাগাজী, ১১ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১০



যখন সারা বিশ্বের মানুষ ফিলিস্তিনীদের পক্ষে ফেটে পড়েছে, যখন জাতিসংঘ ফিলিস্তিনকে সাধারণ সদস্য করার জন্য ভোট নিয়েছে, যখন আমেরিকা বলছে যে, ইসরায়েল সাধারণ ফিলিস্তিনীদের হত্যা করার জন্য আমেরিকান-যুদ্ধাস্ত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাফসানের মা হিজাব করেন নি। এই বেপর্দা নারীকে গাড়ি গিফট করার চেয়ে হিজাব গিফট করা উত্তম।

লিখেছেন লেখার খাতা, ১১ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৩


ছবি - সংগৃহীত।


ইফতেখার রাফসান। যিনি রাফসান দ্যা ছোট ভাই নামে পরিচিত। বয়স ২৬ বছর মাত্র। এই ২৬ বছর বয়সী যুবক মা-বাবাকে বিলাসবহুল গাড়ি কিনে দিয়েছে। আমরা যারা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ এঁটেল মাটি

লিখেছেন রানার ব্লগ, ১২ ই মে, ২০২৪ রাত ১:৫৬




শাহাবাগের মোড়ে দাঁড়িয়ে চা খাচ্ছিলাম, মাত্র একটা টিউশানি শেষ করে যেন হাপ ছেড়ে বাঁচলাম । ছাত্র পড়ানো বিশাল এক খাটুনির কাজ । এখন বুঝতে পারি প্রোফেসরদের এতো তাড়াতাড়ি বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন

আসুন সমবায়ের মাধ্যমে দারিদ্র বিমোচন করি : প্রধানমন্ত্রী

লিখেছেন স্বপ্নের শঙ্খচিল, ১২ ই মে, ২০২৪ ভোর ৪:১০



বিগত শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নিজ সংসদীয় এলাকায় সর্বসাধারনের মাঝে বক্তব্য প্রদান কালে উক্ত আহব্বান করেন ।
আমি নিজেও বিশ্বাস করি এই ব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী খুবই আন্তরিক ।
তিনি প্রত্যন্ত অন্চলের দাড়িয়ারকুল গ্রামের... ...বাকিটুকু পড়ুন

পাইলট ফিস না কী পয়জনাস শ্রিম্প?

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১২ ই মে, ২০২৪ সকাল ৭:৪০

ছবি সূত্র: গুগল

বড় এবং শক্তিশালী প্রতিবেশী রাষ্ট্রের পাশে ছোট ও দূর্বল প্রতিবেশী রাষ্ট্র কী আচরণ করবে ? এ নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক অধিক্ষেত্রে দুইটা তত্ত্ব আছে৷৷ ছোট প্রতিবেশি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×